ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মধ্যে খাবার পানি ও বিস্কুট বিতরণ করছিলেন তিনি। তাঁর এক ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুগ্ধের মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন দাবি ও সংশয় ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন, ‘আওয়ামী লীগ পরিবার’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে দাবি করা হয়, ‘মুগ্ধ মারা যায়নি, মুগ্ধ নামে কেউ ছিলই না! মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ দুই ভাই নয়, মুগ্ধই স্নিগ্ধ ছিল। মানুষ একজনই!’ মুগ্ধের মৃত্যুর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে ‘কুমিল্লার জাগরণ’ নামে একটি পেজ থেকে পোস্ট করে লেখা হয়, ‘মুগ্ধর ডেডবডির ছবি কেউ দেখে নাই, মুগ্ধর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, জানাজা, কবর কই?’
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে খোলা একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে লেখা হয়, ‘আচ্ছা মুগ্ধ বা স্নিগ্ধ একজন না কি আলাদা দুজন, এটা প্রমাণ করা কি খুব কঠিন কাজ? ইনশা আল্লাহ সব সত্য একদিন জাতির সামনে উন্মোচিত হবেই।’ আবার কিছু কিছু ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়, ‘মুগ্ধ মারা যায়নি, মুগ্ধ নামে কেউ ছিলই না! মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ দুই ভাই নয়, মুগ্ধই স্নিগ্ধ ছিল। ...মুগ্ধর ফেসবুক আইডির নাম পরিবর্তন হয়ে স্নিগ্ধ করা হয়েছে।’
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মুগ্ধ আর স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি নন। তাঁরা দুজন যমজ ভাই। এর মধ্যে মুগ্ধ গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
মুগ্ধের মৃত্যুর বর্ণনা দিয়ে বিবিসি বাংলা গত ২৬ জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে লিখেছে, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র মুগ্ধ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন ঢাকার উত্তরা এলাকায়। তাঁর বাসাও সেখানে। মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যখন লুটিয়ে পড়ছিলেন তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল। গত ১৮ জুলাই মুগ্ধের রক্তে যখন রাস্তা ভেসে যাচ্ছিল, তখন তাঁর বন্ধুরা বহু সংগ্রাম করেও সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিতে পারেননি।
মুগ্ধর বন্ধু আশিকের ফেসবুক পোস্টের বর্ণনা দিয়ে বিবিসি লিখেছে, ‘অসংখ্য পুলিশ অস্ত্র হাতে এগিয়ে আসছিল। কিছুক্ষণ পর রিকশায় করে মুগ্ধকে নিকটস্থ ক্রিসেন্ট হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
মুগ্ধ যখন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, তখন তাঁর কাছাকাছি ছিলেন বন্ধু জাকিরুল ইসলাম। মুগ্ধর কপালে গুলি লাগার দৃশ্যকে তিনি বিবিসি বাংলার কাছে এভাবে বর্ণনা করেন, “গুলি লাগছিল কপালে, মেয়েরা যেখানে টিপ পরে...ডান কানের পাশ দিয়ে গুলিটা বের হয়ে গেছে।’
জাকির বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘গুলি লাগার পর ওর মাথার ঘিলু বের হয়ে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলেই, আমাদের চোখের সামনেই ও মারা গেল।’
বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এটিএন বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে ২৮ সেপ্টেম্বর মুগ্ধকে নিয়ে করা একটি প্রতিবেদনে বুলেটবিদ্ধ মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা মুগ্ধের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। সেই ভিডিওতে মুগ্ধকে আন্দোলনকারীদের মধ্যে পানি বিতরণের সময়ে পরে থাকা টি–শার্টেই দেখা যায়। এই সময় হাসপাতালে সিগ্ধকেও দেখা যায়।
প্রতিবেদনটিতে মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ বলেন, ‘আমরা একসাথেই সেখানে পানি, বিস্কুট, বিভিন্ন শুকনা খাবার নিয়ে আন্দোলনকারীদেরকে হেল্প করতেছিলাম।’
মুগ্ধের আরেক ভাই দীপ্ত এটিএন নিউজকে তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করে প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা মামলা করিনি। কারণ, আমরা আসলে চাই যে বিচার হলে যেন ন্যায়বিচার হয়। আমরা এসব ঘটনার ক্ষেত্রে দেখেছি, অজ্ঞাতনামা দিয়ে মামলা করার পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থে অজ্ঞাতনামাদের মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তিদের নাম ঢুকিয়ে হয়রানি করা হয়।’
পরে আরও খুঁজে ফেসবুকে মুগ্ধ ও স্নিগ্ধের বেশ কিছু ছবিও পাওয়া যায়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে খলিলুর রহমান সৈকত নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের দুজনের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন! মুগ্ধ ভাই ছিল, মুগ্ধ ভাই আছে, মুগ্ধ থাকবে আমাদের এর মনে। এইখানে সত্যতা প্রমাণ করার কিছু নাই। তাকে নিয়ে আমাদের এত স্মৃতি তা আর বলার মত কিছু নেই। আপনারা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। তার এই ত্যাগকে অন্য দিকে নেয়ার চেষ্টা করবেন না। আর স্নিগ্ধ ভাই তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে আহত বীরযোদ্ধা ও নিহত শহীদ পরিবারের পাশে থাকার জন্য। দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। আবার বলব গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।’
আব্দুল্লাহ বিন খলিল নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২৩ সালে মুগ্ধ ও স্নিগ্ধের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ট্যাগ করে তাঁদের দুজনের ছবি পোস্ট করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়। ২০২২ সালের একটি পোস্টেও তাঁদের দুজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ট্যাগ করে দেওয়া একটি পোস্টে দুজনের ছবি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) এমবিএরত অবস্থায় নিহত মুগ্ধ এর আগে পড়াশোনা করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। সেখান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে গত মার্চে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। তাঁর স্মৃতিচারণা করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ আবদুস সামাদ বলেন, ‘মুগ্ধ অসাধারণ একটি ছেলে ছিল। কারও সঙ্গে কখনো গোলমাল, বেয়াদবি করতে দেখিনি বা শুনিনি। ক্লাসে ওকে বকা দিলে এমনভাবে হেসে দিত, পরে ওকে আর কিছুই বলতে পারতাম না।’
তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুগ্ধের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া তাঁর নামে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ব্যবসা অনুষদ ভবনটি ‘শহীদ মীর মুগ্ধ টাওয়ার’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিইউপির রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম ফয়সাল বাতেন সময় সংবাদকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। এখন থেকে বিইউপির ব্যবসা অনুষদ ভবনটি শহীদ মীর মুগ্ধ টাওয়ার হিসেবে পরিচিত হবে।’
এসব কিছুই প্রমাণ করে, মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ এক ব্যক্তি নন। বরং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের সঙ্গে তাঁর যমজ ভাই স্নিগ্ধকে জড়িয়ে ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের মধ্যে খাবার পানি ও বিস্কুট বিতরণ করছিলেন তিনি। তাঁর এক ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
গতকাল বুধবার (২০ নভেম্বর) রাত থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুগ্ধের মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন দাবি ও সংশয় ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। যেমন, ‘আওয়ামী লীগ পরিবার’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে দাবি করা হয়, ‘মুগ্ধ মারা যায়নি, মুগ্ধ নামে কেউ ছিলই না! মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ দুই ভাই নয়, মুগ্ধই স্নিগ্ধ ছিল। মানুষ একজনই!’ মুগ্ধের মৃত্যুর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে ‘কুমিল্লার জাগরণ’ নামে একটি পেজ থেকে পোস্ট করে লেখা হয়, ‘মুগ্ধর ডেডবডির ছবি কেউ দেখে নাই, মুগ্ধর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট, জানাজা, কবর কই?’
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে খোলা একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে লেখা হয়, ‘আচ্ছা মুগ্ধ বা স্নিগ্ধ একজন না কি আলাদা দুজন, এটা প্রমাণ করা কি খুব কঠিন কাজ? ইনশা আল্লাহ সব সত্য একদিন জাতির সামনে উন্মোচিত হবেই।’ আবার কিছু কিছু ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়, ‘মুগ্ধ মারা যায়নি, মুগ্ধ নামে কেউ ছিলই না! মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ দুই ভাই নয়, মুগ্ধই স্নিগ্ধ ছিল। ...মুগ্ধর ফেসবুক আইডির নাম পরিবর্তন হয়ে স্নিগ্ধ করা হয়েছে।’
আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানে দেখা যায়, মুগ্ধ আর স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি নন। তাঁরা দুজন যমজ ভাই। এর মধ্যে মুগ্ধ গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
মুগ্ধের মৃত্যুর বর্ণনা দিয়ে বিবিসি বাংলা গত ২৬ জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে লিখেছে, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র মুগ্ধ বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন ঢাকার উত্তরা এলাকায়। তাঁর বাসাও সেখানে। মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে যখন লুটিয়ে পড়ছিলেন তখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল। গত ১৮ জুলাই মুগ্ধের রক্তে যখন রাস্তা ভেসে যাচ্ছিল, তখন তাঁর বন্ধুরা বহু সংগ্রাম করেও সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিতে পারেননি।
মুগ্ধর বন্ধু আশিকের ফেসবুক পোস্টের বর্ণনা দিয়ে বিবিসি লিখেছে, ‘অসংখ্য পুলিশ অস্ত্র হাতে এগিয়ে আসছিল। কিছুক্ষণ পর রিকশায় করে মুগ্ধকে নিকটস্থ ক্রিসেন্ট হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
মুগ্ধ যখন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন, তখন তাঁর কাছাকাছি ছিলেন বন্ধু জাকিরুল ইসলাম। মুগ্ধর কপালে গুলি লাগার দৃশ্যকে তিনি বিবিসি বাংলার কাছে এভাবে বর্ণনা করেন, “গুলি লাগছিল কপালে, মেয়েরা যেখানে টিপ পরে...ডান কানের পাশ দিয়ে গুলিটা বের হয়ে গেছে।’
জাকির বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘গুলি লাগার পর ওর মাথার ঘিলু বের হয়ে গিয়েছিল। ঘটনাস্থলেই, আমাদের চোখের সামনেই ও মারা গেল।’
বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এটিএন বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে ২৮ সেপ্টেম্বর মুগ্ধকে নিয়ে করা একটি প্রতিবেদনে বুলেটবিদ্ধ মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা মুগ্ধের একটি ভিডিও পাওয়া যায়। সেই ভিডিওতে মুগ্ধকে আন্দোলনকারীদের মধ্যে পানি বিতরণের সময়ে পরে থাকা টি–শার্টেই দেখা যায়। এই সময় হাসপাতালে সিগ্ধকেও দেখা যায়।
প্রতিবেদনটিতে মুগ্ধের ভাই স্নিগ্ধ বলেন, ‘আমরা একসাথেই সেখানে পানি, বিস্কুট, বিভিন্ন শুকনা খাবার নিয়ে আন্দোলনকারীদেরকে হেল্প করতেছিলাম।’
মুগ্ধের আরেক ভাই দীপ্ত এটিএন নিউজকে তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করে প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা মামলা করিনি। কারণ, আমরা আসলে চাই যে বিচার হলে যেন ন্যায়বিচার হয়। আমরা এসব ঘটনার ক্ষেত্রে দেখেছি, অজ্ঞাতনামা দিয়ে মামলা করার পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের স্বার্থে অজ্ঞাতনামাদের মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তিদের নাম ঢুকিয়ে হয়রানি করা হয়।’
পরে আরও খুঁজে ফেসবুকে মুগ্ধ ও স্নিগ্ধের বেশ কিছু ছবিও পাওয়া যায়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া গুজবের পরিপ্রেক্ষিতে খলিলুর রহমান সৈকত নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের দুজনের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন! মুগ্ধ ভাই ছিল, মুগ্ধ ভাই আছে, মুগ্ধ থাকবে আমাদের এর মনে। এইখানে সত্যতা প্রমাণ করার কিছু নাই। তাকে নিয়ে আমাদের এত স্মৃতি তা আর বলার মত কিছু নেই। আপনারা গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। তার এই ত্যাগকে অন্য দিকে নেয়ার চেষ্টা করবেন না। আর স্নিগ্ধ ভাই তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে আহত বীরযোদ্ধা ও নিহত শহীদ পরিবারের পাশে থাকার জন্য। দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে। আবার বলব গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।’
আব্দুল্লাহ বিন খলিল নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ২০২৩ সালে মুগ্ধ ও স্নিগ্ধের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ট্যাগ করে তাঁদের দুজনের ছবি পোস্ট করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়। ২০২২ সালের একটি পোস্টেও তাঁদের দুজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ট্যাগ করে দেওয়া একটি পোস্টে দুজনের ছবি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসে (বিইউপি) এমবিএরত অবস্থায় নিহত মুগ্ধ এর আগে পড়াশোনা করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। সেখান থেকে স্নাতক সম্পন্ন করে গত মার্চে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। তাঁর স্মৃতিচারণা করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ আবদুস সামাদ বলেন, ‘মুগ্ধ অসাধারণ একটি ছেলে ছিল। কারও সঙ্গে কখনো গোলমাল, বেয়াদবি করতে দেখিনি বা শুনিনি। ক্লাসে ওকে বকা দিলে এমনভাবে হেসে দিত, পরে ওকে আর কিছুই বলতে পারতাম না।’
তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুগ্ধের স্মরণে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া তাঁর নামে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ব্যবসা অনুষদ ভবনটি ‘শহীদ মীর মুগ্ধ টাওয়ার’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিইউপির রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম ফয়সাল বাতেন সময় সংবাদকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বলেন, ‘ইতিমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে। এখন থেকে বিইউপির ব্যবসা অনুষদ ভবনটি শহীদ মীর মুগ্ধ টাওয়ার হিসেবে পরিচিত হবে।’
এসব কিছুই প্রমাণ করে, মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ এক ব্যক্তি নন। বরং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মুগ্ধের সঙ্গে তাঁর যমজ ভাই স্নিগ্ধকে জড়িয়ে ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
১১ ঘণ্টা আগেবর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি কল রেকর্ডে শেখ হাসিনার কণ্ঠে দাবি করা হয়, ‘চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেল, সাথে সাথে গুলি করল। সেখানে একজন মারা গেল এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিল।’
২ দিন আগেমাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (সাবেক টুইটার) ‘ডোনাল্ড জে ট্রাম্প আপডেট (Donald J. Trump Update)’ নামের একটি ভেরিফায়েড হ্যান্ডল থেকে গত রোববার (১৭ নভেম্বর) তুলসী গ্যাবার্ডের ভিডিওটি টুইট করা হয়। টুইটে লেখা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘুদের নিয়ে কথা...
৩ দিন আগে