সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ: চমেকের মর্গে থাকা ৮ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
Thumbnail image

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে নিহত ৮ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে থাকা ২২ মরদেহের মধ্যে ৮ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক। 

ডিএনএ নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হওয়া মরদেহগুলো হলো, বিএম কনটেইনার ডিপোর গাড়ি চালক আক্তার হোসেন, মোহাম্মদ শাহজাহান, বলভেট অপারেটর মনির হোসেন, ইলেকট্রিশিয়ান মো. রাসেল, কাভার্ডভ্যান সহযোগী মোহাম্মদ সাকিব, ডিপোর আইসিটি সুপার ভাইজার আবদুর সোবাহান প্রকাশ আবদুর রহমান, নুসরাত পরিবহনের লরি চালক আবুল হাশেম ও শারমিন গ্রুপের লরি চালক বাবুল মিয়া। 

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, গত ৪ জুন রাতে বিএম কনটেইনার ডিপোর বিস্ফোরণে নিহতদের চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। সেখানে আইনিপ্রক্রিয়া শেষে ২৯টি মরদেহ নিহতের স্বজনদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়। তবে মর্গে থাকা ২০ মরদেহের শরীর প্রায় বিকৃত (বেশির ভাগই দগ্ধ) হয়ে যাওয়ায় তাঁদের মরদেহ শনাক্তে ব্যর্থ হন স্বজনেরা। তাঁদের শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এতে আগুনে পুড়ে অঙ্গার হওয়া ২০টি মরদেহ ফিরে পেতে ডিএনএ নমুনা প্রদান করেন ৩৫ জন। দীর্ঘ এক মাস অপেক্ষার পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বেশ কিছু ডিএনএ নমুনার রিপোর্ট পাওয়া যায়। এতে চমেকের মর্গে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণে রাখা ২০ মরদেহের মধ্যে ৮ মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। 

পরিদর্শক (তদন্ত) আরও জানান, পরিচয় শনাক্ত হওয়া মরদেহ নিয়ে যেতে তাঁদের প্রত্যেকের স্বজনকে চমেক হাসপাতালে আসতে ফোন করা হয়েছে। স্বজনেরা হাসপাতালে এলে মৃতদেহগুলো তাঁদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 

প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুট মিল গেট এলাকায় অবস্থিত বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে কুমিরা ও সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। আগুন নেভানোর কাজ করার সময় রাসায়নিক ভর্তি একটি কনটেইনারের বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ১০ জন ফায়ার ফাইটারসহ ৫১ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ২৩০ জনেরও অধিক মানুষ। এ ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজে বের করতে বেশ কয়েকটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত