নোয়াখালী প্রতিনিধি
মাত্র কয়েক দিন আগেও বাড়ির উঠান জুড়ে খেলায় মেতে থাকত ৪ বছর বয়সী শিশু তাসফিয়া। আশা ছিল বাবা দেশে আসার পর এক সঙ্গে ঈদের আনন্দে মেতে ওঠার। কিন্তু বাবা দেশে এলেও বাবা-মা বা পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা হলো না শিশু তাসফিয়ার। ঈদের মাত্র কয়েক দিন আগেই সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারায় এ ফুটফুটে শিশুটি।
পুরো এলাকায় ঈদের আমেজ বিরাজ করলেও সুনসান নীরবতা তাসফিয়ার পরিবারে। শোকে পাথর হয়ে গেছেন মা-বাবা। নিহতের পরিবার ও স্বজনরা বলেন, আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার সকল আসামিদের শাস্তি যেন দ্রুত নিশ্চিত হয়।
একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে ঈদের আনন্দ ভুলে গেছেন তাসফিয়ার বাবা মাওলানা আবু জাহের ও মা জেসমিন আক্তার। আর কোনো দিন তাসফিয়ার জন্য ঈদের নতুন জামা কেনা হবে না। গত বছর বাবা বিদেশে থাকলেও মায়ের সঙ্গে ঈদ আনন্দে মেতে ছিল তাসফিয়া। ওই বছরের মতো এবার আর দেওয়া হবে না মেহেদি। আর কখনো আবদার করবে না নতুন জুতো আর ঈদের জামার। বাবা বিদেশে থেকে তাসফিয়ার জন্য যে উপহার এনেছিল সবগুলো ওভাবেই পড়ে আছে আলমারিতে।
তাসফিয়ার মা জেসমিন আক্তার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘যারা আমার তাসফিয়াকে আমার বুক থেকে নিয়ে গেছে, যারা আমার বুক খালি করেছে আমি তাঁদের ফাঁসি চাই। গত ঈদে আমি কোলে বসিয়ে আমার মেয়ের হাতে মেহেদি লাগিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু এ ঈদে আমার মেয়ে আমার কোলে নেই। ঈদে নতুন জামা-কাপড় পরে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে ছুটে যেত। তাসফিয়ার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।’
তাসফিয়ার বাবা মাওলানা আবু জাহের বলেন, ‘৮ বছর পর যাকে নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার কথা আর সেই যখন নেই তখন কাকে নিয়ে ঈদ করব? কাকে নিয়ে আনন্দ করব? আমার আনন্দ উল্লাস করার প্রয়োজন নেই। নিরাপদ স্থানে থেকেও যখন মেয়েকে হারিয়ে ফেললাম তখন এ বেদনা কীভাবে ভুলতে পারি। মাঝে মাঝে চিন্তা হয় আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে? বাড়িতে কেউ নেই, বাড়ির নিরাপত্তা কে দেবে? পাষাণরা আমার মেয়েকে বাঁচতে দিল না।’
প্রসঙ্গত, তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি রিমনসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু এখনো উদ্ধার হয়নি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সেই অস্ত্রটি।
মাত্র কয়েক দিন আগেও বাড়ির উঠান জুড়ে খেলায় মেতে থাকত ৪ বছর বয়সী শিশু তাসফিয়া। আশা ছিল বাবা দেশে আসার পর এক সঙ্গে ঈদের আনন্দে মেতে ওঠার। কিন্তু বাবা দেশে এলেও বাবা-মা বা পরিবারের সঙ্গে ঈদ করা হলো না শিশু তাসফিয়ার। ঈদের মাত্র কয়েক দিন আগেই সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ হারায় এ ফুটফুটে শিশুটি।
পুরো এলাকায় ঈদের আমেজ বিরাজ করলেও সুনসান নীরবতা তাসফিয়ার পরিবারে। শোকে পাথর হয়ে গেছেন মা-বাবা। নিহতের পরিবার ও স্বজনরা বলেন, আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার সকল আসামিদের শাস্তি যেন দ্রুত নিশ্চিত হয়।
একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে ঈদের আনন্দ ভুলে গেছেন তাসফিয়ার বাবা মাওলানা আবু জাহের ও মা জেসমিন আক্তার। আর কোনো দিন তাসফিয়ার জন্য ঈদের নতুন জামা কেনা হবে না। গত বছর বাবা বিদেশে থাকলেও মায়ের সঙ্গে ঈদ আনন্দে মেতে ছিল তাসফিয়া। ওই বছরের মতো এবার আর দেওয়া হবে না মেহেদি। আর কখনো আবদার করবে না নতুন জুতো আর ঈদের জামার। বাবা বিদেশে থেকে তাসফিয়ার জন্য যে উপহার এনেছিল সবগুলো ওভাবেই পড়ে আছে আলমারিতে।
তাসফিয়ার মা জেসমিন আক্তার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘যারা আমার তাসফিয়াকে আমার বুক থেকে নিয়ে গেছে, যারা আমার বুক খালি করেছে আমি তাঁদের ফাঁসি চাই। গত ঈদে আমি কোলে বসিয়ে আমার মেয়ের হাতে মেহেদি লাগিয়ে দিয়েছিলাম, কিন্তু এ ঈদে আমার মেয়ে আমার কোলে নেই। ঈদে নতুন জামা-কাপড় পরে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে ছুটে যেত। তাসফিয়ার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।’
তাসফিয়ার বাবা মাওলানা আবু জাহের বলেন, ‘৮ বছর পর যাকে নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার কথা আর সেই যখন নেই তখন কাকে নিয়ে ঈদ করব? কাকে নিয়ে আনন্দ করব? আমার আনন্দ উল্লাস করার প্রয়োজন নেই। নিরাপদ স্থানে থেকেও যখন মেয়েকে হারিয়ে ফেললাম তখন এ বেদনা কীভাবে ভুলতে পারি। মাঝে মাঝে চিন্তা হয় আমাদের নিরাপত্তা কে দেবে? বাড়িতে কেউ নেই, বাড়ির নিরাপত্তা কে দেবে? পাষাণরা আমার মেয়েকে বাঁচতে দিল না।’
প্রসঙ্গত, তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি রিমনসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু এখনো উদ্ধার হয়নি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সেই অস্ত্রটি।
একসময় গ্রামবাংলার চেনা দৃশ্য ছিল দল বেঁধে মাছ ধরা। বৃষ্টির পরে নদী-খালে পানি বাড়লেই পাড়ায় পাড়ায় শুরু হতো মাছ ধরার উৎসব। পলো হাতে সবাই মিলে নদীতে নেমে যেত, চারপাশে ছড়িয়ে পড়ত আনন্দের ঢেউ। তবে কালের বিবর্তনে সেই উৎসব এখন প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।
১১ মিনিট আগেবিচার বিভাগীয় সংস্কারে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ অপরিহার্য। কার্যকর এডিআর ব্যবস্থার মাধ্যমে মামলার দীর্ঘসূত্রতা ও মামলা জট কমানো সম্ভব। ব্লাস্ট আয়োজিত ‘বিচার বিভাগীয় ও পুলিশ সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাবিত সুপারিশমালা’ শীর্ষক আলোচনায় এ সব কথা উঠে আসে। গত মঙ্গলবার রাজধানীর বিশ্ব সাহিত
১৪ মিনিট আগেনিহত শাহরিয়ার নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার চারকাতিয়া গ্রামের মো. ললিত মিয়ার ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার স্থানীয় মুনমুনের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় প্যারামাউন্ট কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর মামা রনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের হুসেন আলীর ছেলে।
২২ মিনিট আগেমাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ ঠেঙ্গামারা গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে ১২টি তাজা ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেলগুলো উদ্ধার করে।
৩১ মিনিট আগে