Ajker Patrika

কাফনের কাপড় পরে গণসংযোগ বিদ্রোহী প্রার্থীর, আরেকজনের বিষপানের হুমকি

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, ১৩: ১৫
কাফনের কাপড় পরে গণসংযোগ বিদ্রোহী প্রার্থীর, আরেকজনের বিষপানের হুমকি

কাফনের কাপড় পরে নির্বাচনের গণসংযোগ করেছেন কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী প্রার্থী। আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে বিষপান করে আত্মহত্যার ঘোষণা দিলেন।

দেবীদ্বার পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের হুমকি, মারধর ও প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বহিষ্কৃত পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কাশেম ও আওয়ামী লীগ নেতা এম এ কাইয়ূম মজুমদার।

এ বিষয়ে আজ শনিবার বিকেলে কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌর এলাকার নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কৃত পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কাশেম।

সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাশেম বলেন, দেবীদ্বার পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে সরকার দলীয় প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শামীম নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রশাসন নীরব। পুলিশ পাহারায় ভোট কেনাসহ বিভিন্ন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন তিনি। বিভিন্ন স্থানে আমার লোকদের মারধরসহ প্রচারণা কাজে বাধা দিচ্ছেন। বহিরাগত লোকজন দিয়ে আমার লোকদের হুমকি দিচ্ছেন।’

সরকার দলীয় প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শামীম পক্ষে দেবীদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর প্রকাশ্যে কাজ করছে বলে অভিযোগ আবুল কাশেমের। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে দুদিন আগে দেবীদ্বার থানার ওসিসহ পুলিশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধরকে প্রত্যাহার করতে হবে।’

আবুল কাশেম বলেন, ‘দেবীদ্বারের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল সরকার দলীয় প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শামীমকে জিতানোর জন্য পৌরসভার কাছাকাছি তাঁর গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। পৌরসভার বাইরের সারা দেবীদ্বারের তাঁর সব নেতা-কর্মী ও গুন্ডা-মাস্তানকে ডেকে নিয়ে, তিনি দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। তাঁরা ভোটের দিন ১৪টি কেন্দ্রে অবস্থান করে আমার একনিষ্ঠ ভোটারদের হুমকি-ধমকি দেবেন, যাতে তাঁরা ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে না আসেন। এমন হলে ভোট মোটেও অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ হবে না।’

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন সরকার দলীয় প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শামীমের খুবই ঘনিষ্ঠ বলে দাবি আবুল কাশেমের। তিনি বলেন, ‘শামীমের ঘনিষ্ঠদের প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন আপন ভাই। এমতাবস্থায় তাঁরা দুজন মিলে শামীমকে পাশ করানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাশেম আরও বলেন, ‘আমি কাফনের কাপড় পরে মাঠে নেমেছি। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে আমি আত্মহত্যা করব।’

অপরদিকে আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী এম এ কাইয়ূম মজুমদারও একই দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দেবীদ্বার পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে ক্যারাম বোর্ড প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাইফুল ইসলাম (শামীম) নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আমারে নির্বাচনী কাজে বাধা, হামলা মারধর ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’

কাইয়ূম মজুমদার আরও বলেন, ‘দেবীদ্বারের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল সরকার দলীয় প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শামীমকে জয় লাভের জন্য পৌরসভার পাশে তাঁর গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। আমি নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ানোর কারণে তিনি আমার প্রতি ক্ষুব্ধ। তাঁর গুন্ডাবাহিনী দিয়ে যে কোনো সময় আমার ওপর হামলা করাতে পারেন। এমন হলে ভোট অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ হবে না। নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করলে ও সুষ্ঠু ভোট না হলে আমি বিষপান করব। এ জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য দায়ী থাকবেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজি মোহাম্মদ ফখরুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ধরেননি।

প্রার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে দেবীদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সঠিক নয়।’

নির্বাচনে মেয়র পদে আট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত (নারী) কাউন্সিলরের তিনটি পদে ১৮ ও সাধারণ ৯টি ওয়ার্ডে ৬৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দেবীদ্বার পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪৪ হাজার ৫০৯ জন। আগামী ১৭ জুলাই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুবশক্তির তিন নেতাকে হত্যার হুমকি, সোনারগাঁ থানায় জিডি

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের এনসিপির যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির তিন নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জের এনসিপির যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির তিন নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় জিডি করেছেন জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক মো. জাহিদুল হক।

জিডিতে জাহিদুল হক উল্লেখ করেন, গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে

তাঁর উদ্দেশে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে তাঁর সঙ্গে জাতীয় যুবশক্তি নারায়ণগঞ্জের আহ্বায়ক শাকিল সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক খাঁন সিয়ামের ছবি ব্যবহার করে গালাগালি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা ছিল—‘লিস্টে রাখলাম হঠাৎ করেই সোনারগাঁবাসী দেখবে লাশ’।

মো. জাহিদুল হক জানান, পোস্টটিতে তাঁকে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত দেখিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং জীবন নিরাপত্তাঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তিনি আরও জানান, তিনি জাতীয় যুবশক্তি (এনসিপি) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলার সাবেক মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমীন বলেন, ‘এ ঘটনায় ইতিমধ্যে জিডি করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত রয়েছি।’

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিববুল্লাহ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় জিডি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ফেসবুক আইডিটি শনাক্তের জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গমের জমিতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
গমের জমিতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গমের জমিতে ছাগল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাহাবুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার (৪৮) ও ছেলে। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মুন্দখৈর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাহাবুল ইসলাম মুন্দখৈর এলাকার মৃত মোজাফফর হোসেনের ছেলে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একই এলাকার সালামের দুটি ছাগল সাহাবুল ইসলামের গমের খেতে ঢুকে চারা নষ্ট করে। এ নিয়ে সাহাবুল ছাগল দুটিকে খোঁয়াড়ে দিলে সালামসহ কয়েকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে বিষয়টি নিয়ে সাহাবুল ইসলাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

গতকাল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেয় এবং বিষয়টি থানায় বসে মীমাংসার কথা বলে। তবে পুলিশ চলে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দিকে সালামসহ অন্যরা হাঁসুয়া, চাকু, রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে সাহাবুল ইসলামের ওপর হামলা চালান। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকেও মারধর করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাহাবুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পারুল আক্তার ও তাঁদের ছেলেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত সালাম ও তাঁর ছেলে রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।

আজ ফয়জুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. ওমর ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে এই মামলায় সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের জন্য তিনি এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনা এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শামীম গুরুতর আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ‎গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৬
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর

নানুয়ার দীঘিসংলগ্ন নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, তিনি শুরু থেকেই কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন কেনার বিষয়টি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। এ কারণে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না। তবে ভবিষ্যতে যদি এ আসনে দলীয় মনোনয়নে পরিবর্তন আসে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ব্যাপারে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, অতীতের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইয়াছিন তাঁর শ্যালককে প্রার্থী করেছিলেন। এতে ভোট বিভাজনের কারণে তিনি অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। একই ব্যক্তি পরবর্তী উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। এসব ঘটনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কাউকে দোষারোপ করেননি। এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনার আহ্বান জানান তিনি।

মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন, চূড়ান্ত মনোনয়নে দলের মনোনয়ন পরিবর্তন হয়ে যদি হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন পান তাহলে তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সাক্কু অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে উভয়কেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত