সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি করোনেশন সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের বয়স ১১২ বছর। এটি ২০১৮ সালে সরকারি হয়। ২০২৩ সালের মার্চের পর গত ১৮ মাসের হিসাব-কিতাবে এই বিদ্যালয়কে ‘দুর্নীতি ও অনিয়মের মডেল’ বানিয়েছেন সেখানকার শিক্ষক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। যাতায়াত বিলের নামে তছরুপ করেন আড়াই লাখ টাকা। বিদ্যালয় ফান্ডের টাকা বাগিয়েছেন শিক্ষার্থীদের ডায়েরি ছাপিয়ে। এমনকি তদবিরের জন্য টাকা দিয়ে সেই টাকারও ভাউচার জমা দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ইসমাইলের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। বিদ্যালয় থেকে পাওয়া নথি ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়ে একসময় কেরানি হিসেবে কাজ করতেন তিনি। এরপর সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ২০২৩ সালের মার্চে নিয়মিত প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হন। এই দায়িত্বে ছিলেন ১৮ মাস। এরপর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে বিষয়গুলো প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি গত ২৭ আগস্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালকের কাছে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। এতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এদিকে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথাও বলা হয়। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক উত্তম খীসাকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই তদন্ত এখন চলছে।
নথি বলছে, ২০২৩ সালের মার্চে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ১৮ এপ্রিল তিনি ঢাকায় যাতায়াত করেন। এতে খরচ দেখান ২৫ হাজার টাকা। সেই থেকে শুরু। এভাবে ২২ দফায় শুধু যাতায়াত খরচ দেখান ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪০০ টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চিঠি জমা বাবদ ভাউচার দেন ৫০ হাজার টাকার। তবে ২২ দফার যাতায়াতের অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতায় তাঁর স্বাক্ষরও রয়েছে। তিনি ঢাকায় থাকলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর কীভাবে সম্ভব, বলছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের বক্তব্য হচ্ছে, তিনি বাড়িতে অবস্থান করে ভুয়া ভাউচার বানিয়ে টাকা তুলে নিতেন বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘২২ দফায় যাতায়াত আমি আমার জন্য করিনি। সব শিক্ষকের নানা সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে।’ তবে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও ঢাকায় একসঙ্গে যাতায়াতের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এই যাতায়াত ছাড়াও বিদ্যালয়ের খাতা থাকা সত্ত্বেও কোনো ক্রয় কমিটি ছাড়া ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৫০ টাকার খাতা ক্রয়, প্রয়োজনের প্রায় তিন গুণ ডায়েরি ছাপিয়ে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯১০ টাকা খরচ দেখানো, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বাসভবনে টয়লেট নির্মাণে ২৯ হাজার ৫৬০ টাকা খরচ দেখানো। বিদ্যালয়ের জন্য ফ্যান কেনা ২৫ হাজার টাকার ভাউচারও দেখিয়েছেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপরও জুলুম করার অভিযোগ রয়েছে জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সরকারি নিয়মে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের বেতন ১০ টাকা, অষ্টম শ্রেণিতে ১২ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণিতে বেতন হচ্ছে ১৫ টাকা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্বে এসে শিক্ষার্থীদের বেতন নির্ধারণ করেন ২০০ টাকা। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাজিম উদ্দিন বলেন, বেতন বাড়িয়ে ও সরকারি বিদ্যালয় হিসেবে সরকারি ফান্ড থেকে প্রাপ্ত টাকা নয়ছয় করেছেন তিনি।
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কমিটিতে রয়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এফ এম মোহাম্মদ ইউনুছ। তিনি বলেন, ফটিকছড়ি করোনেশন সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত করতে গিয়ে মনে হলো, বিদ্যালয়টিকে সঠিক ট্র্যাকে আনতে অন্য বিদ্যালয় থেকে দক্ষ ও সৎ একজন শিক্ষককে এখানে দায়িত্ব দিতে হবে। অন্যথায় এ বিদ্যালয় উঠে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে হয় না।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি করোনেশন সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের বয়স ১১২ বছর। এটি ২০১৮ সালে সরকারি হয়। ২০২৩ সালের মার্চের পর গত ১৮ মাসের হিসাব-কিতাবে এই বিদ্যালয়কে ‘দুর্নীতি ও অনিয়মের মডেল’ বানিয়েছেন সেখানকার শিক্ষক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। যাতায়াত বিলের নামে তছরুপ করেন আড়াই লাখ টাকা। বিদ্যালয় ফান্ডের টাকা বাগিয়েছেন শিক্ষার্থীদের ডায়েরি ছাপিয়ে। এমনকি তদবিরের জন্য টাকা দিয়ে সেই টাকারও ভাউচার জমা দিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ ইসমাইলের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। বিদ্যালয় থেকে পাওয়া নথি ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়ে একসময় কেরানি হিসেবে কাজ করতেন তিনি। এরপর সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ২০২৩ সালের মার্চে নিয়মিত প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হন। এই দায়িত্বে ছিলেন ১৮ মাস। এরপর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে বিষয়গুলো প্রাথমিকভাবে তদন্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি গত ২৭ আগস্ট মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালকের কাছে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। এতে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এদিকে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনকে তাঁর পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথাও বলা হয়। ওই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক উত্তম খীসাকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই তদন্ত এখন চলছে।
নথি বলছে, ২০২৩ সালের মার্চে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ১৮ এপ্রিল তিনি ঢাকায় যাতায়াত করেন। এতে খরচ দেখান ২৫ হাজার টাকা। সেই থেকে শুরু। এভাবে ২২ দফায় শুধু যাতায়াত খরচ দেখান ২ লাখ ৪৩ হাজার ৪০০ টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চিঠি জমা বাবদ ভাউচার দেন ৫০ হাজার টাকার। তবে ২২ দফার যাতায়াতের অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাজিরা খাতায় তাঁর স্বাক্ষরও রয়েছে। তিনি ঢাকায় থাকলে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর কীভাবে সম্ভব, বলছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকদের বক্তব্য হচ্ছে, তিনি বাড়িতে অবস্থান করে ভুয়া ভাউচার বানিয়ে টাকা তুলে নিতেন বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘২২ দফায় যাতায়াত আমি আমার জন্য করিনি। সব শিক্ষকের নানা সমস্যা সমাধানের জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে।’ তবে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও ঢাকায় একসঙ্গে যাতায়াতের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
এই যাতায়াত ছাড়াও বিদ্যালয়ের খাতা থাকা সত্ত্বেও কোনো ক্রয় কমিটি ছাড়া ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৫০ টাকার খাতা ক্রয়, প্রয়োজনের প্রায় তিন গুণ ডায়েরি ছাপিয়ে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯১০ টাকা খরচ দেখানো, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বাসভবনে টয়লেট নির্মাণে ২৯ হাজার ৫৬০ টাকা খরচ দেখানো। বিদ্যালয়ের জন্য ফ্যান কেনা ২৫ হাজার টাকার ভাউচারও দেখিয়েছেন তিনি।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপরও জুলুম করার অভিযোগ রয়েছে জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে। সরকারি নিয়মে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের বেতন ১০ টাকা, অষ্টম শ্রেণিতে ১২ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণিতে বেতন হচ্ছে ১৫ টাকা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্বে এসে শিক্ষার্থীদের বেতন নির্ধারণ করেন ২০০ টাকা। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাজিম উদ্দিন বলেন, বেতন বাড়িয়ে ও সরকারি বিদ্যালয় হিসেবে সরকারি ফান্ড থেকে প্রাপ্ত টাকা নয়ছয় করেছেন তিনি।
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনের অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে কমিটিতে রয়েছেন চট্টগ্রাম নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এফ এম মোহাম্মদ ইউনুছ। তিনি বলেন, ফটিকছড়ি করোনেশন সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্ত করতে গিয়ে মনে হলো, বিদ্যালয়টিকে সঠিক ট্র্যাকে আনতে অন্য বিদ্যালয় থেকে দক্ষ ও সৎ একজন শিক্ষককে এখানে দায়িত্ব দিতে হবে। অন্যথায় এ বিদ্যালয় উঠে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে হয় না।
কিশোরগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাইকে পারিবারিক বাসাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার শহরের গৌরাঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন ছোট ভাই আ. করিম মোল্লা।
১১ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃষক স্বপন মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. বিল্লাল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর হাজী ক্যাম্প রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১২ মিনিট আগেমূল সড়কে অটোরিকশা চালানোর দাবিতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় চালকেরা বিক্ষোভ করলে মারধরের শিকার হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাঁদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে...
৩৮ মিনিট আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
২ ঘণ্টা আগে