ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উত্তাল

কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮: ৪৫

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। 

এদিকে ‘দানা’র প্রভাবে কক্সবাজারে সারা দিন গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সবশেষ বিজ্ঞপ্তিতে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান জানান, বুধবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম এবং ভারতের ওডিশা উপকূল দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের সতর্ক করে মাইকিং করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা আব্দুল হান্নান জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতি বেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার; যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া আকারে ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকলেও কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে খুব একটা প্রভাব পড়েনি। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কক্সবাজার শহর ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। দমকা হাওয়া বইয়ে যাচ্ছিল। জেলা প্রশাসন সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সাগরে গোসলে নামতে সতর্ক করে বালিয়াড়িতে লাল পতাকা উঁচিয়ে দিয়েছে। সৈকতের জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড সদস্যরা পর্যটকদের সতর্কতা সংকেত জারির কথা জানিয়ে প্রচার চালাচ্ছে। 

সকাল থেকে কক্সবাজার, হিমছড়ি, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ সৈকত পর্যন্ত ঘুরে আসার তথ্য জানিয়ে জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন বলেন, ‘সবখানেই পর্যটকের পদচারণায় মুখর। এখনো পর্যন্ত কোনো প্রভাব পড়েনি।’ 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের সতর্ক করে মাইকিং করা হচ্ছে। ছবি: আজকের পত্রিকা বিকেলে শহরের লাবণী পয়েন্ট সৈকতে কিটকটে (চেয়ার-ছাতা) বসে সাগর উপভোগ করেছিলেন ঢাকার বাড্ডা থেকে আসা পর্যটক একরামুল হক। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঢেউয়ের গর্জন ও আছড়ে পড়ার দৃশ্য ভালো লাগে। 

 তাঁর মতো অনেকেই সৈকতের বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে উত্তাল সাগর উপভোগ করছেন। আবার কেউ কেউ সৈকতের হাঁটু পানিতেও নেমে পড়ছেন। এতে বিচ কর্মী ও লাইফ গার্ড সদস্যরা পর্যটকদের সামাল দিতে হিমশিম খেতে দেখা যায়। 

জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি হলে উপকূলের বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আনার প্রস্তুতি শুরু হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত