Ajker Patrika

বাবুল আক্তারের করা দুটি আবেদনই খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫: ১৮
বাবুল আক্তারের করা দুটি আবেদনই খারিজ

হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে স্ত্রী হত্যায় অভিযুক্ত সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের করা দুটি মামলার আবেদনই খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালত এ দুটি মামলার আবেদনের শুনানি করে খারিজ করে দেন। 

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাবুল আক্তারের পক্ষে হেফাজতে নির্যাতনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত পিটিশন মামলাটি মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছা খারিজ করে আদেশ প্রদান করেন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ফেনী কারাগারের জেল সুপারকে নির্দেশের আবেদন ও নামঞ্জুর করা হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছেন, মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার। আর বাবুল আক্তার ছিলেন এসপি মর্যাদার। রিমান্ডে নিয়ে একজন পরিদর্শক এসপির মতো লোককে মারধর ও নির্যাতন করবে, এই কথাটা যুক্তিসংগত নয়। 

এ ছাড়া মিতু হত্যা মামলায় তিনি একাধিক আদালতে জামিন চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় তিনি এসব নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেননি। ১ বছর ৪ মাস কোনো আদালতে তিনি রিমান্ডে নির্যাতনের কথা বলেননি। 

মিতু হত্যায় বাবুল আক্তার অভিযুক্ত হওয়ার পর মূলত মামলাকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়া ও সময়ক্ষেপণ করার জন্য তিনি এই আবেদন করেছেন বলে আদালত মনে করছেন। ইতিমধ্যে আদালতে দাখিলকৃত চার্জশিটে বাবুল আক্তারকে আসামি করা হয়েছে বলে জানান ফখরুদ্দিন চৌধুরী। 

এই কারণে আদালত বাবুল আক্তারের দুটি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে বলে জানান মহানগর দায়রা আদালতের পিপি।

গত ৮ সেপ্টেম্বর হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে বাবুল আক্তার পিবিআইয়ের ছয় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁরা হলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার, সংস্থাটির চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা, পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও কাজী এনায়েত করিম।

নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩-এর ১৫ (১) এবং ৫ (২) ধারায় পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ গ্রহণের আবেদন করা হয়।  

মামলার আবেদনে অভিযোগ আনা হয়, ২০২১ সালের ১০ মে সকাল পৌনে ১০টা থেকে ১৭ মে বেলা ১টা পর্যন্ত পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর অফিসে তাঁকে (বাবুল আক্তার) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় গালিগালাজ ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করত। সারাক্ষণ হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এবং চোখ বেঁধে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় বাথরুমে নেওয়া হতো। প্যানের ওপর দাঁড় করিয়ে তারপর হ্যান্ডকাপ খুলত, কিন্তু চোখ বাঁধা থাকত। স্বীকারোক্তি দিতে রাজি করানোর জন্য তাঁর সঙ্গে নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর আচরণ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাঁকে ২৪ ঘণ্টা জাগিয়ে রাখা হয়। গোসল করতেও দেওয়া হতো না।

বাবুল আক্তারের ওই মামলার আবেদনের তিন দিন বাদে ফেনী কারাগারে বাবুলের কক্ষে তল্লাশির অভিযোগ ও নিরাপত্তা চেয়ে আদালতে আরেকটি আবেদন করেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী।

এর পরদিন ১৩ সেপ্টেম্বর মিতু হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ সাতজনকে আসামি করে আদালতে প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেয় পিবিআই। এতে বাবুলের করা মামলায় তাঁকে আসামি বানানো হয়। আগামী ১০ অক্টোবর আদালতে এই অভিযোগপত্র গ্রহণ শুনানির দিন ধার্য রয়েছে।

 ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার কাছেই গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি শুরুতে তদন্ত করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে আসে। ২০২১ সালে ১১ মে মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে এনে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই চট্টগ্রাম কার্যালয়। পরদিন ১২ মে পিবিআইয়ের প্রধান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বাবুল নিজেই তাঁর স্ত্রী হত্যার সঙ্গে জড়িত। 

বাবুলের করা মামলাটিতে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলাটির তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা। একই দিন বাবুলের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন পাঁচলাইশ থানায় বাবুলকে প্রধান আসামি করে আটজনের নামে নতুন একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তারের পর বাবুল কারাগারে রয়েছেন।

গত বছরের ৩ নভেম্বর বাবুলের করা মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ না করে মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এর আগে বাবুলের শ্বশুরের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গত ৬ মার্চ আদালত গ্রহণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ। ছবি: আজকের পত্রিকা
পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপি নেতা হাসান মামুনের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (দশমিনা–গলাচিপা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন। আজ সোমবার গলাচিপা উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

এই আসনে এরই মধ্যে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

এদিকে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদের মধ্যে আসন সমঝোতার ঘোষণার পরদিনই এই নেতার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যদিও বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়নি, তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনের পক্ষে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মীদের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে।

জানতে চাইলে গলাচিপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘ভিপি নুর নির্বাচন করুন বা না করুন, এই আসনে হাসান মামুনকে নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেব।’

এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে হাসান মামুনের সমর্থকেরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি বিধি অনুযায়ী সম্পন্ন করেছেন এবং সব প্রার্থীর ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সমভাবে প্রয়োগ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, আটক ১

জাবি প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে এক ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ‘বি’ ইউনিটের দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষা চলাকালে তাকে আটক করা হয়। আটক পরীক্ষার্থীর নাম সাদিয়া আমির মাহিন। সে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষার দিন দ্বিতীয় শিফটের পরীক্ষায় জহির রায়হান মিলনায়তন কেন্দ্রের ২ নম্বর কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছিল সাদিয়া আমির মাহিন। এ সময় মোবাইলে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে উত্তরপত্র পূরণ করছিল সে। বিষয়টি কক্ষ পরিদর্শকের নজরে এলে প্রক্টরিয়াল বডিকে অবগত করা হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধ শাস্তিযোগ্য। আমরা ইতিমধ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসককে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাবিতে পদত্যাগী ছয় ডিনের কাজের দায়িত্বে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যদ্বয়

রাবি প্রতিনিধি: 
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পদত্যাগ করা ছয় আওয়ামীপন্থী ডিনের কাজের দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ফরিদ উদ্দিন ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) মাঈন উদ্দিন। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) তাঁদের সাময়িকভাবে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ।

অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ বলেন, ছয়টি অনুষদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকিব, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও আইন অনুষদের দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ও ভূবিজ্ঞান অনুষদের দায়িত্ব পালন করবেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান।

এর আগে গতকাল রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মারের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের একাংশের আন্দোলনের মুখে আওয়ামীপন্থী ডিনেরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কাউনিয়ায় মহাসড়কে ঝরল দুই কৃষকের প্রাণ

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলায় পৃথকভাবে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক পার হতে গিয়ে প্রাইভেট কার ও অটোরিকশার ধাক্কায় দুই কৃষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাতে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) পৃথক মামলা হয়েছে। কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজমূল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিহত কৃষকেরা হলেন উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের খোর্দ্দ ভূতছাড়ার আবুল কালাম (৫৫) এবং কুর্শা ইউনিয়নের শিবু কুণ্ঠিরামের আলাল উদ্দিন (৫৫)।

ওসি নজমূল হক জানান, গতকাল রাতে কৃষক আবুল কালাম বেইলী ব্রিজ বাজার এলাকায় রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় মহাসড়কে একটি প্রাইভেট কার তাঁকে ধাক্কা দিলে মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়েন তিনি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান তিনি। এ ছাড়া একই দিন রাতে কৃষক আলাল উদ্দিন জুম্মারপাড় এলাকায় মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় তাঁকে একটি অটোরিকশা ধাক্কা দিলে তিনি সড়কের ওপর পড়ে আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে রমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান তিনি।

ওসি বলেন, নিহত ব্যক্তিদের দুই পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ অজ্ঞাতনামা প্রাইভেট কার ও অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা দুই গাড়িচালককে শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত