কুতুপালংয়ের কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসেছে ঘুমধুমের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি  
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১২: ২২
আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩: ০৫

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় (বাংলা দ্বিতীয় পত্র) অংশ নিয়েছে পার্শ্ববর্তী বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বেলা ১১টায় তাদের পরীক্ষা শুরু হয়। কেন্দ্রে শতভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি হঠাৎ উত্তপ্ত হওয়ায় শুক্রবার রাতে জরুরি নির্দেশনা দিয়ে ঘুমধুম থেকে কেন্দ্রটি উখিয়ায় স্থানান্তর করে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। এদিকে গতকাল শুক্রবার রাতের মধ্যেই স্থানান্তরিত পরীক্ষার্থীদের জন্য আসনবিন্যাসসহ সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করে কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ৯টা থেকেই মিনিবাস ও সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে শিক্ষার্থীরা কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে আসতে থাকে।

বিদ্যালয়সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের ১০টি কক্ষে বেলা ১১টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়, বালুখালী কাশেমিয়া উচ্চবিদ্যালয় ও কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয়ের মোট ৪৯৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

ঘুমধুম উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী আমেনা আক্তার বলেছে, ‘পরীক্ষা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমাদের এলাকার অবস্থা ভালো না। সকালেও কেন্দ্রে আসার সময় গুলির শব্দ শুনেছি।’

সিদ্ধান্তের পর গতকাল শুক্রবার রাতের মধ্যেই স্থানান্তরিত পরীক্ষার্থীদের জন্য আসন বিন্যাস সম্পন্ন করে কুতুপালং উচ্চবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।এদিকে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে বাসের ব্যবস্থা করেছে ছাত্রলীগ। উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, চারটি বাস সকাল থেকে কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের জন্য চলাচল করছে। উখিয়া থানার পুলিশের পক্ষ থেকেও শিক্ষার্থীদের জন্য দুটি বাস দেওয়া হয়েছে।

ছাত্রলীগের নেতা ইব্রাহিম বলেন, ‘কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশনায় আমরা ঘুমধুমের শিক্ষার্থীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করেছি। পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে। পরীক্ষা শেষেও তাদের বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে।’

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘বরাদ্দকৃত বাস যতক্ষণ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজন হবে ততক্ষণ স্ট্যান্ডবাই থাকবে।’ 

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুমব্রু সীমান্তের কোনাপাড়ার জিরো পয়েন্টের অস্থায়ী রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপিত মর্টার শেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ছয় রোহিঙ্গা হতাহত হয়। এ ঘটনায় হতাহত হয়ে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে আনা ছয় রোহিঙ্গার মধ্যে ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। সাদিয়া (১০) নামের গুরুতর আহত একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে, বাকি চারজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে এমএসএফ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত