ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের বাসিন্দা শহিদ উল্যা (৬৫) সরকারি খাতায় মৃত। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অনলাইনে ইতিমধ্যে তাঁর মৃত্যু সনদও তৈরি হয়েছে। মূলত তাঁর নামে ইস্যু বয়স্ক ভাতার বইটি আরেকজনের নামে স্থানান্তর করতেই এই কাজটি করা হয়েছে। বয়স্ক ভাতার টাকা না পাওয়ার কারণ জানতে গিয়ে তিনি নিজেই এই তথ্য উদ্ঘাটন করেন। এখন তিনি নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
ভুক্তভোগী শহিদ উল্যার অভিযোগ, ইউপি সদস্য আব্দুল আহাদ জুয়েল এই কাজ করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ইউপি সদস্য বলেন, ‘ভুল হয়ে গেছে। ঠিক করে দেব।’
উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের জমাদার বাড়ির মৃত আবদুল আজিজের ছেলে শহিদ উল্যা। ২০১৬ সালে তাঁর নামে বয়স্ক ভাতা চালু হয়। এক মাস আগে ভাতা তুলতে গেলে তাঁকে বলা হয় টাকা জমা হয়নি। স্থানীয় দোকানিও তাঁকে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেন।
শহিদ উল্ল্যা বলেন, ভাতার বইতে টাকা জমা না হওয়ায় স্থানীয় দোকানির পরামর্শে তিনি অফিসে যান। সেখানে মাঠকর্মী নুরুন্নবী জানান তাঁর বইতে সমস্যা আছে, এ জন্য টাকা যায়নি। ঠিক করে দেবে বলে তিনি বই রেখে দেন। এরপর তিনি বারবার ওই অফিসে গেলেও তাঁকে বই দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ গত বুধবার সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে চাইলে আগের মতো টালবাহানা করেন নুরুন্নবী। একপর্যায়ে শহিদ উল্যার হাতে বইটি ফিরিয়ে দেন তিনি। এ সময় তিনি জানতে পারেন তিনি মৃত। মারা যাওয়ার কারণে অন্য একজনের নামে তাঁর বইটি স্থানান্তর হয়েছে।
শহিদ উল্যা আরও বলেন, ‘যারা আমার মতো জীবিত মানুষকে মেরে ফেলল তাদের বিচার চাই। আমার বয়স্কভাতা পেতে চাই। আমি এই ভাতার টাকায় ওষুধ কিনতাম। আমরা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাই। কী অপরাধে মেম্বার জুয়েল আমাকে মরা মানুষ বানিয়ে ফেলল?’
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, শহিদ উল্যার নামে মৃত্যু সনদ জমার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সার্ভার থেকে তাঁর নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নির্মল চন্দ্র দাস, পিতা সন্তোষ চন্দ্র দাস, গ্রাম ধানুয়া, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর—এই নাম বসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি কার্যালয়ের তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মিলন রেকর্ড দেখে বলেন, ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর শহিদ উল্যার মৃত্যু সনদের আবেদন করেছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আহাদ খান জুয়েল। ওই তারিখেই তিনিই সনদপত্রটি গ্রহণ করেছেন।
গোবিন্দপুর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম শেখ বলেন, ‘৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল আহাদ জুয়েল অনলাইনে আবেদন করে আমার কাছ থেকে মৃত্যু সনদে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমি তাঁকে বিশ্বাস করেছি। কাজটি ঠিক হয়নি।’
এ বিষয়ে সমাজসেবা অফিসের ওই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠকর্মী নুরুন্নবী কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আজই জেনেছি। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। ইউপি চেয়ারম্যান মৃত্যু সনদ দিলে আমরা নিয়ম অনুযায়ী অন্য কারও নামে তা পরিবর্তন করে দিই।’
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের বাসিন্দা শহিদ উল্যা (৬৫) সরকারি খাতায় মৃত। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অনলাইনে ইতিমধ্যে তাঁর মৃত্যু সনদও তৈরি হয়েছে। মূলত তাঁর নামে ইস্যু বয়স্ক ভাতার বইটি আরেকজনের নামে স্থানান্তর করতেই এই কাজটি করা হয়েছে। বয়স্ক ভাতার টাকা না পাওয়ার কারণ জানতে গিয়ে তিনি নিজেই এই তথ্য উদ্ঘাটন করেন। এখন তিনি নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
ভুক্তভোগী শহিদ উল্যার অভিযোগ, ইউপি সদস্য আব্দুল আহাদ জুয়েল এই কাজ করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই ইউপি সদস্য বলেন, ‘ভুল হয়ে গেছে। ঠিক করে দেব।’
উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের জমাদার বাড়ির মৃত আবদুল আজিজের ছেলে শহিদ উল্যা। ২০১৬ সালে তাঁর নামে বয়স্ক ভাতা চালু হয়। এক মাস আগে ভাতা তুলতে গেলে তাঁকে বলা হয় টাকা জমা হয়নি। স্থানীয় দোকানিও তাঁকে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দেন।
শহিদ উল্ল্যা বলেন, ভাতার বইতে টাকা জমা না হওয়ায় স্থানীয় দোকানির পরামর্শে তিনি অফিসে যান। সেখানে মাঠকর্মী নুরুন্নবী জানান তাঁর বইতে সমস্যা আছে, এ জন্য টাকা যায়নি। ঠিক করে দেবে বলে তিনি বই রেখে দেন। এরপর তিনি বারবার ওই অফিসে গেলেও তাঁকে বই দেওয়া হয়নি। সর্বশেষ গত বুধবার সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে চাইলে আগের মতো টালবাহানা করেন নুরুন্নবী। একপর্যায়ে শহিদ উল্যার হাতে বইটি ফিরিয়ে দেন তিনি। এ সময় তিনি জানতে পারেন তিনি মৃত। মারা যাওয়ার কারণে অন্য একজনের নামে তাঁর বইটি স্থানান্তর হয়েছে।
শহিদ উল্যা আরও বলেন, ‘যারা আমার মতো জীবিত মানুষকে মেরে ফেলল তাদের বিচার চাই। আমার বয়স্কভাতা পেতে চাই। আমি এই ভাতার টাকায় ওষুধ কিনতাম। আমরা খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাই। কী অপরাধে মেম্বার জুয়েল আমাকে মরা মানুষ বানিয়ে ফেলল?’
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, শহিদ উল্যার নামে মৃত্যু সনদ জমার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সার্ভার থেকে তাঁর নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। সেখানে নির্মল চন্দ্র দাস, পিতা সন্তোষ চন্দ্র দাস, গ্রাম ধানুয়া, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর—এই নাম বসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে ইউপি কার্যালয়ের তথ্য কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মিলন রেকর্ড দেখে বলেন, ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর শহিদ উল্যার মৃত্যু সনদের আবেদন করেছেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আহাদ খান জুয়েল। ওই তারিখেই তিনিই সনদপত্রটি গ্রহণ করেছেন।
গোবিন্দপুর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম শেখ বলেন, ‘৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল আহাদ জুয়েল অনলাইনে আবেদন করে আমার কাছ থেকে মৃত্যু সনদে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আমি তাঁকে বিশ্বাস করেছি। কাজটি ঠিক হয়নি।’
এ বিষয়ে সমাজসেবা অফিসের ওই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠকর্মী নুরুন্নবী কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি আজই জেনেছি। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই। ইউপি চেয়ারম্যান মৃত্যু সনদ দিলে আমরা নিয়ম অনুযায়ী অন্য কারও নামে তা পরিবর্তন করে দিই।’
রাত ১০টার দিকে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর সঙ্গে কপালে টিপ পরে, ঘোমটা দিয়ে হলে প্রবেশ করে ওই যুবক। এ সময় পোশাক ও হাঁটা দেখে আশপাশের শিক্ষার্থীদের সন্দেহ হয়। পরে তাঁরা হল সুপারকে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করতে বলেন। সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে হল সুপারসহ ওই নারী শিক্ষার্থীর কক্ষে যান...
১৫ মিনিট আগেবরগুনার তালতলীর জেলেরা নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর উপকূলে দেদার নিধন করছেন মাছের পোনাসহ ছোট চিংড়ি। এতে ধ্বংস হচ্ছে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। এ ক্ষেত্রে দাদন ব্যবসায়ীরা মদদ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা প্রশাসনকে হাত করতে জেলেদের কাছ থেকে চাঁদা তোলেন। তবে সরকারি কর্মকর্তারা এ অভিযোগ...
২৫ মিনিট আগেডেমরায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) খালের ওপর নির্মিত হাজীনগর সেতু প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রশস্ত হওয়ায় পারাপারে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার বহু মানুষ। স্টাফ কোয়ার্টার-হাজীনগর এলাকার এই গার্ডার সেতু প্রায় দেড় দশক আগে নির্মিত।
৮ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার আশাশুনিতে নদী খননের কারণে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি স্থাপনা (সেতু ও কালভার্ট) ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশাশুনিসহ আশপাশের কয়েক লাখ মানুষ। ধসে পড়া সেতুর ওর নির্মিত সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন মানুষ। দীর্ঘদিন এই অবস্থা চললেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
৮ ঘণ্টা আগে