নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম ওয়াসার গ্রাহকদের বিলের ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে থানায় সোপর্দ করা দুই কর্মচারীর জামিন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিকের আদালত শুনানি শেষে তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। গত মঙ্গলবার ৫৪ ধারায় তাঁদের আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।
এ দিকে অপর মামলায় অবৈধ সম্পদ অর্জনে একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক গাড়িচালক তাজুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী খাইরুন নেসার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া অভিযোগপত্র মঙ্গলবার গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটির বিচার নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বিল আত্মসাতের মামলায় জামিন পাওয়া ওয়াসার দুই কর্মচারী হলেন সংস্থাটির ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আজমির হোসেন অভি (২৭) ও মিঠুন ঘোষ (৩১)। এঁদের মধ্যে অভি ঢাকার দোহারের আতিয়ার রহমানের ছেলে। মিঠুন ঘোষ চট্টগ্রামের পটিয়ার ধলঘাট খান মোহনা গ্রামের অরুণ কান্তি ঘোষের ছেলে।
এ বিষয়ে দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, গ্রাহকের ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম ওয়াসার দুই কর্মচারীর জামিন দিয়েছেন আদালত। তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু এটি দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ, সেহেতু ওই দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে, তদন্ত হবে—এসব প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু মামলা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় দুই আসামির জামিন পাওয়াটা সঠিক হয়নি বলে আমার মত।’
তথ্যমতে, গ্রাহকদের কাছ থেকে বিলের টাকা আদায় করে ওয়াসার কম্পিউটার সিস্টেমে জমা দেখালেও, আদতে সে টাকা ওয়াসার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করত না একটি চক্র। প্রাথমিক তদন্তে প্রায় ২৫ লাখ টাকার অনিয়ম শনাক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় সোমবার আজমির ও মিঠুনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পাশাপাশি ওয়াসার কম্পিউটার প্রোগ্রামার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
এ দিকে ওয়াসার সাবেক গাড়িচালক তাজুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুদকের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে ২ হাজার টাকা বেতনে চট্টগ্রাম ওয়াসায় চালকের সহকারী (হেলপার) হয়ে চাকরি শুরু করেছিলেন তাজুল ইসলাম। এরপর ‘প্রমোশন’ পেয়ে হন গাড়িচালক। দুদক ২০২২ সালের ৫ মার্চ তাজুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী খাইরুন নেসার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২৩ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাজুলকে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আরও দুটি মামলা রয়েছে। তিন বছর মামলার তদন্ত শেষে চলতি বছরের শুরুতে আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এমরান হোসেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, স্ত্রী ও নিজের নামে তাজুল ইসলাম নগরের রৌফাবাদ এলাকায় ২০০২ সালে তিন শতক জায়গা কিনে পাঁচতলা বাড়ি করেন। অথচ তাঁর গৃহিণী স্ত্রীর আয়ের কোনো উৎস নেই। নিজের অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থকে বৈধতা দিতে স্ত্রীর নামে জমি কিনে বাড়ি করেন তাজুল। এ ছাড়া তাজুলের স্ত্রীর নামে মোট ৫৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ পায় দুদক।
চট্টগ্রাম ওয়াসার গ্রাহকদের বিলের ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে থানায় সোপর্দ করা দুই কর্মচারীর জামিন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিকের আদালত শুনানি শেষে তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। গত মঙ্গলবার ৫৪ ধারায় তাঁদের আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।
এ দিকে অপর মামলায় অবৈধ সম্পদ অর্জনে একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক গাড়িচালক তাজুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী খাইরুন নেসার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া অভিযোগপত্র মঙ্গলবার গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলাটির বিচার নিষ্পত্তির জন্য বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তরের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বিল আত্মসাতের মামলায় জামিন পাওয়া ওয়াসার দুই কর্মচারী হলেন সংস্থাটির ডেটা এন্ট্রি অপারেটর আজমির হোসেন অভি (২৭) ও মিঠুন ঘোষ (৩১)। এঁদের মধ্যে অভি ঢাকার দোহারের আতিয়ার রহমানের ছেলে। মিঠুন ঘোষ চট্টগ্রামের পটিয়ার ধলঘাট খান মোহনা গ্রামের অরুণ কান্তি ঘোষের ছেলে।
এ বিষয়ে দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, গ্রাহকের ২১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম ওয়াসার দুই কর্মচারীর জামিন দিয়েছেন আদালত। তিনি আরও বলেন, ‘যেহেতু এটি দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ, সেহেতু ওই দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে, তদন্ত হবে—এসব প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু মামলা প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় দুই আসামির জামিন পাওয়াটা সঠিক হয়নি বলে আমার মত।’
তথ্যমতে, গ্রাহকদের কাছ থেকে বিলের টাকা আদায় করে ওয়াসার কম্পিউটার সিস্টেমে জমা দেখালেও, আদতে সে টাকা ওয়াসার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করত না একটি চক্র। প্রাথমিক তদন্তে প্রায় ২৫ লাখ টাকার অনিয়ম শনাক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় সোমবার আজমির ও মিঠুনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পাশাপাশি ওয়াসার কম্পিউটার প্রোগ্রামার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
এ দিকে ওয়াসার সাবেক গাড়িচালক তাজুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দুদকের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালে ২ হাজার টাকা বেতনে চট্টগ্রাম ওয়াসায় চালকের সহকারী (হেলপার) হয়ে চাকরি শুরু করেছিলেন তাজুল ইসলাম। এরপর ‘প্রমোশন’ পেয়ে হন গাড়িচালক। দুদক ২০২২ সালের ৫ মার্চ তাজুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী খাইরুন নেসার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর ২০২৩ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় তাজুলকে। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আরও দুটি মামলা রয়েছে। তিন বছর মামলার তদন্ত শেষে চলতি বছরের শুরুতে আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক এমরান হোসেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, স্ত্রী ও নিজের নামে তাজুল ইসলাম নগরের রৌফাবাদ এলাকায় ২০০২ সালে তিন শতক জায়গা কিনে পাঁচতলা বাড়ি করেন। অথচ তাঁর গৃহিণী স্ত্রীর আয়ের কোনো উৎস নেই। নিজের অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থকে বৈধতা দিতে স্ত্রীর নামে জমি কিনে বাড়ি করেন তাজুল। এ ছাড়া তাজুলের স্ত্রীর নামে মোট ৫৯ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ পায় দুদক।
ঢাকার তুলনামূলকভাবে নতুন পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা আফতাবনগরে প্রতিনিয়ত চলছে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ। অবকাঠামো নির্মাণ আবাসিক প্রকল্পের অনিবার্য অংশ হলেও সতর্কতার অভাবে বিষয়টি এলাকার বাসিন্দাদের জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেবাবা কাঠমিস্ত্রি। এখন বার্ধক্যের কারণে নিয়মিত রোজগার করতে পারেন না। সংসারের অভাব ঘোচাতে মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। এমন পরিবারের সন্তান মাজেদুল ইসলাম মিজু এ বছর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে আর্থিক সংকটের কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাঁর ভর্তি ও পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নেওয়া।
২ ঘণ্টা আগেটগবগে যুবক রাকিব মহাজন। দালালদের খপ্পরে পড়ে ২০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বের হন ইউরোপের দেশ ইতালি যাবেন বলে। এ জন্য দালালকে দিতে হয়েছে ২৭ লাখ টাকা। কিন্তু তিন বছরেও পৌঁছাতে পারেননি ইতালি। লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করা হয় তাঁকে।
২ ঘণ্টা আগে‘বিএসএফকে সাইজ করার জন্য আমিই অ্যানাফ’—এমন কথা বলেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৫৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া। এ সময় সাধারণ মানুষকে নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকায় না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগে