হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
বছরের পর বছর মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে নোয়াখালীর হাতিয়ার চানন্দী, নলচিরা, সুখচর ও চরঈশ্বর ইউনিয়নের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। এতে এই উপকূলের কয়েক হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। একসময় শুধু বর্ষায় এই ভাঙন থাকলেও বর্তমানে বছরজুড়েই ভাঙন চলতে থাকে। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। কোনো কোনো পরিবার একাধিকবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। ওই পরিবারগুলোর স্থান হয়েছে বিভিন্ন বেড়িবাঁধে।
গত এক যুগ ধরে কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিলেও স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। একরকম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই নদীর তীরে বসবাস করা পরিবারগুলোর দিন কাটছে। হাতিয়ার যে কয়েকটি ইউনিয়ন নদীভাঙনের শিকার হয়েছে, তার মধ্যে চানন্দী ইউনিয়নে ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চানন্দী ইউনিয়নের সাদ্দাম বাজার থেকে কালাদুর বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙনের গতি অনেক বেশি। এসব এলাকার অনেকে বসতভিটা হারিয়ে রাস্তার পাশে খুপরিঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। কেউ কেউ বাড়িঘর অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি।
চানন্দী ইউনিয়নের হেমায়েতপুর গ্রামে তেমনি একটি পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। নদীভাঙনের কবলে পড়া ওই পরিবারের জামাল ও রহিমা দম্পতি জানান, বিয়ের উপযুক্ত দুই মেয়েসহ সাতজনের সংসার তাঁদের। দক্ষিণ হাতিয়ায় ভাঙনের শিকার হয়ে বসতি গড়েছিলেন চানন্দী ইউনিয়নের হেমায়েতপুর গ্রামে। সেখানে দীর্ঘ ১৫ বছর বসবাস করার পর আবার নদীভাঙনের কবলে পড়ে তাঁদের বাড়িটি। ভাঙনের পর আশ্রয় নেন পার্শ্ববর্তী রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে। কয়েক দিন আগে তাঁদের বাড়ির অধিকাংশ জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন কোথায় গিয়ে থাকবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে তাঁদের।
ওই দম্পতি আরও বলেন, ‘হামরা (আমরা) দুই একর জমি নিয়ে একটি ঘর করছিলাম। সেই সঙ্গে লাগাইছিলাম গাছ-গাছালি, চাষ করা হতো বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। সন্তানদের নিয়ে ভালোই চলছিল হামাদের (আমাদের) সংসার। কিন্তু রাক্ষসী মেঘনার চোখে এই ভালো সইল না। গত কয়েক দিনে হেমায়েতপুর ও রসুলপুরের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা মেঘনায় চলে গেছে। এতে হামাদের শেষ স্বপ্নটুকুও বিলীন হওয়ার পথে। এরই মধ্যে ঘরের প্রতিটি অংশ খুলে রাখা হইছে। এখন মাথা গোঁজার জন্য জায়গা খুঁজছি। বাড়ির আঙিনায় পেঁপেগাছে পেঁপে ঝুলছে, নারিকেল ধরে আছে, আশপাশে রয়েছে সর্জন পদ্ধতিতে লাগানো বিভিন্ন সবজির বাগান। যেকোনো মুহূর্তে সবই নিয়ে যাবে এই মেঘনা।’
চানন্দী ইউনিয়নের নলচিরার ফরিদপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ স ম জাফর ইকবাল বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে চলতে থাকা ভাঙনে চানন্দী ইউনিয়নের নলচিরা ও কেরিংচরে প্রায় ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশই ছিল দোতলা ভবন। সর্বশেষে গত মাসে ভেঙে যায় জনতা বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি। সিডিএসপির অর্থায়নে করা এসব ভবন একেকটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে কোটি টাকারও বেশি। বর্তমানে ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ আরও ১০ থেকে ১৫টি স্থাপনা।’
এ বিষয়ে চানন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহার উদ্দিন জানান, গত ১২ বছরে হাতিয়ার চানন্দী আর হরণি ইউনিয়নের অন্তত ৪০ হাজার একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতি হারিয়েছে অন্তত ২০ হাজার পরিবার। যত দিন যাচ্ছে, ততই তীব্র হচ্ছে মেঘনার ভাঙন। এরই মধ্যে ভাঙনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, বাজারসহ অসংখ্য স্থাপনা ভেসে গেছে। হাতিয়ার এ দুটি ইউনিয়নে ধানের পাশাপাশি সর্জন পদ্ধতিতে চাষ করা হতো নানা মৌসুমি সবজি ও মাছ। কিন্তু প্রতিনিয়ত ভাঙনের কবলে পড়ে সর্বশ্বান্ত হয়ে গেছে এখানকার মানুষ। এখন তদের ঠাঁই হয়েছে বিভিন্ন বেড়িবাঁধের পাশে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল বলেন, ‘হাতিয়ায় নদীভাঙন রোধে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু চানন্দী ইউনিয়নে ভাঙন তীব্র হওয়ায় শুধু এই এলাকার জন্য নতুন একটি প্রকল্প তৈরি করে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এই প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ চলেছে। প্রকল্পটির অনুমোদন হলে চানন্দী ইউনিয়নের ভাঙন রোধে আমরা কাজ করতে পারব।’
বছরের পর বছর মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে নোয়াখালীর হাতিয়ার চানন্দী, নলচিরা, সুখচর ও চরঈশ্বর ইউনিয়নের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি। এতে এই উপকূলের কয়েক হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। একসময় শুধু বর্ষায় এই ভাঙন থাকলেও বর্তমানে বছরজুড়েই ভাঙন চলতে থাকে। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর, হাটবাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। কোনো কোনো পরিবার একাধিকবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। ওই পরিবারগুলোর স্থান হয়েছে বিভিন্ন বেড়িবাঁধে।
গত এক যুগ ধরে কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিলেও স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। একরকম অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়েই নদীর তীরে বসবাস করা পরিবারগুলোর দিন কাটছে। হাতিয়ার যে কয়েকটি ইউনিয়ন নদীভাঙনের শিকার হয়েছে, তার মধ্যে চানন্দী ইউনিয়নে ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চানন্দী ইউনিয়নের সাদ্দাম বাজার থেকে কালাদুর বাজার পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙনের গতি অনেক বেশি। এসব এলাকার অনেকে বসতভিটা হারিয়ে রাস্তার পাশে খুপরিঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। কেউ কেউ বাড়িঘর অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাতেও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি।
চানন্দী ইউনিয়নের হেমায়েতপুর গ্রামে তেমনি একটি পরিবারের সঙ্গে কথা হয়। নদীভাঙনের কবলে পড়া ওই পরিবারের জামাল ও রহিমা দম্পতি জানান, বিয়ের উপযুক্ত দুই মেয়েসহ সাতজনের সংসার তাঁদের। দক্ষিণ হাতিয়ায় ভাঙনের শিকার হয়ে বসতি গড়েছিলেন চানন্দী ইউনিয়নের হেমায়েতপুর গ্রামে। সেখানে দীর্ঘ ১৫ বছর বসবাস করার পর আবার নদীভাঙনের কবলে পড়ে তাঁদের বাড়িটি। ভাঙনের পর আশ্রয় নেন পার্শ্ববর্তী রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে। কয়েক দিন আগে তাঁদের বাড়ির অধিকাংশ জায়গা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন কোথায় গিয়ে থাকবেন তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে তাঁদের।
ওই দম্পতি আরও বলেন, ‘হামরা (আমরা) দুই একর জমি নিয়ে একটি ঘর করছিলাম। সেই সঙ্গে লাগাইছিলাম গাছ-গাছালি, চাষ করা হতো বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। সন্তানদের নিয়ে ভালোই চলছিল হামাদের (আমাদের) সংসার। কিন্তু রাক্ষসী মেঘনার চোখে এই ভালো সইল না। গত কয়েক দিনে হেমায়েতপুর ও রসুলপুরের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা মেঘনায় চলে গেছে। এতে হামাদের শেষ স্বপ্নটুকুও বিলীন হওয়ার পথে। এরই মধ্যে ঘরের প্রতিটি অংশ খুলে রাখা হইছে। এখন মাথা গোঁজার জন্য জায়গা খুঁজছি। বাড়ির আঙিনায় পেঁপেগাছে পেঁপে ঝুলছে, নারিকেল ধরে আছে, আশপাশে রয়েছে সর্জন পদ্ধতিতে লাগানো বিভিন্ন সবজির বাগান। যেকোনো মুহূর্তে সবই নিয়ে যাবে এই মেঘনা।’
চানন্দী ইউনিয়নের নলচিরার ফরিদপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ স ম জাফর ইকবাল বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে চলতে থাকা ভাঙনে চানন্দী ইউনিয়নের নলচিরা ও কেরিংচরে প্রায় ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব বিদ্যালয়ের অধিকাংশই ছিল দোতলা ভবন। সর্বশেষে গত মাসে ভেঙে যায় জনতা বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি। সিডিএসপির অর্থায়নে করা এসব ভবন একেকটি নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে কোটি টাকারও বেশি। বর্তমানে ভাঙনের ঝুঁকিতে আছে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ আরও ১০ থেকে ১৫টি স্থাপনা।’
এ বিষয়ে চানন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহার উদ্দিন জানান, গত ১২ বছরে হাতিয়ার চানন্দী আর হরণি ইউনিয়নের অন্তত ৪০ হাজার একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বসতি হারিয়েছে অন্তত ২০ হাজার পরিবার। যত দিন যাচ্ছে, ততই তীব্র হচ্ছে মেঘনার ভাঙন। এরই মধ্যে ভাঙনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ, বাজারসহ অসংখ্য স্থাপনা ভেসে গেছে। হাতিয়ার এ দুটি ইউনিয়নে ধানের পাশাপাশি সর্জন পদ্ধতিতে চাষ করা হতো নানা মৌসুমি সবজি ও মাছ। কিন্তু প্রতিনিয়ত ভাঙনের কবলে পড়ে সর্বশ্বান্ত হয়ে গেছে এখানকার মানুষ। এখন তদের ঠাঁই হয়েছে বিভিন্ন বেড়িবাঁধের পাশে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমির ফয়সাল বলেন, ‘হাতিয়ায় নদীভাঙন রোধে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। কিন্তু চানন্দী ইউনিয়নে ভাঙন তীব্র হওয়ায় শুধু এই এলাকার জন্য নতুন একটি প্রকল্প তৈরি করে আমরা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এই প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ চলেছে। প্রকল্পটির অনুমোদন হলে চানন্দী ইউনিয়নের ভাঙন রোধে আমরা কাজ করতে পারব।’
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৮ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৮ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৯ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৯ ঘণ্টা আগে