ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা, বিচার দাবি এলাকাবাসীর    

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
Thumbnail image

আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ নারীর স্বামীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে মূল আসামি টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়ার বিরুদ্ধে। তিনি ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদীপক্ষকে চাপ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

এর প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুরে বাসাইল বাসস্ট্যান্ড চত্বরে সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন। মূল আসামি বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়া জামিন নিয়ে এসে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছেন। গৃহবধূর স্বামীকে হত্যার হুমকিও দিচ্ছেন। 

মামলার ২ ও ৩ নম্বর আসামি সাইদুল এবং শাহেদ মিয়ার জামিনের মেয়াদ ৯ জুলাই শেষ হচ্ছে। তাঁরা ওই দিন নিম্ন আদালতে হাজির হবেন। এ ছাড়া আগামী ১ আগস্ট মামলার মূল আসামি সাকিবও নিম্ন আদালতে হাজির হবেন, যাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আর জামিন না পান, সে জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানান তাঁরা। 

ধর্ষণের শিকার মেয়েটির স্বামী বলেন, ‘আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন। মূল আসামি বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়া জামিন নিয়ে এসে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছেন। মামলা তুলে না নিলে আমাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমি আসামিদের জামিন বাতিল ও ন্যায়বিচার চাই।’ 

চলতি বছরের ১৪ মে দিবাগত রাতে ওই গৃহবধূ ও তাঁর স্বামী ঘুমিয়ে পড়েন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসাইল পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সাকিব মিয়া একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাবেন বলে মোটরসাইকেল নিতে আসেন। মোটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই গৃহবধূর স্বামীকে মোটরসাইকেলে ত্রুটির কথা বলে ডেকে নেন। এরই ফাঁকে সাইদুল মিয়া ও শাহেদ মিয়ার সহযোগিতায় সাকিব মিয়া ওই গৃহবধূকে কৌশলে ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়। 

১৬ মে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাকিব ও তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত