কুমিল্লা জেলায় ১০ মাসে অগ্নিকাণ্ড, সড়ক ও নৌপথসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা হয়েছে ১ হাজার ২২৮টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৭ জন। আহত হয়েছেন আরও ৩০২ জন।

কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কার্যালয় থেকে জানা গেছে, গেল ১০ মাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে ৪৮৮ টি, সড়ক দুর্ঘটনা ৩৪৪ টি, নৌ-দুর্ঘটনা ২০ টি, গ্যাস দুর্ঘটনা চারটি, দুটি সেপটিক ট্যাংক ও সুয়ারেজ লাইন দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের আরও ৩৭০টি দুর্ঘটনা হয়েছে। চোট-বড় মিলিয়ে মোট ১ হাজার ২২৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ৩০২ জনকে।

এদিকে কুমিল্লা জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস সূত্রে জানায়, জেলায় ১২টি উপজেলায় ফায়ার স্টেশনের অপারেশনাল কার্যক্রম রয়েছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতি কমাতে আরও একটি থানা ও ছয়টি উপজেলায় ফায়ার স্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে। এর মধ্যে মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ফায়ার স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে। শিগগিরই অপারেশনাল কার্যক্রম চালু হবে।

আজ সোমবার এ তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের (বৃহত্তর কুমিল্লা) সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কুমিল্লা জেলায় দুর্ঘটনার এই হিসাব করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এই কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান জানান, নিজেদের জীবন বাজি রেখে জনগণের জীবন রক্ষায় ঝাঁপিয়ে পড়েন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুন লাগার ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মতৎপরতায় ৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ৩০ হাজার ১০০ টাকার সম্পদ রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, অগ্নি ঝুঁকিসহ যেকোনো দুর্যোগ কমাতে এ বছর জেলায় ৫০টি সরকারি ভবন ও ২৪৫টি বেসরকারি ভবন পরিদর্শন করা হয়েছে। অগ্নিসচেতনতায় ৬০টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে, ১২০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মহড়া প্রদর্শন এবং ৫৫টি ভবনে সার্ভে করা হয়েছে। এ ছাড়া ৪৫৫টি স্থানে গণসংযোগ করেছে ফায়ার সার্ভিস।

এদিকে ‘দুর্ঘটনা-দুর্যোগ হ্রাস করি, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ি’ এ স্লোগান নিয়ে কুমিল্লায় পালিত হচ্ছে ফায়ার সপ্তাহ। এ উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহের বর্ণাঢ্য উদ্ধোধনীর আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।