হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
ঝড়ের আগের দিনও বাড়িতে ছিল পরিপাটি টিনের ঘর। গরু, ছাগলের জন্য ছিল গোয়ালঘর। ছিল সৌর বিদ্যুত। পুকুর পাড় ও ঘরের পাশে বিভিন্ন ফল গাছে সাজানো ছিল বাড়িটি। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সেই চিত্র একেবারে বদলে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় বাড়ির সবকটি গাছ উপড়ে ফেলেছে। ঘরটি ভেসে গেছে জোয়ারের পানিতে। শূন্য ভিটের ওপরে পড়ে আছে একটি খাট। তাতে কিছু জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। দেখলে মনে হবে বিশাল ধ্বংস যজ্ঞ চালানো হয়েছে এই বাড়িতে। নোয়াখালী হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে মুন্সি গ্রামের জেলে আবুল কালামের বাড়ির চিত্র এটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভিটার ওপর ত্রিফল লাগিয়ে রাতের ঘুমানোর ব্যবস্থা করছেন জেলে আবুল কালাম। পাশে তাঁর ছেলের বৌ খোলা আকাশের নিচে মাটিতে গর্ত করে রান্নার চেষ্টা করছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পাশের একজনের বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন।
আবুল কালাম জানায়, সোমবার রাত আটটা পর্যন্ত বাড়িতে ছিলেন তারা। জোয়ারের তীব্রতা বেশি দেখে পরিবারের ছয় সদস্যকে নিয়ে বন্দরটিলা বাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান। সকালে এসে তাদের বাড়ি চিনতে অনেক সময় লেগেছে। একটি ছোট বাটিও খুঁজে পায়নি। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের কিনে দেওয়া রান্না করার সামগ্রী দিয়ে সংসার শুরু করছেন।
শুধু আবুল কালাম নয়। এই চিত্র নিঝুম দ্বীপ বন্দরটিলা বাজারের পূর্বপাশে মুন্সি গ্রামের পুরো জেলে পল্লীর। আবুল কালামের বাড়ির উত্তর পাশে জেলে জামশেদ এর বাড়ি। গ্রামের কাদাযুক্ত পথে হেঁটে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পরিবারের সদস্যরা সবাই ধান খেত থেকে ঘরের জিনিসপত্র খুঁজে আনছেন। ঘূর্ণিঝড়ে জামসেদের ঘরের সকল আসবাবপত্র ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। শুধু ঘরের চাল দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটি পিলারের ওপর।
জামসেদ জানান, ঝড়ের গতি এত বেশি ছিল যে রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়াটা জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি ছিল তাদের জন্য। রাতে বিভিন্ন বাড়ি থেকে ঘরের টিন ছুটে এসে তাদের গায়ে পড়ছিল। অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যান।
নিঝুম দ্বীপ ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য চাঁন মিয়া জানান, এই গ্রামে শতাধিক ঘর ভেসে গেছে। জোয়ারের তীব্রতা ও বাতাসের গতি বেশি থাকার কারণে মানুষের ঘরবাড়ি বেশি ক্ষতি হয়। বন্দরটিলা বাজার থেকে মুন্সি গ্রামে যাওয়ার রাস্তাটিও জোয়ারের পানিতে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও জানান, মুন্সি গ্রামটির অবস্থান মূলত নদীর পাড়ে। এখানে যারা বসবাস করেন তাদের বেশির ভাগ নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব মতে এখানে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা প্রায় শতাধিক। এখানে সবকটি বাড়িতে জোয়ারের পানি ও ঝড়ের চিহ্ন রয়েছে।
শুধু মুন্সি গ্রাম নয়, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে নিঝুম দ্বীপের সবকটি ওয়ার্ডে। নিঝুম দ্বীপের চারপাশে বেড়িবাঁধ নেই। তাতে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে খুব সহজে লোকালয়ে চলে আসে পানি।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর আজিম। আজিম জানান, গত ৫০ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর জোয়ার। রাতের জোয়ারে এখানে প্রধান সড়কের ওপর পানি উঠেছে প্রায় ৪-৫ ফুট। তাতে এই দ্বীপের সবকটি মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজারের দোকান ঘরে পানি উঠে যায়। রাতে মানুষ তাদের জিনিসপত্র নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটতে থাকে। একসময় সড়কটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
নিঝুম দ্বীপ নামার বাজারের সারওয়ার পাটি হলেন দ্বীপের সবচেয়ে বড় মাছের হ্যাচারির মালিক। বন্দরটিলা বাজার থেকে নামার বাজার যেতে দেখা হয় তাঁর সঙ্গে। কোন প্রশ্ন করার আগে অস্বাভাবিক জোয়ারে তাঁর মৎস্য খামারের ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিতে লাগলেন। সারোয়ার জানান, এবারের বন্যায় তাঁর ৫০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। তাঁর খামারে ২০টি পুকুর রয়েছে। সবকটি পুকুর ভেসে গেছে। তাঁর মত নিঝুম দ্বীপে ৫ শতাধিক পুকুর রয়েছে তাতে অনেকে মাছের চাষ করে থাকেন। এখন সবাই সর্বশান্ত হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে নিঝুম দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, নিঝুম দ্বীপে সবকটি ওয়ার্ডে প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এখানে নদীর পাড়ে ও নিচু এলাকায় বসবাস করা মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেড়ি বাঁধ না থাকায় প্রতিবার অস্বাভাবিক জোয়ারে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। অনেক বার নিঝুম দ্বীপে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য বলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।
দিনাজ উদ্দিন আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্তদের আর্থিক সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
ঝড়ের আগের দিনও বাড়িতে ছিল পরিপাটি টিনের ঘর। গরু, ছাগলের জন্য ছিল গোয়ালঘর। ছিল সৌর বিদ্যুত। পুকুর পাড় ও ঘরের পাশে বিভিন্ন ফল গাছে সাজানো ছিল বাড়িটি। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সেই চিত্র একেবারে বদলে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় বাড়ির সবকটি গাছ উপড়ে ফেলেছে। ঘরটি ভেসে গেছে জোয়ারের পানিতে। শূন্য ভিটের ওপরে পড়ে আছে একটি খাট। তাতে কিছু জিনিসপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। দেখলে মনে হবে বিশাল ধ্বংস যজ্ঞ চালানো হয়েছে এই বাড়িতে। নোয়াখালী হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে মুন্সি গ্রামের জেলে আবুল কালামের বাড়ির চিত্র এটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভিটার ওপর ত্রিফল লাগিয়ে রাতের ঘুমানোর ব্যবস্থা করছেন জেলে আবুল কালাম। পাশে তাঁর ছেলের বৌ খোলা আকাশের নিচে মাটিতে গর্ত করে রান্নার চেষ্টা করছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পাশের একজনের বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন।
আবুল কালাম জানায়, সোমবার রাত আটটা পর্যন্ত বাড়িতে ছিলেন তারা। জোয়ারের তীব্রতা বেশি দেখে পরিবারের ছয় সদস্যকে নিয়ে বন্দরটিলা বাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান। সকালে এসে তাদের বাড়ি চিনতে অনেক সময় লেগেছে। একটি ছোট বাটিও খুঁজে পায়নি। পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের কিনে দেওয়া রান্না করার সামগ্রী দিয়ে সংসার শুরু করছেন।
শুধু আবুল কালাম নয়। এই চিত্র নিঝুম দ্বীপ বন্দরটিলা বাজারের পূর্বপাশে মুন্সি গ্রামের পুরো জেলে পল্লীর। আবুল কালামের বাড়ির উত্তর পাশে জেলে জামশেদ এর বাড়ি। গ্রামের কাদাযুক্ত পথে হেঁটে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় পরিবারের সদস্যরা সবাই ধান খেত থেকে ঘরের জিনিসপত্র খুঁজে আনছেন। ঘূর্ণিঝড়ে জামসেদের ঘরের সকল আসবাবপত্র ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। শুধু ঘরের চাল দাঁড়িয়ে আছে কয়েকটি পিলারের ওপর।
জামসেদ জানান, ঝড়ের গতি এত বেশি ছিল যে রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়াটা জীবনের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি ছিল তাদের জন্য। রাতে বিভিন্ন বাড়ি থেকে ঘরের টিন ছুটে এসে তাদের গায়ে পড়ছিল। অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যান।
নিঝুম দ্বীপ ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য চাঁন মিয়া জানান, এই গ্রামে শতাধিক ঘর ভেসে গেছে। জোয়ারের তীব্রতা ও বাতাসের গতি বেশি থাকার কারণে মানুষের ঘরবাড়ি বেশি ক্ষতি হয়। বন্দরটিলা বাজার থেকে মুন্সি গ্রামে যাওয়ার রাস্তাটিও জোয়ারের পানিতে বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরও জানান, মুন্সি গ্রামটির অবস্থান মূলত নদীর পাড়ে। এখানে যারা বসবাস করেন তাদের বেশির ভাগ নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব মতে এখানে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা প্রায় শতাধিক। এখানে সবকটি বাড়িতে জোয়ারের পানি ও ঝড়ের চিহ্ন রয়েছে।
শুধু মুন্সি গ্রাম নয়, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে নিঝুম দ্বীপের সবকটি ওয়ার্ডে। নিঝুম দ্বীপের চারপাশে বেড়িবাঁধ নেই। তাতে অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে খুব সহজে লোকালয়ে চলে আসে পানি।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর আজিম। আজিম জানান, গত ৫০ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর জোয়ার। রাতের জোয়ারে এখানে প্রধান সড়কের ওপর পানি উঠেছে প্রায় ৪-৫ ফুট। তাতে এই দ্বীপের সবকটি মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজারের দোকান ঘরে পানি উঠে যায়। রাতে মানুষ তাদের জিনিসপত্র নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটতে থাকে। একসময় সড়কটি আশ্রয়কেন্দ্র পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
নিঝুম দ্বীপ নামার বাজারের সারওয়ার পাটি হলেন দ্বীপের সবচেয়ে বড় মাছের হ্যাচারির মালিক। বন্দরটিলা বাজার থেকে নামার বাজার যেতে দেখা হয় তাঁর সঙ্গে। কোন প্রশ্ন করার আগে অস্বাভাবিক জোয়ারে তাঁর মৎস্য খামারের ক্ষয়ক্ষতির বর্ণনা দিতে লাগলেন। সারোয়ার জানান, এবারের বন্যায় তাঁর ৫০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে। তাঁর খামারে ২০টি পুকুর রয়েছে। সবকটি পুকুর ভেসে গেছে। তাঁর মত নিঝুম দ্বীপে ৫ শতাধিক পুকুর রয়েছে তাতে অনেকে মাছের চাষ করে থাকেন। এখন সবাই সর্বশান্ত হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে নিঝুম দ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান দিনাজ উদ্দিন বলেন, নিঝুম দ্বীপে সবকটি ওয়ার্ডে প্রায় ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। এখানে নদীর পাড়ে ও নিচু এলাকায় বসবাস করা মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেড়ি বাঁধ না থাকায় প্রতিবার অস্বাভাবিক জোয়ারে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। অনেক বার নিঝুম দ্বীপে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য বলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।
দিনাজ উদ্দিন আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার ও চাল বিতরণ করা হচ্ছে। তবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্তদের আর্থিক সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
ডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
২১ মিনিট আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৪৩ মিনিট আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে