নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের ওপারে সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে বিরাজমান সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা গত চার দিন বন্ধ ছিল। আজ সোমবার ভোর থেকে আবার গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। সীমান্তের এপারে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ সকালের দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমদ ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও বিজিবির সীমান্ত চৌকিতে (বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট-বিওপি) যান। তিনি বিজিবির কর্মকর্তা ও জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন।
ঘুমধুমে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে প্রায় দুই মাস ধরে সশস্ত্র সংঘর্ষ চলছে। গোলাগুলি, মাইন ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণে এপারের মাটিও কেঁপে উঠছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। এর মধ্যে সীমান্তের ওপারের মাইন বিস্ফোরণে ঘুমধুমের স্থানীয় এক বাসিন্দার পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের শূন্য রেখায় (নো ম্যানস ল্যান্ড) অবস্থান নেওয়া প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এরই মধ্যে মর্টার শেল বিস্ফোরণে দুই রোহিঙ্গা নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এসব ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে একাধিকবার প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে প্রায় দুই মাস ধরে এই সংঘাত চললেও আজ সোমবারই প্রথম সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিজিবি প্রধান।
গত চার দিন সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণ বন্ধ ছিল। মাঝে মধ্যে দু-একটি গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও হঠাৎ করে আজ ভোর থেকে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন পয়েন্টে তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়। এপারে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা এ তথ্য জানান।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ বেলা ১১টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমদ। তিনি কক্সবাজার থেকে ঘুমধুমে পৌঁছান। এরপর তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, তুইঙ্গাঝিরি এবং রেজুপাড়া সীমান্ত পর্যবেক্ষণ চৌকি (বিওপি) পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে বিজিবির মহাপরিচালক রেজু সীমান্ত চৌকি এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিজিবি প্রধান বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যদিও সীমান্তের ওপারে সে দেশের অভ্যন্তরে তাদের সমস্যা, সুতরাং সেটি তারাই বুঝবে। তবে বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের সেনারা সীমান্তে যুদ্ধবিমানের টহল ও মর্টারশেলের গোলা এসে পড়া নিয়ে বাংলাদেশ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে।’
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া গুলি, হেলিকপ্টার বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশসহ সীমান্তের প্রত্যেকটি হিসাব বিজিবির কাছে রয়েছে। মর্টারশেল নিক্ষেপ, আকাশসীমা লঙ্ঘনসহ প্রত্যেকটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘তাঁরা যতবারই সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন ততবারই বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছে, আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা পতাকা বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে এ পতাকা বৈঠক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
অপর প্রশ্নের জবাবে বিজিবি প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর এই এলাকা পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য হলো এখানকার পরিস্থিতিতে বিজিবি সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি করা। তাঁদের খোঁজখবর নেওয়া।
সীমান্ত পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন—অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএমএম খাইরুল কবির, কক্সবাজারের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজম উস সাকিবসহ বিজিবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এদিকে ঘুমধুমের ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলার রাইট বিজিপি (মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনী) ক্যাম্প ও তাদের বিওপি থেকে আর্টিলারি বোমা ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ পায় এপারের লোকজন।
ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, বালুখালী, লম্বাবিল উনছিপ্রাং ও নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলেছে। গুলি ও মর্টারের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে ওই সব এলাকা। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত আর টেকনাফ সীমান্তে আবারও নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বজ্রপাতের মতো গোলার বিকট শব্দে গভীর রাতে অনেকেরই ঘুম ভেঙে যায় বলে জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী মীর আহমদ বলেন, ভোরে ওপার থেকে বিকট শব্দে এপারে তাঁদের ঘুম ভাঙে। মনে হচ্ছিল যেন ভূমিকম্প! তুমব্রু বাজার জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম ও কয়েকজন মুসল্লি জানান, ওপারে বিস্ফোরণের কারণে ফজরের নামাজের সময় তাঁদের ভয় হচ্ছিল।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার অভ্যন্তরে মর্টারশেল, গোলাগুলির শব্দ আর সীমান্ত ঘেঁষে যুদ্ধবিমানের আনাগোনা দেখা গেলে সীমান্তবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে বিস্ফোরিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ সরকার এর প্রতিবাদ জানায়। সম্প্রতি সীমান্তে গোলাগুলি অনেকটা বন্ধ ছিল। তবে গতকাল রোববার দিবাগত গভীর রাতে আবার বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সীমান্তবাসীর।
ভোরে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে ফের ভারী অস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ঝুঁকি এড়াতে এপারের লোকজনকে সীমান্তের কাছে না যাওয়ার জন্য বিজিবি থেকে বলা হচ্ছে বলে জানান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর।
হোয়াইক্যং বালুখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আল আযাদ বলেন, ‘এতদিন ধরে শুনে আসছি তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ভোর রাত থেকে আমাদের এলাকায় ভয়ংকর শব্দে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।’
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, ভয়ংকর শব্দে এলাকার লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমার সেনা বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে সে দেশের বিদ্রোহী গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে নো ম্যান্স ল্যান্ড ও বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়ছে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার। স্থলমাইন ও মর্টারশেল বিস্ফোরণে এপারে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমারের ওপারে সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে বিরাজমান সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা গত চার দিন বন্ধ ছিল। আজ সোমবার ভোর থেকে আবার গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। সীমান্তের এপারে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ সকালের দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল সাকিল আহমদ ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও বিজিবির সীমান্ত চৌকিতে (বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট-বিওপি) যান। তিনি বিজিবির কর্মকর্তা ও জওয়ানদের সঙ্গে কথা বলেন।
ঘুমধুমে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে প্রায় দুই মাস ধরে সশস্ত্র সংঘর্ষ চলছে। গোলাগুলি, মাইন ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণে এপারের মাটিও কেঁপে উঠছে। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। এর মধ্যে সীমান্তের ওপারের মাইন বিস্ফোরণে ঘুমধুমের স্থানীয় এক বাসিন্দার পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তের শূন্য রেখায় (নো ম্যানস ল্যান্ড) অবস্থান নেওয়া প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। এরই মধ্যে মর্টার শেল বিস্ফোরণে দুই রোহিঙ্গা নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এসব ঘটনায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে একাধিকবার প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে প্রায় দুই মাস ধরে এই সংঘাত চললেও আজ সোমবারই প্রথম সীমান্ত পরিদর্শন করলেন বিজিবি প্রধান।
গত চার দিন সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণ বন্ধ ছিল। মাঝে মধ্যে দু-একটি গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও হঠাৎ করে আজ ভোর থেকে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে বিভিন্ন পয়েন্টে তুমুল গোলাগুলি শুরু হয়। এপারে ঘুমধুমের বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। লোকজন ও জনপ্রতিনিধিরা এ তথ্য জানান।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ বেলা ১১টার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমদ। তিনি কক্সবাজার থেকে ঘুমধুমে পৌঁছান। এরপর তুমব্রু, বাইশফাঁড়ি, তুইঙ্গাঝিরি এবং রেজুপাড়া সীমান্ত পর্যবেক্ষণ চৌকি (বিওপি) পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে বিজিবির মহাপরিচালক রেজু সীমান্ত চৌকি এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। বিজিবি প্রধান বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যদিও সীমান্তের ওপারে সে দেশের অভ্যন্তরে তাদের সমস্যা, সুতরাং সেটি তারাই বুঝবে। তবে বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের সেনারা সীমান্তে যুদ্ধবিমানের টহল ও মর্টারশেলের গোলা এসে পড়া নিয়ে বাংলাদেশ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। প্রতিবাদলিপি পাঠিয়েছে।’
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে বাহিনীর মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া গুলি, হেলিকপ্টার বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশসহ সীমান্তের প্রত্যেকটি হিসাব বিজিবির কাছে রয়েছে। মর্টারশেল নিক্ষেপ, আকাশসীমা লঙ্ঘনসহ প্রত্যেকটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘তাঁরা যতবারই সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করেছেন ততবারই বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হয়েছে, আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা পতাকা বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে এ পতাকা বৈঠক হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।’
অপর প্রশ্নের জবাবে বিজিবি প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর এই এলাকা পরিদর্শনের মূল লক্ষ্য হলো এখানকার পরিস্থিতিতে বিজিবি সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধি করা। তাঁদের খোঁজখবর নেওয়া।
সীমান্ত পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন—অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএমএম খাইরুল কবির, কক্সবাজারের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজম উস সাকিবসহ বিজিবির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এদিকে ঘুমধুমের ৩৪ ও ৩৫ নম্বর পিলার রাইট বিজিপি (মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনী) ক্যাম্প ও তাদের বিওপি থেকে আর্টিলারি বোমা ও মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দ পায় এপারের লোকজন।
ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং, উলুবনিয়া, বালুখালী, লম্বাবিল উনছিপ্রাং ও নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তের পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে প্রচণ্ড লড়াই চলেছে। গুলি ও মর্টারের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে ওই সব এলাকা। এতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত আর টেকনাফ সীমান্তে আবারও নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বজ্রপাতের মতো গোলার বিকট শব্দে গভীর রাতে অনেকেরই ঘুম ভেঙে যায় বলে জানিয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি ও টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী মীর আহমদ বলেন, ভোরে ওপার থেকে বিকট শব্দে এপারে তাঁদের ঘুম ভাঙে। মনে হচ্ছিল যেন ভূমিকম্প! তুমব্রু বাজার জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম ও কয়েকজন মুসল্লি জানান, ওপারে বিস্ফোরণের কারণে ফজরের নামাজের সময় তাঁদের ভয় হচ্ছিল।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার অভ্যন্তরে মর্টারশেল, গোলাগুলির শব্দ আর সীমান্ত ঘেঁষে যুদ্ধবিমানের আনাগোনা দেখা গেলে সীমান্তবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল বাংলাদেশের ভূখণ্ডে এসে বিস্ফোরিত হয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশ সরকার এর প্রতিবাদ জানায়। সম্প্রতি সীমান্তে গোলাগুলি অনেকটা বন্ধ ছিল। তবে গতকাল রোববার দিবাগত গভীর রাতে আবার বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সীমান্তবাসীর।
ভোরে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে ফের ভারী অস্ত্রের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। ঝুঁকি এড়াতে এপারের লোকজনকে সীমান্তের কাছে না যাওয়ার জন্য বিজিবি থেকে বলা হচ্ছে বলে জানান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর।
হোয়াইক্যং বালুখালী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আল আযাদ বলেন, ‘এতদিন ধরে শুনে আসছি তুমব্রু ও ঘুমধুম সীমান্তে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ভোর রাত থেকে আমাদের এলাকায় ভয়ংকর শব্দে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।’
হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী জানান, ভয়ংকর শব্দে এলাকার লোকজন ভীতসন্ত্রস্ত।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমার সেনা বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে সে দেশের বিদ্রোহী গ্রুপের সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে নো ম্যান্স ল্যান্ড ও বাংলাদেশের সীমানায় ঢুকে পড়ছে মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার। স্থলমাইন ও মর্টারশেল বিস্ফোরণে এপারে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।
বিরামপুর উপজেলা থেকে বিশনী পাহান (৫৩) নামের এক সাঁওতাল নারীর হাত বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। আজ শনিবার সকালে কাটলা ইউনিয়নের দাউদপুর ময়নার মোড়ের অদূরে ধান খেত থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
১৪ মিনিট আগেমাহিদ হাসান শিশির বলেন, ‘পেছনের বাস থেকে হঠাৎ করে ডাক চিৎকার করে বলছে, ‘‘তোমাদের কাছে পানি আছে দ্রুত পানি দাও। আমাদের বাসে আগুন লাগছে। পানি দাও
১৫ মিনিট আগেমাছ বিক্রেতার স্ত্রী তিনি। স্বামীর মাছ বিক্রির লাভের টাকায় টেনেটুনে দিন চলত। সংসারে অভাব লেগেই থাকত। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। একটা অভাব মিটলে, নতুন করে হাজির হতো আরেকটি। ধারদেনা করেই চলতে হতো।
২৬ মিনিট আগেনীলফামারীর কিশোরগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা করে ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমান বিমানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আজ শনিবার সকালে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত...
৩৬ মিনিট আগে