Ajker Patrika

ফ্ল্যাটের আকারে অসন্তোষ এএসআই-কনস্টেবলদের

সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ১১: ৫৬
ফ্ল্যাটের আকারে অসন্তোষ এএসআই-কনস্টেবলদের

নগরীর মনসুরাবাদে আধা কিলোমিটারের মধ্যে পুলিশের জন্য নির্মিত হচ্ছে বিশতলাবিশিষ্ট দুটি আবাসিক ভবন। এর মধ্যে মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের ভেতরে নির্মিতব্য ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন ৬৫০ বর্গফুট। এতে থাকবেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলরা। অন্য ভবনটিতে ১ হাজার বর্গফুটের ১৫২টি ফ্ল্যাট থাকছে। এগুলোর বরাদ্দ পাবেন পুলিশের পরিদর্শক থেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। পুলিশ লাইনে নির্মিতব্য ভবনের ফ্ল্যাটের আকার-আয়তন নিয়ে এএসআই ও কনস্টেবলদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কর্মরত এক কনস্টেবল নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকাটা কঠিন হবে। ফ্ল্যাটে ছোট্ট দুটি রুম থাকবে। সেখানে গাদাগাদি করে ছেলেমেয়ের পাশাপাশি বাবা-মাকে নিয়ে থাকা অসম্ভব। সরকারি কোয়ার্টারগুলো এর চেয়ে অনেক বড়। আবার ভাড়া হিসেবে বেতনের বেসিক অনুযায়ী অর্ধেক টাকা কেটে রাখা হবে। আমাদের ভয় হচ্ছে, স্যারেরা কোনদিন জোর করে এসব ফ্ল্যাট আমাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন।’

ফ্ল্যাটগুলো তুলনামূলক ছোটো হওয়ায় এতে থাকার বিষয়ে তাঁর মতো অন্য অনেক পুলিশ কনস্টেবল ও এএসআইয়ের মধ্যে অনীহা রয়েছে। নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, পিডব্লিউর অধীনে যেসব সরকারি কোয়ার্টার নির্মিত হচ্ছে, সেসব ফ্ল্যাট সর্বনিম্ন ৮০০ বর্গফুট করে নির্মিত হচ্ছে। সেখানে পুলিশ সদস্যদের জন্য মাত্র ৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবলদের জন্য নির্মিত ফ্ল্যাটে অন্তত তিনটি বেডরুম রাখার প্রয়োজন ছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পুলিশ সদস্য বলেছেন, এখানে বৈষম্য চলছে। কনস্টেবলদের জন্য গাদাগাদি করে ছোট ফ্ল্যাট দিচ্ছে। আর অফিসারদের জন্য দিচ্ছে আলিশান বাড়ি।

এ বিষয়ে সিএমপির পক্ষে প্রকল্পটির তদারককারী উপকমিশনার (এস্টেট ও ডেভেলপমেন্ট) এস এম মোস্তাইন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবন নির্মাণের আগে সরকার ৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়। পরে আমরা ফ্ল্যাটের আয়তন ৭৫০ বর্গফুট করার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। এ বিষয়ে তো আমরা আর বেশি কিছু করতে পারি না। ওপরের নির্দেশনার বাইরে তো আমরা যেতে পারি না।’

তবে পরবর্তীতে সিএমপিতে যেসব ভবন নির্মিত হবে, সেসব ফ্ল্যাটের আয়তন বাড়ানোর বিষয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এরপর থেকে যেসব ভবন নির্মিত হবে সেগুলো আয়তনে বড় হবে।

প্রকল্পের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন ও ডবলমুরিং থানার ভেতর প্রথমবারের মতো বিশতলাবিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। পুলিশের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৯টি আবাসিক টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই ভবন দুটি নির্মিত হচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পেয়েছেন বিবিএল ও ডিইসিএল (জেভি)। মনসুরাবাদের ভবনটির প্রতি তলায় ১২ ইউনিট করে মোট ২২৮টি ফ্ল্যাট নির্মিত হচ্ছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১ কোটি ৪৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। গত বছরের ১২ অক্টোবর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কার্যাদেশ দে্য়ও হয়েছে। ২০ মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে ডবলমুরিং থানার কম্পাউন্ডের ভেতরে নির্মিত ২২ তলা ভিত্তিসহ ২০ তলা আবাসিক ভবনটির প্রতি তলায় ৮টি ইউনিট করে মোট ১৫২টি ফ্ল্যাট নির্মিত হচ্ছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮ কোটি ৪১ লাখ ৭৭ হাজার টাকার ওপরে। গত বছরের ১৭ আগস্ট প্রকল্পটির চুক্তি সম্পাদিত হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পায় কুশলী নির্মাতা লিমিটেড। ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল মেয়াদ ধরা হয়েছে।

প্রকল্প তদারক করছে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট-২), সিএমপির ডিসি (এস্টেট ও ডেভেলপমেন্ট) ও চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ।

ডিসি এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, সিএমপিতে কর্মকালীন সরকারি বাসা হিসেবে ফ্ল্যাটগুলো পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হবে। ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এই বরাদ্দ প্রক্রিয়া শুরু হবে। পুলিশ সদস্যদের বেসিক অনুযায়ী ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ যে বাসা ভাড়া পেয়ে থাকেন, বাসা বরাদ্দ পেলে তা কেটে রাখা হবে।

পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অবকাঠামোগত কাজ শুরু হতে আমাদের একটু দেরি হয়েছিল। যে কারণে নির্মাণকাজ শেষ হতে আরও দেড় বছরের মতো লেগে যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যুবশক্তির তিন নেতাকে হত্যার হুমকি, সোনারগাঁ থানায় জিডি

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের এনসিপির যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির তিন নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নারায়ণগঞ্জের এনসিপির যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির তিন নেতা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুবসংগঠন জাতীয় যুবশক্তির নেতাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে গতকাল রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় জিডি করেছেন জাতীয় যুবশক্তির নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক মো. জাহিদুল হক।

জিডিতে জাহিদুল হক উল্লেখ করেন, গত শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ‘সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে

তাঁর উদ্দেশে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে তাঁর সঙ্গে জাতীয় যুবশক্তি নারায়ণগঞ্জের আহ্বায়ক শাকিল সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক খাঁন সিয়ামের ছবি ব্যবহার করে গালাগালি ও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ফেসবুক পোস্টে আরও লেখা ছিল—‘লিস্টে রাখলাম হঠাৎ করেই সোনারগাঁবাসী দেখবে লাশ’।

মো. জাহিদুল হক জানান, পোস্টটিতে তাঁকে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত দেখিয়ে বিভ্রান্তিকর ও উসকানিমূলক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তাঁর সামাজিক ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং জীবন নিরাপত্তাঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তিনি আরও জানান, তিনি জাতীয় যুবশক্তি (এনসিপি) নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র সংগঠক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলার সাবেক মুখ্য সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমীন বলেন, ‘এ ঘটনায় ইতিমধ্যে জিডি করা হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা কেন্দ্রীয় নেতারা অবগত রয়েছি।’

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিববুল্লাহ বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় জিডি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ফেসবুক আইডিটি শনাক্তের জন্য সাইবার ক্রাইম ইউনিটের কাছে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গমের জমিতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
গমের জমিতে ছাগল যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে একজন নিহত

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় গমের জমিতে ছাগল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে সাহাবুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার (৪৮) ও ছেলে। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের মুন্দখৈর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাহাবুল ইসলাম মুন্দখৈর এলাকার মৃত মোজাফফর হোসেনের ছেলে।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি একই এলাকার সালামের দুটি ছাগল সাহাবুল ইসলামের গমের খেতে ঢুকে চারা নষ্ট করে। এ নিয়ে সাহাবুল ছাগল দুটিকে খোঁয়াড়ে দিলে সালামসহ কয়েকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে বিষয়টি নিয়ে সাহাবুল ইসলাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

গতকাল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেয় এবং বিষয়টি থানায় বসে মীমাংসার কথা বলে। তবে পুলিশ চলে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দিকে সালামসহ অন্যরা হাঁসুয়া, চাকু, রড ও বাঁশের লাঠি নিয়ে সাহাবুল ইসলামের ওপর হামলা চালান। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকেও মারধর করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সাহাবুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পারুল আক্তার ও তাঁদের ছেলেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত সালাম ও তাঁর ছেলে রিপনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।

আজ ফয়জুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. ওমর ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে এই মামলায় সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের জন্য তিনি এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনা এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শামীম গুরুতর আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ‎গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৬
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর

নানুয়ার দীঘিসংলগ্ন নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, তিনি শুরু থেকেই কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন কেনার বিষয়টি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। এ কারণে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না। তবে ভবিষ্যতে যদি এ আসনে দলীয় মনোনয়নে পরিবর্তন আসে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ব্যাপারে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, অতীতের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইয়াছিন তাঁর শ্যালককে প্রার্থী করেছিলেন। এতে ভোট বিভাজনের কারণে তিনি অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। একই ব্যক্তি পরবর্তী উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। এসব ঘটনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কাউকে দোষারোপ করেননি। এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনার আহ্বান জানান তিনি।

মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন, চূড়ান্ত মনোনয়নে দলের মনোনয়ন পরিবর্তন হয়ে যদি হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন পান তাহলে তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সাক্কু অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে উভয়কেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত