কেজিডিসিএলের সেই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২২, ২০: ৪২

গ্যাস জালিয়াতি ও নিয়োগে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মাজেদকে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ খানকেও বদলি করা হয়।

আজ বুধবার (২৩ নভেম্বর) ফিরোজ খানকে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডে (সিরাজগঞ্জ) বদলির আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে এম এ মাজেদকে সরিয়ে ব্যবস্থাপনা সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে। পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন ও মহাব্যবস্থাপক রনজিত কুমার সরকারের সাক্ষর করা পৃথক এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন। 

গত ১৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) পেট্রোবাংলার আদেশে বলা হয়েছে, রফিকুল ইসলামকে চলতি দায়িত্ব হিসেবে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব প্রদান করা হলো। ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কোনো কর্মকর্তা, নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি পদায়ন করা হলে রফিকুল ইসলাম পূর্বের পদে ফিরে যাবেন। মূলত এমএ মাজেদকে ওএসডি করে পেট্রোবাংলায় আনা হয়েছে। ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

জালিয়াতি করে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস-সংযোগ, নিয়োগে দুর্নীতি, পদোন্নতিতে অনিয়মসহ ১২টি খাতে দুর্নীতির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পেট্রোবাংলার গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্তে ১২ কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে ৩১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল। 

চলতি বছরের মার্চে কেজিডিসিএলের বিভিন্ন অনিয়ম খতিয়ে দেখতে পেট্রোবাংলা থেকে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি জুনের শেষের দিকে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন পেট্রোবাংলার পরিচালক (পরিকল্পনা) আলী ইকবাল মো. নুরুল্লাহ, মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) মো. নজরুল ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) ডি এম জোবায়েদ হোসেনকে সদস্য ও মহাব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) মো. আমজাদ হোসেনকে সদস্যসচিব করা হয়। ৩১ পাতার গোপনীয় এই প্রতিবেদন নিয়ে ‘তদন্তে ১২ কর্মকর্তার নাম’ শিরোনামে ২৩ জুলাই আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এর আগে তদন্ত কমিটি ১২টি খাতে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করে। প্রতিবেদনে কেজিডিসিএলের প্রধান ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মাজেদের বিরুদ্ধেও অনিয়ম-জালিয়াতির নানা অভিযোগ আনা হয়।

মহাব্যবস্থাপক ফিরোজ খানও বাদ যাননি। দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন বিপণন-উত্তরের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শফিউল আজম খান, ব্যবস্থাপক বাসুদেব বিশ্বাস, মো. হাবিবুল গণি, উপমহাব্যবস্থাপক এ জে এম ছালেহউদ্দিন সারওয়ার, বিপণন-দক্ষিণ ডিভিশনের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমিনুর রহমানসহ এক ডজন কর্মকর্তা।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত