নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম। তিনটি মামলায় এ পর্যন্ত ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলায় জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানসহ ১৮৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় সাড়ে ৯০০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে জ্বালানি তেল, পরিবহন ভাড়া, নজিরবিহীন লোডশেডিংয়ের অব্যবস্থাপনা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিসহ পুলিশের গুলিতে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আব্দুর রহিমের হত্যার প্রতিবাদ ও কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। একই সময় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বিএনপির দেশব্যাপী চলমান বিক্ষোভের প্রতিবাদে সমাবেশ করছিল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

• নোয়াখালীতে আ. লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় পুলিশসহ আহত ১১, আটক ৩৩

এ সময় বিএনপির একটি মিছিল বড় মসজিদ মোড় হয়ে প্রেসক্লাবে বিএনপির আয়োজিত সভাস্থলে আসার সময় আওয়ামী লীগের সমাবেশ ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে পুলিশের ৮ সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন ও সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৮ রাউন্ড শটগানের ফাঁকাগুলি ছোড়ে।

এ বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আ. লীগ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল রাতে আবুল হাশেম বাদী হয়ে ১০৩ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। একই সঙ্গে পুলিশের ওপর হামলা ও বিস্ফোরকের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ জন ও অপর একটি মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০০-৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে। তাঁদের মধ্যে ২৯ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আজ সকালে বিচারক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।