নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর হাতিয়ায় টাংকিরঘাট বাজারে পুলিশ ক্যাম্পে পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় জনতা। অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা হলেন লক্ষ্মীপুর জেলার (রামগতি সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলম চৌধুরী এবং রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৯টা) টাংকিরঘাট বাজার পুলিশ ক্যাম্পের গোলঘরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নোয়াখালী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (রামগতি সার্কেল) সাইফুল আলম চৌধুরী ও রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্পে আসেন। পরে তাঁরা ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে গোলঘরে বসেন। এর কিছুক্ষণ পরে গোলঘরে আসেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাইন উদ্দিন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবুল হোসেন সুজন ও টাংকির বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখওয়াত হোসেন।
পরে পুলিশ গোলঘর থেকে তাঁদের বের করে দিলে বিষয়টি বাজারে উপস্থিত লোকজনের নজরে আসে এবং তারা উত্তেজিত হয়ে ক্যাম্প ঘেরাও করে। কিছু সময়ের মধ্যে স্থানীয় কয়েক হাজার লোকজন একত্র হয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। যা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে।
হরনি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. বাবুল হোসেন সুজন অভিযোগ করে বলেন, ‘বিকেলে টাংকিরঘাট বাজার পুলিশ ক্যাম্পে আসেন রামগতি সার্কেল ও রামগতি থানার ওসি। উনাদের দেখে আমি, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সালাউদ্দিন মেম্বার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাইন উদ্দিন মেম্বার ও সাখাওয়াত মাস্টার ক্যাম্পের গোলঘরে যাই। এ সময় আমাদের দেখে উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বের হয়ে যেতে বলেন সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলম চৌধুরী। একপর্যায়ে তিনি আমাদের দিকে তেড়ে এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ওই কক্ষ থেকে বের করে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘উনারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে রামগতি থেকে হাতিয়ায় এসেছেন। এর আগেও একাধিকবার রামগতির পুলিশ ও লোকজন বিভিন্ন সময় আমাদের সীমানায় এসে আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে। আমাদের লাঞ্ছিত করা ও তাদের কর্তৃক হয়রানি থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা পেতে লোকজন তাদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করছে।’
টাংকিরঘাট ঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখওয়াত বলেন, ‘মেম্বাররাসহ আমি ক্যাম্পের গোলঘরে গেলে সার্কেল সাহেব মেম্বারদের ওপর উত্তেজিত হয়ে সবাইকে বের হয়ে যেতে বলেন। পরে আমরা দ্রুত ওই স্থান থেকে বের হয়ে চলে আসি।’
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন, ‘সন্ধ্যায় আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে আমাদের অধীনে থাকা টাংকিরঘাট ঘাট ক্যাম্পে আসি। ক্যাম্পে আমাদের মিটিং (সভা) চলাকালে স্থানীয় মেম্বাররা আসলে আমরা উনাদের পরে আসতে বলি। কিন্তু উনারা বাইরে গিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে উত্তেজিত করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে।’
রামগতি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলম চৌধুরী মেম্বারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয় উল্লেখ করে বলেন, ‘টাংকির বাজার ক্যাম্পের পাশে নোয়াখালী অঞ্চলে আরও একটি আরআরএফ (রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স) ক্যাম্প রয়েছে। আমরা ক্যাম্পের গোলঘরে রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সদের নিয়ে মিটিংয়ে বসার কিছুক্ষণ পর কোনো কিছু না বলে একজন লোক বসে পড়েন। আমি ওনার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি মাইন উদ্দিন মেম্বার বলে পরিচয় দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি উনি এবং সঙ্গে থাকা ওনার লোকদের পরে আসার জন্য বলি। কিন্তু উনারা বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নিতে লোকজনকে উত্তেজিত করে তোলেন। এ ঘটনাটি রামগতি ও হাতিয়ার সীমানা বিরোধের যোগসূত্র থাকতে পারে। নোয়াখালী থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আসছেন, উনারা আসার পর বিষয়টি নিয়ে কথা হবে।’
নোয়াখালীর হাতিয়ায় টাংকিরঘাট বাজারে পুলিশ ক্যাম্পে পুলিশের দুই কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় জনতা। অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা হলেন লক্ষ্মীপুর জেলার (রামগতি সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলম চৌধুরী এবং রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৯টা) টাংকিরঘাট বাজার পুলিশ ক্যাম্পের গোলঘরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নোয়াখালী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিকেলে লক্ষ্মীপুর জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (রামগতি সার্কেল) সাইফুল আলম চৌধুরী ও রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন টাংকির বাজার পুলিশ ক্যাম্পে আসেন। পরে তাঁরা ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে গোলঘরে বসেন। এর কিছুক্ষণ পরে গোলঘরে আসেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাইন উদ্দিন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. বাবুল হোসেন সুজন ও টাংকির বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখওয়াত হোসেন।
পরে পুলিশ গোলঘর থেকে তাঁদের বের করে দিলে বিষয়টি বাজারে উপস্থিত লোকজনের নজরে আসে এবং তারা উত্তেজিত হয়ে ক্যাম্প ঘেরাও করে। কিছু সময়ের মধ্যে স্থানীয় কয়েক হাজার লোকজন একত্র হয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। যা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে।
হরনি ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. বাবুল হোসেন সুজন অভিযোগ করে বলেন, ‘বিকেলে টাংকিরঘাট বাজার পুলিশ ক্যাম্পে আসেন রামগতি সার্কেল ও রামগতি থানার ওসি। উনাদের দেখে আমি, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সালাউদ্দিন মেম্বার, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাইন উদ্দিন মেম্বার ও সাখাওয়াত মাস্টার ক্যাম্পের গোলঘরে যাই। এ সময় আমাদের দেখে উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে বের হয়ে যেতে বলেন সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলম চৌধুরী। একপর্যায়ে তিনি আমাদের দিকে তেড়ে এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ওই কক্ষ থেকে বের করে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘উনারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে রামগতি থেকে হাতিয়ায় এসেছেন। এর আগেও একাধিকবার রামগতির পুলিশ ও লোকজন বিভিন্ন সময় আমাদের সীমানায় এসে আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে। আমাদের লাঞ্ছিত করা ও তাদের কর্তৃক হয়রানি থেকে স্থায়ীভাবে রক্ষা পেতে লোকজন তাদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ মিছিল করছে।’
টাংকিরঘাট ঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাখওয়াত বলেন, ‘মেম্বাররাসহ আমি ক্যাম্পের গোলঘরে গেলে সার্কেল সাহেব মেম্বারদের ওপর উত্তেজিত হয়ে সবাইকে বের হয়ে যেতে বলেন। পরে আমরা দ্রুত ওই স্থান থেকে বের হয়ে চলে আসি।’
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন, ‘সন্ধ্যায় আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে আমাদের অধীনে থাকা টাংকিরঘাট ঘাট ক্যাম্পে আসি। ক্যাম্পে আমাদের মিটিং (সভা) চলাকালে স্থানীয় মেম্বাররা আসলে আমরা উনাদের পরে আসতে বলি। কিন্তু উনারা বাইরে গিয়ে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে উত্তেজিত করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে।’
রামগতি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল আলম চৌধুরী মেম্বারদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি সত্য নয় উল্লেখ করে বলেন, ‘টাংকির বাজার ক্যাম্পের পাশে নোয়াখালী অঞ্চলে আরও একটি আরআরএফ (রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্স) ক্যাম্প রয়েছে। আমরা ক্যাম্পের গোলঘরে রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সদের নিয়ে মিটিংয়ে বসার কিছুক্ষণ পর কোনো কিছু না বলে একজন লোক বসে পড়েন। আমি ওনার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি মাইন উদ্দিন মেম্বার বলে পরিচয় দেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি উনি এবং সঙ্গে থাকা ওনার লোকদের পরে আসার জন্য বলি। কিন্তু উনারা বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নিতে লোকজনকে উত্তেজিত করে তোলেন। এ ঘটনাটি রামগতি ও হাতিয়ার সীমানা বিরোধের যোগসূত্র থাকতে পারে। নোয়াখালী থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার আসছেন, উনারা আসার পর বিষয়টি নিয়ে কথা হবে।’
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুর ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় শিক্ষকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে এই হামলা, লুটপাটের ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ
২৩ মিনিট আগেছাগলকাণ্ডে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্যপদ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্টের পদ হারানো মতিউর রহমান বিদেশ যাওয়ার অনুমতি চেয়ে রিট করেছিলেন। তবে রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
৩৫ মিনিট আগেরোববার দিবাগত রাত ১টার পর থেকেই বাস, পিকআপ ও মাইক্রোবাসে করে বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন ঢাকায় আসতে শুরু করেন। রাত ১টা থেকে ভোরে শত শত মানুষ শাহবাগে এসে পৌঁছাতে শুরু করেন। অধিকাংশই জানতেন না কী ঘটতে চলেছে।
১ ঘণ্টা আগেরিকশা-ভ্যানে কোনো চাঁদাবাজি হবে না। গরিবদের কষ্টার্জিত অর্থ কেউ নিতে পারবে না। স্থানীয় লোকাল মাস্তানেরা চাঁদাবাজির টাকা ভাগ করে খায়। যদি পুলিশের কোনো লোক চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাঁর আর রক্ষা নেই। গরিবের কষ্টার্জিত টাকা কেউ নিলেই ব্যবস্থা...
২ ঘণ্টা আগে