করোনাতেও আখাউড়া স্থলবন্দরে আয় বেড়েছে

সাদ্দাম হোসেন, আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২১, ১০: ৩৯

করোনা পরিস্থিতিতে আখাউড়া স্থলবন্দর সীমান্তপথে পাসপোর্টধারী স্বাভাবিক যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকায় ভ্রমণ কর কমেছে। তবে রপ্তানি কার্যক্রম অনেকটাই স্বাভাবিক থাকায় আখাউড়া স্থলবন্দরে বিগত অর্থ বছরের তুলনায় রপ্তানি আয় বেড়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও ২০২০-২১ অর্থবছরে এ বন্দর দিয়ে অতিরিক্ত ১৫৫ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদাকে কাজে লাগাতে পারলে রপ্তানি আয় আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আলী বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে এক হাজার কোটি টাকার পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য মাত্রা ধরা হলেও প্রায় সাতশ' কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছে। যা ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের তুলনায় ১৫৫ কোটি টাকা বেশি। 

২০২০-২০২১ অর্থ বছরে এ বন্দরে রপ্তানি হয়েছে ছয়শ' ৯৭ কোটি ৭০ লাখ এক হাজার ৭৫৮ টাকার পণ্য। সেখানে এর আগের অর্থ বছরে রপ্তানি হয় ৫৪২ কোটি ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৩০ টাকা।

তবে রপ্তানি বাড়লেও এ বন্দর দিয়ে দৃশ্যত নেই কোন আমদানি বাণিজ্য।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মাধ্যমে বন্দরের ব্যবসায়ীদের কাছে খবর আসে, নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্য ব্যতীত সব ধরনের পণ্য ভারত থেকে এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির প্রাথমিক অনুমোদন হয়েছে। এখন শুধু গেজেট হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।’ 

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কারক অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে ব্যবসায়ীদের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতীত সব ধরনের পণ্য আমদানির জন্য অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দেওয়ার।’ 

আখাউড়া স্থলবন্দর সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতীত সব পণ্য আমদানির অনুমোদন পাওয়া গেলে বন্দরে কর্মসংস্থান বাড়বে। বন্দর মাশুল এবং রাজস্ব আয় বাড়বে। চাঙা হয়ে উঠবে এই স্থলবন্দরটিও।’  

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত