সমির মল্লিক, খাগড়াছড়ি
নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও খাগড়াছড়িতে গত এক দশকে বিকশিত হয়েছে পর্যটন খাত। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক যোগাযোগ বিস্তৃত হওয়ায় এর অগ্রগতি হয়েছে। ‘ফাউন্টেন টুরিজম’ (ঝরনা পর্যটন) পাহাড়ে পর্যটনে সমৃদ্ধি আনবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে পর্যটকদের নিরাপত্তা সংকটসহ অনেক পর্যটন কেন্দ্র দুর্গম হওয়ায় অনেক পর্যটক এই সব এলাকায় ভ্রমণে আগ্রহী হচ্ছেন না।
খাগড়াছড়িতে ছোটবড় ঝরনার সংখ্যা দশটি। এ মধ্যে রিছাং ঝরনা, শিলাছড়ি, তৈদুছড়া, তুয়ারি মাইরাং, হরিণামারা, তৈছামা, হাজাছড়া অন্যতম। ঝরনার গড় উচ্চতা ৫০ থেকে ৬০ ফুট। ভরা বর্ষায় প্রাণ ফিরে পায় এসব ঝরনা। নয়নাভিরাম এসব ঝরনাকে ঘিরে খাগড়াছড়িতে সম্ভাবনাময় ‘ফাউন্টেন টুরিজম’।
জেলার দীঘিনালায় তৈদুছড়া-১ ও তৈদুছড়া-২ ঝরনা অবস্থিত। এসব এলাকায় সড়ক যোগাযোগ না থাকায় হেঁটে এসব ঝরনা পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ২ ঘণ্টা। ফলে সব বয়সী পর্যটক এখানে যেতে পারে না। এ রকম আরও ৫টি ঝরনা রয়েছে এই এলাকায়।
ঝরনা সংলগ্ন এলাকার ইউপি সদস্য গণেশ ত্রিপুরা জানান, ‘আমার এলাকায় তৈদুছড়া, তুয়ারি মাইরাং, তৈছামাসহ ৫টি ঝরনা রয়েছে। তবে সম্ভাবনা সত্ত্বে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় এখানে পর্যটন বিকশিত হচ্ছে না। অনেক দেশ কমিউনিটি টুরিজমের মাধ্যমে উন্নয়ন হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ একেবারে বঞ্চিত।’
জেলা পরিষদ পার্কের আহ্বায়ক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল বলেন, ‘এখানকার অর্থনীতি মূলত কৃষি ও বন নির্ভর। এর বাইরে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হল পর্যটন। জেলা পরিষদের উদ্যোগে ঝুলন্ত সেতুসহ পার্ক গড়ে তোলায় এটি এখন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এখানে পর্যটন কেন্দ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন ও নিরাপত্তা জোরদার করা গেলে পর্যটন খাত আরও সমৃদ্ধ হবে। এ ছাড়া পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে টুরিস্ট পুলিশের টহল বাড়াতে হবে।’
ঝরনা কেন্দ্রিক পর্যটন গড়ে তোলার জন্য প্রাকৃতিক ঝরনা রক্ষায় বন ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং বনায়নের পরামর্শ দিয়েছে খাগড়াছড়ির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সরোয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রচুর প্রাকৃতিক ঝরনা রয়েছে। এসব ঝরনায় বর্ষায় যেভাবে পানি প্রবাহিত হয় তা ধরে রাখতে গেলে আমাদের বন রক্ষা করতে হবে। নতুন করে বনায়ন ও পরিবেশ সুরক্ষা করতে হবে।
পর্যটকদের নিরাপত্তা দান প্রসঙ্গে টুরিস্ট পুলিশ খাগড়াছড়ি ইউনিটের ইনচার্জ বিজন কুমার দাশ বলেন ‘আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, জেলা পরিষদ এলাকায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে টুরিস্ট পুলিশ। তবে দুর্গম এলাকায় যেসব পর্যটন এলাকা রয়েছে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় টহল দিতে পারি না। এসব এলাকায় উন্নয়ন হলে টুরিস্ট পুলিশ সেবা দিতে পারবে।’
নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও খাগড়াছড়িতে গত এক দশকে বিকশিত হয়েছে পর্যটন খাত। সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক যোগাযোগ বিস্তৃত হওয়ায় এর অগ্রগতি হয়েছে। ‘ফাউন্টেন টুরিজম’ (ঝরনা পর্যটন) পাহাড়ে পর্যটনে সমৃদ্ধি আনবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। তবে পর্যটকদের নিরাপত্তা সংকটসহ অনেক পর্যটন কেন্দ্র দুর্গম হওয়ায় অনেক পর্যটক এই সব এলাকায় ভ্রমণে আগ্রহী হচ্ছেন না।
খাগড়াছড়িতে ছোটবড় ঝরনার সংখ্যা দশটি। এ মধ্যে রিছাং ঝরনা, শিলাছড়ি, তৈদুছড়া, তুয়ারি মাইরাং, হরিণামারা, তৈছামা, হাজাছড়া অন্যতম। ঝরনার গড় উচ্চতা ৫০ থেকে ৬০ ফুট। ভরা বর্ষায় প্রাণ ফিরে পায় এসব ঝরনা। নয়নাভিরাম এসব ঝরনাকে ঘিরে খাগড়াছড়িতে সম্ভাবনাময় ‘ফাউন্টেন টুরিজম’।
জেলার দীঘিনালায় তৈদুছড়া-১ ও তৈদুছড়া-২ ঝরনা অবস্থিত। এসব এলাকায় সড়ক যোগাযোগ না থাকায় হেঁটে এসব ঝরনা পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ২ ঘণ্টা। ফলে সব বয়সী পর্যটক এখানে যেতে পারে না। এ রকম আরও ৫টি ঝরনা রয়েছে এই এলাকায়।
ঝরনা সংলগ্ন এলাকার ইউপি সদস্য গণেশ ত্রিপুরা জানান, ‘আমার এলাকায় তৈদুছড়া, তুয়ারি মাইরাং, তৈছামাসহ ৫টি ঝরনা রয়েছে। তবে সম্ভাবনা সত্ত্বে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় এখানে পর্যটন বিকশিত হচ্ছে না। অনেক দেশ কমিউনিটি টুরিজমের মাধ্যমে উন্নয়ন হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষ একেবারে বঞ্চিত।’
জেলা পরিষদ পার্কের আহ্বায়ক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল বলেন, ‘এখানকার অর্থনীতি মূলত কৃষি ও বন নির্ভর। এর বাইরে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হল পর্যটন। জেলা পরিষদের উদ্যোগে ঝুলন্ত সেতুসহ পার্ক গড়ে তোলায় এটি এখন পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। এখানে পর্যটন কেন্দ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন ও নিরাপত্তা জোরদার করা গেলে পর্যটন খাত আরও সমৃদ্ধ হবে। এ ছাড়া পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে টুরিস্ট পুলিশের টহল বাড়াতে হবে।’
ঝরনা কেন্দ্রিক পর্যটন গড়ে তোলার জন্য প্রাকৃতিক ঝরনা রক্ষায় বন ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং বনায়নের পরামর্শ দিয়েছে খাগড়াছড়ির বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সরোয়ার আলম। তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রচুর প্রাকৃতিক ঝরনা রয়েছে। এসব ঝরনায় বর্ষায় যেভাবে পানি প্রবাহিত হয় তা ধরে রাখতে গেলে আমাদের বন রক্ষা করতে হবে। নতুন করে বনায়ন ও পরিবেশ সুরক্ষা করতে হবে।
পর্যটকদের নিরাপত্তা দান প্রসঙ্গে টুরিস্ট পুলিশ খাগড়াছড়ি ইউনিটের ইনচার্জ বিজন কুমার দাশ বলেন ‘আলুটিলা, রিছাং ঝরনা, জেলা পরিষদ এলাকায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিচ্ছে টুরিস্ট পুলিশ। তবে দুর্গম এলাকায় যেসব পর্যটন এলাকা রয়েছে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় টহল দিতে পারি না। এসব এলাকায় উন্নয়ন হলে টুরিস্ট পুলিশ সেবা দিতে পারবে।’
শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে যত রকম আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা যায়, তা-ই করছে সরকার।
৪ মিনিট আগেঝিনাইদহ সদরের বাতপুকুরিয়া গ্রামে পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংক থেকে রফিকুল ইসলাম রুবেল (৩৫) নামে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
১০ মিনিট আগেটাঙ্গাইলের মির্জাপুরে রাতের আঁধারে খননযন্ত্র দিয়ে নদীতীরের মাটি কেটে নেওয়ার অপরাধে চার ব্যক্তির কাছ থেকে ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলা সদরের বংশাই নদীর ত্রিমোহন ও লৌহজং নদীর পাকুল্যা ঋষিপাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন উপজ
১৯ মিনিট আগেমিয়ানমার থেকে পণ্য নিয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনা থেকে পণ্যবাহী তিনটি কার্গো ছিনিয়ে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি। নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়ায় গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে তল্লাশির কথা বলে কার্গোগুলো আটক করে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত জাহাজগুলো ছাড়েনি তারা।
২২ মিনিট আগে