সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
পরিবারের একমাত্র উপার্জন ব্যক্তি ছিলেন প্রবেশ লাল শর্মা (৪৫)। তাঁর বেতনের টাকাতেই চলতো সংসার। বেতনের টাকায় স্ত্রী ও দুই ছেলে–মেয়ের মুখে খাওয়ার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যয়ভার নির্বাহ করতেন তিনি। আয় অল্প হলেও এতেই খুশি ছিল পরিবারের সবাই। সব মিলিয়ে ছোট্ট সংসারটি চলছিল অনেকটাই হাসি–খুশিতেই। কিন্তু গত শনিবার সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানার ভয়াবহ বিস্ফোরণে এ পরিবারের সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। বিস্ফোরণের ঘণ্টাখানেক আগেও যে মানুষটি মোবাইল ফোনে স্ত্রী ও ছেলে–মেয়ের খবর নিয়েছেন। কাজ শেষে ফেরার পথে তাদের জন্য পছন্দের খাবার নিয়ে বাড়ি ফিরবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেই মানুষটি আজ পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে।
এর আগে বিস্ফোরণে আহত হয়ে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে মারা যান প্রবেশ লাল শর্মা। নিহত প্রবেশ লাল শর্মা সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মতিলাল শর্মার পুত্র। তিনি সীমা অক্সিজেন কারখানার প্ল্যান্ট অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সরেজমিনে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বামীর মৃত্যুতে পাগলের মতো প্রলাপ করে কাঁদছেন স্ত্রী সীমা শর্মা। তার পাশে বসে বাবা বাবা বলে চিৎকার করে কাঁদছে নিহত প্রবেশের সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা বিদ্যা শর্মা। বিদ্যার কান্না থামাতে স্বজনরা এগিয়ে এলেও কিছু সময়ের জন্য তাদেরও কান্নার বাঁধ ভেঙে যায়। এই সময় উপস্থিত স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
প্রবেশের স্ত্রী সীমা শর্মা জানান, সকালে নাশতা করে কারখানার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে যান প্রবেশ। যাওয়ার সময় আজ কারখানায় বেতন হবে বলেও জানান তিনি। বেতন পেলে ছেলে-মেয়েদের জন্য গাইড বই ও তাদের পছন্দের খাবার নিয়ে ফেরার কথা জানান প্রবেশ। বিকেলে বিস্ফোরণের ঠিক ঘণ্টাখানেক আগে মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে কথা হয়। কথোপকথনকালে ছেলে–মেয়ের দুপুরের খাবার খেয়েছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করেন এবং কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফিরবেন বলে জানান।
সীমা শর্মা আরও বলেন, বিকেলে কারখানার অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তিনি প্রবেশের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রবেশের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে দুর্ঘটনার শঙ্কায় হৃদয় দুমড়ে-মুচড়ে উঠে তার। তিনি ছেলেকে নিয়ে কারখানা গেটে ছুটে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর প্রবেশকে আহতাবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে শুনলে পরে সেখানে ছুটে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তার মৃত্যু হয়। কর্তৃপক্ষ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ বিকেলে মরদেহ বুঝিয়ে দিলে তিনি বাড়ি ফেরেন। সন্ধ্যায় পারিবারিক শ্মশানে তার শেষকৃত্য করা হয়।
নিহত প্রবেশের কন্যা বিদ্যা শর্মা বলেন, ‘বাবা মোবাইল ফোনে আমাকে কথা দিয়েছিলেন, রাতে ফেরার সময় আমার জন্য গাইড বই নিয়ে আসবেন। সেই সঙ্গে নিয়ে আসবেন আমার পছন্দের খাবার। কিন্তু তা নিয়ে বাবার আর বাড়ি ফেরা হলো না। এখন কে আমাদের দেখবে, কে আমাকে সোনা মা বলে বুকে জড়িয়ে নিবে।’ এসব বলেই আবারও ডুগরে কেঁদে উঠলেন বিদ্যা।
বিদ্যা শর্মা আরও বলেন, ‘বাবাই ছিল আমাদের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বাবার উপার্জনে আমাদের পরিবারের ভরণপোষণের পাশাপাশি চলতো আমাদের লেখাপড়ার খরচ। বাবার মৃত্যুতে আমাদের মাথার ওপর থেকে যেন বটগাছটাই সরে গেল। এখন আর আমাদের দেখার মতো কেউ রইল না। বাবা ছাড়া আমাদের পরিবার কীভাবে চলবে, মা কীভাবে থাকবেন, আর আমরা দুই ভাইবোন কার কাছে আবদার করব।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার বেলা সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল (কেশবপুর) এলাকার সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ৭ জনের প্রাণহানিসহ ৩০ জন আহত হন। বিস্ফোরণে আগ্রাবাদ, সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরিবারের একমাত্র উপার্জন ব্যক্তি ছিলেন প্রবেশ লাল শর্মা (৪৫)। তাঁর বেতনের টাকাতেই চলতো সংসার। বেতনের টাকায় স্ত্রী ও দুই ছেলে–মেয়ের মুখে খাওয়ার তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সন্তানদের লেখাপড়ার ব্যয়ভার নির্বাহ করতেন তিনি। আয় অল্প হলেও এতেই খুশি ছিল পরিবারের সবাই। সব মিলিয়ে ছোট্ট সংসারটি চলছিল অনেকটাই হাসি–খুশিতেই। কিন্তু গত শনিবার সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন কারখানার ভয়াবহ বিস্ফোরণে এ পরিবারের সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে। বিস্ফোরণের ঘণ্টাখানেক আগেও যে মানুষটি মোবাইল ফোনে স্ত্রী ও ছেলে–মেয়ের খবর নিয়েছেন। কাজ শেষে ফেরার পথে তাদের জন্য পছন্দের খাবার নিয়ে বাড়ি ফিরবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সেই মানুষটি আজ পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে।
এর আগে বিস্ফোরণে আহত হয়ে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে মারা যান প্রবেশ লাল শর্মা। নিহত প্রবেশ লাল শর্মা সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত মতিলাল শর্মার পুত্র। তিনি সীমা অক্সিজেন কারখানার প্ল্যান্ট অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সরেজমিনে নিহতের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বামীর মৃত্যুতে পাগলের মতো প্রলাপ করে কাঁদছেন স্ত্রী সীমা শর্মা। তার পাশে বসে বাবা বাবা বলে চিৎকার করে কাঁদছে নিহত প্রবেশের সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা বিদ্যা শর্মা। বিদ্যার কান্না থামাতে স্বজনরা এগিয়ে এলেও কিছু সময়ের জন্য তাদেরও কান্নার বাঁধ ভেঙে যায়। এই সময় উপস্থিত স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
প্রবেশের স্ত্রী সীমা শর্মা জানান, সকালে নাশতা করে কারখানার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে যান প্রবেশ। যাওয়ার সময় আজ কারখানায় বেতন হবে বলেও জানান তিনি। বেতন পেলে ছেলে-মেয়েদের জন্য গাইড বই ও তাদের পছন্দের খাবার নিয়ে ফেরার কথা জানান প্রবেশ। বিকেলে বিস্ফোরণের ঠিক ঘণ্টাখানেক আগে মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে কথা হয়। কথোপকথনকালে ছেলে–মেয়ের দুপুরের খাবার খেয়েছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করেন এবং কাজ শেষে রাতে বাড়ি ফিরবেন বলে জানান।
সীমা শর্মা আরও বলেন, বিকেলে কারখানার অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তিনি প্রবেশের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু প্রবেশের মোবাইল ফোন বন্ধ পেয়ে দুর্ঘটনার শঙ্কায় হৃদয় দুমড়ে-মুচড়ে উঠে তার। তিনি ছেলেকে নিয়ে কারখানা গেটে ছুটে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর প্রবেশকে আহতাবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে শুনলে পরে সেখানে ছুটে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে তার মৃত্যু হয়। কর্তৃপক্ষ আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ বিকেলে মরদেহ বুঝিয়ে দিলে তিনি বাড়ি ফেরেন। সন্ধ্যায় পারিবারিক শ্মশানে তার শেষকৃত্য করা হয়।
নিহত প্রবেশের কন্যা বিদ্যা শর্মা বলেন, ‘বাবা মোবাইল ফোনে আমাকে কথা দিয়েছিলেন, রাতে ফেরার সময় আমার জন্য গাইড বই নিয়ে আসবেন। সেই সঙ্গে নিয়ে আসবেন আমার পছন্দের খাবার। কিন্তু তা নিয়ে বাবার আর বাড়ি ফেরা হলো না। এখন কে আমাদের দেখবে, কে আমাকে সোনা মা বলে বুকে জড়িয়ে নিবে।’ এসব বলেই আবারও ডুগরে কেঁদে উঠলেন বিদ্যা।
বিদ্যা শর্মা আরও বলেন, ‘বাবাই ছিল আমাদের সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বাবার উপার্জনে আমাদের পরিবারের ভরণপোষণের পাশাপাশি চলতো আমাদের লেখাপড়ার খরচ। বাবার মৃত্যুতে আমাদের মাথার ওপর থেকে যেন বটগাছটাই সরে গেল। এখন আর আমাদের দেখার মতো কেউ রইল না। বাবা ছাড়া আমাদের পরিবার কীভাবে চলবে, মা কীভাবে থাকবেন, আর আমরা দুই ভাইবোন কার কাছে আবদার করব।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার বেলা সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল (কেশবপুর) এলাকার সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট লিমিটেড কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ৭ জনের প্রাণহানিসহ ৩০ জন আহত হন। বিস্ফোরণে আগ্রাবাদ, সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
লক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১২ মিনিট আগেবগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৬ মিনিট আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
৩৯ মিনিট আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে বেধড়ক মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সড়কের পাশে তাঁদের ফেলে রেখে যায়।
১ ঘণ্টা আগে