লক্ষ্মীপুরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে নারী শ্রমিককে হত্যা, ২ আসামির জবানবন্দি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
Thumbnail image

লক্ষ্মীপুরে মজুচৌধুরীর হাট এলাকায় এক নারী শ্রমিককে (২৫) ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে সেখানে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত সোমবার রাতে গাজীপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সদর উপজেলার চর মনিমোহন এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক দেলোয়ার হোসেন (৩৫) ও তাঁর সহযোগী একই এলাকার মুজিবুল সর্দারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২)।

পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, ‘দুপুরে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে গ্রেপ্তারকৃত ওই দুজনকে। পরে তাঁরা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দিয়েছেন।’

এসপি আরও বলেন, ‘৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ওই নারী শ্রমিককে বিয়ের প্রলোভনে মুজচৌধুরীরহাট এলাকায় জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কোল্ড স্টোরেজে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন দুই আসামি। পরে ধর্ষণে ব্যর্থ হলে ওই নারীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাঁরা।’

দুই মাসেরও বেশি সময় এই হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ করছিলেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা। অবশেষে এই হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন এসপি মাহফুজ্জামান আশরাফ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন—অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এবি সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মংনেথোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা, ডিএসবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. একেএম আজিজুর রহমান মিয়া, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন।

উল্লেখ্য, লক্ষ্মীপুর বিসিক শিল্পনগরীর একটি চকলেট কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন মাহিনুর আক্তার পারুল নামের ওই নারী। চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে সদর উপজেলার টুমচর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজের দুদিন পর (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লক্ষ্মীপুরে মুজচৌধুরীরহাট কোল্ড স্টোরেজ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। পরদিন সদর থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত নারী শ্রমিকের বাবা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত