Ajker Patrika

সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ দিন ধরে পানি নেই, দুর্ভোগে রোগীরা

সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮: ২৮
সোনাগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ দিন ধরে পানি নেই, দুর্ভোগে রোগীরা

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত বৃহস্পতিবার ঈদের দিন থেকে খাওয়ার ও ব্যবহারের পানি নেই। ফলে রোগী ও স্বজনেরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানলেও সমাধানে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ঈদুল ফিতরের দিন থেকে খাবারের বিশুদ্ধ পানি ও টয়লেটে কোনো পানিই না পাওয়ার অভিযোগ করেন। তাঁরা টয়লেটে ব্যবহার করার জন্য বাইরে থেকে বোতলে করে পানি নিয়ে প্রবেশ করেন। পর্যাপ্ত পানি ব্যবহার করতে না পারায় টয়লেটের দুর্গন্ধে নিশ্বাস নেওয়াও দায় হয়ে গেছে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ জানায়, পানির লাইনটি পুরোনো হয়ে যাওয়ায় বারবার নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়টি সিভিল সার্জন অফিসও অবগত আছে। ইঞ্জিনিয়ারকে বলা হলেও সময়মতো না আসায় ঠিক করা যাচ্ছে না। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া বিবি রানী দাস বলেন, ‘আমি ১৪ এপ্রিল ২টার দিকে হাসপাতালে আসি। ৩টার দিকে টয়লেটে যাওয়ার পর পানি না পাওয়ায় কয়েকজন নার্সকে জিজ্ঞেস করলে তারাও বলে পানির বিষয়ে কিছুই জানে না।’ 

চরচান্দিয়া ইউনিয়নের বিবি রহিমা বলেন, ‘১২ এপ্রিল আমি হাসপাতালে ভর্তি হই। সেদিন থেকেই পানি পাইনি। পানি না থাকায় আমরা বাইর থেকে ক্রয় করে টয়লেটের কাজে ব্যবহার করছি। অনেকে হাসপাতাল থেকে অনেক দূরে পুকুর থেকেও পানি এনে ব্যবহার করছেন।’ 

ভূঁইয়ার বাজার এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর অভিভাবক আকবর হোসেন জামশেদ বলেন, ‘আমরা ঈদের দিন থেকে হাসপাতালে আছি। এখানে বেশির ভাগ রোগী দরিদ্র। তাদের এমনিতেই কষ্টের শেষ নেই। এখন আবার পানির সংকট। এ কষ্ট মনে হয় দেখার কেউ নেয়। সবাই শুধু ফটোসেশন নিয়ে ব্যস্ত থাকে।’ 

টয়লেট ব্যবহার করার জন্য বোতলে করে পানি নিয়ে যাচ্ছে রোগীরাস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পাম্প নিয়ে কাজ করছি, যাতে এটিকে নতুনভাবে স্থাপন করা যায়। ঈদের দিন আমাকে জানানো হয়েছে পানির সমস্যার কথা। কিন্তু ঈদের ছুটির কারণে সব বন্ধ থাকায় লোকজন পাওয়া যায়নি। আগামীকাল (১৬ এপ্রিল) নতুনভাবে লাইন বসিয়ে পানির জন্য কাজ করা হবে।’ 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা উৎফল দাশ বলেন, ‘পানিসংকটের বিষয়টি সবাইকে জানানো হয়েছে। বারবার বলার পরও সমাধান হচ্ছে না। আমরা নিজেই এসব বিষয়ে খুবই মর্মাহত। প্রকৌশলী জানিয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করা হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত