কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঘোলপাশা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নুরুল বাহারকে মাদক মামলায় সম্প্রতি ২ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত। রায়ে তাঁকে পলাতক দেখানো হয়েছে। কিন্তু এখনো ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কার্যক্রমে নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন তিনি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন জানিয়ে ইউপির কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নুরুল বাহার নিজেই। অন্যদিকে আদালতের রায়ের কপি পেলে এ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউএনও। 

জানা গেছে, গত ১৬ই মার্চ অবৈধ মদ, গাঁজা, ফেন্সিডিল রাখার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইউপি সদস্য নুরুল বাহারসহ চার জনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোছা. মরিয়ম মুন মুহুরী এ রায় দেন। দণ্ডিত অপর পলাতক আসামিরা হলেন, উপজেলার শালুকিয়া (আমানগন্ডা) গ্রামের মো. মাসুদ মিয়া ওরফে কলি, সাদ্দাম, মো. ওয়াসিম। চৌদ্দগ্রাম থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক কায়সার হামিদ ২০১৬ সালের ১৬ই ফেব্রয়ারি এই মামলা করেন। 

এ নিয়ে ইউপি সদস্য নুরুল বাহার বলেন, ‘আমি নিয়মিত ঘোলপাশা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছি।’ আদালতের রায়ে পলাতক দেখানোর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘এই রায়ের বিরুদ্ধে আমি উচ্চ আদালতে আপিল করব।’ 

ঘোলপাশা ইউপির চেয়ারম্যান এ. কে খোকন বলেন, ‘আদালতের রায়ের বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যেহেতু আদালতে রায় হয়েছে সেহেতু এ বিষয়ে যেকোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করব।’ 

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভরঞ্জন চাকমা বলেন, ‘আমরা এখনো আদালতের রায়ের কোনো কপি হাতে পাইনি। রায়ের কপি পেলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’ 

এ নিয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন বলেন, ‘দণ্ডিত কোনো আসামি জনপ্রতিনিধিত্ব করতে পারে না। বিষয়টি আমি এখন আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজ খবর নিয়ে শিগশিগরই এ নিয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।’