কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
কিশোর অদ্রিপ অহন সায়ান (১৩), পড়ত নগরীর হাজী মুহাম্মদ মহসিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে। তাকে নিয়ে স্কুলশিক্ষক দম্পতি বিশ্বজিত দাশ ও স্নেহলতা দাশের আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন। সে পথেই হাঁটছিল সায়ান। পড়াশোনার পাশাপাশি অল্প বয়সেই সে রপ্ত করে গিটার বাজানো। ক্রিকেটও খেলত বেশ ভালো।
এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরেনি সায়ান। এ ঘটনায় তার বাবা চকবাজার থানায় একটি জিডি করেন। সেই সূত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্কুলের আশপাশের সব সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে। এতে দেখা যায়, সায়ান ওই দিন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের পাশের গলিতে এক নারী ও স্কুলছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে বিদায় নিচ্ছে। সেই ফুটেজে বের হয়ে আসে প্রেমের বিষয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্তে সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সায়ানের সঙ্গে নগরীর জামালখানের একটি সরকারি স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জেনে যায় ওই ছাত্রীর পরিবার। ওই ছাত্রীকে শাসানোর পাশাপাশি তার মা সায়ানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চায়। সায়ানের কাছে তার বাবা-মায়ের নম্বর চান তিনি। সায়ান তার নানু আর মামির নম্বর দেয়, কিন্তু মা-বাবার নম্বর দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রীর মা সায়ানের নানু আর মামিকে বিষয়টি জানান। নানু-মামি বিষয়টি সায়ানের বাবাকে জানায়। নগরীর আমবাগান ইউসেফ স্কুলের শিক্ষক সায়ানের বাবা বিশ্বজিত সন্তানকে এ নিয়ে কড়া শাসন করেন।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গত মঙ্গলবার নিরুদ্দেশ সায়ানের খোঁজ না মিললেও বৃহস্পতিবার কর্ণফুলী নদীর কোতোয়ালি থানার অভয় মিত্র ঘাট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সদরঘাট নৌ পুলিশ।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ বলেন, ‘বুধবার রাতে আমাদের কাছে ৯৯৯ থেকে ফোন আসে শাহ্ আমানত সেতুর পাশে নদীতে একটি লাশ ভাসছে। আমরা রাতে তল্লাশি করে জোয়ার-ভাটার কারণে কিছু পাইনি। বৃহস্পতিবার আবার তল্লাশি করি। দুপুরে অভয় মিত্র ঘাট এলাকায় হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ড্রেস পরা এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করি। পরে তার অভিভাবকেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন।’
তিনি বলেন, ‘লাশের সুরতহাল করে আমরা ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছি। লাশের শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন পাইনি। তারপরও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা ময়নাতদন্ত করতে পাঠিয়েছি।’
চকবাজার থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইমরান বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত যা পেয়েছি, তাতে মৃত্যুর কারণ শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শরীরে যেহেতু আঘাতের বাহ্যিক চিহ্ন নেই, তাই হত্যা বলারও সুযোগ নেই। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে সেই আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, যে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে সায়ানের সম্পর্ক তাকে এবং তার মাকেও ইতিমধ্যে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে সন্দেহজনক কিছু না পেয়ে পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে। সার্বিক অবস্থায় পুলিশের দাবি, পরিবারের শাসনের ভয়ে সায়ান হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। মৃত্যুর রহস্য নিশ্চিত হওয়া যাবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে।
কিশোর অদ্রিপ অহন সায়ান (১৩), পড়ত নগরীর হাজী মুহাম্মদ মহসিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে। তাকে নিয়ে স্কুলশিক্ষক দম্পতি বিশ্বজিত দাশ ও স্নেহলতা দাশের আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন। সে পথেই হাঁটছিল সায়ান। পড়াশোনার পাশাপাশি অল্প বয়সেই সে রপ্ত করে গিটার বাজানো। ক্রিকেটও খেলত বেশ ভালো।
এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরেনি সায়ান। এ ঘটনায় তার বাবা চকবাজার থানায় একটি জিডি করেন। সেই সূত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্কুলের আশপাশের সব সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে। এতে দেখা যায়, সায়ান ওই দিন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের পাশের গলিতে এক নারী ও স্কুলছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে বিদায় নিচ্ছে। সেই ফুটেজে বের হয়ে আসে প্রেমের বিষয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার তদন্তে সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, সায়ানের সঙ্গে নগরীর জামালখানের একটি সরকারি স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জেনে যায় ওই ছাত্রীর পরিবার। ওই ছাত্রীকে শাসানোর পাশাপাশি তার মা সায়ানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চায়। সায়ানের কাছে তার বাবা-মায়ের নম্বর চান তিনি। সায়ান তার নানু আর মামির নম্বর দেয়, কিন্তু মা-বাবার নম্বর দেয়নি।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রীর মা সায়ানের নানু আর মামিকে বিষয়টি জানান। নানু-মামি বিষয়টি সায়ানের বাবাকে জানায়। নগরীর আমবাগান ইউসেফ স্কুলের শিক্ষক সায়ানের বাবা বিশ্বজিত সন্তানকে এ নিয়ে কড়া শাসন করেন।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গত মঙ্গলবার নিরুদ্দেশ সায়ানের খোঁজ না মিললেও বৃহস্পতিবার কর্ণফুলী নদীর কোতোয়ালি থানার অভয় মিত্র ঘাট এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সদরঘাট নৌ পুলিশ।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ বলেন, ‘বুধবার রাতে আমাদের কাছে ৯৯৯ থেকে ফোন আসে শাহ্ আমানত সেতুর পাশে নদীতে একটি লাশ ভাসছে। আমরা রাতে তল্লাশি করে জোয়ার-ভাটার কারণে কিছু পাইনি। বৃহস্পতিবার আবার তল্লাশি করি। দুপুরে অভয় মিত্র ঘাট এলাকায় হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ড্রেস পরা এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করি। পরে তার অভিভাবকেরা এসে লাশ শনাক্ত করেন।’
তিনি বলেন, ‘লাশের সুরতহাল করে আমরা ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছি। লাশের শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন পাইনি। তারপরও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমরা ময়নাতদন্ত করতে পাঠিয়েছি।’
চকবাজার থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইমরান বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত যা পেয়েছি, তাতে মৃত্যুর কারণ শতভাগ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। শরীরে যেহেতু আঘাতের বাহ্যিক চিহ্ন নেই, তাই হত্যা বলারও সুযোগ নেই। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে সেই আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, যে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে সায়ানের সম্পর্ক তাকে এবং তার মাকেও ইতিমধ্যে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে সন্দেহজনক কিছু না পেয়ে পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে। সার্বিক অবস্থায় পুলিশের দাবি, পরিবারের শাসনের ভয়ে সায়ান হয়তো আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। মৃত্যুর রহস্য নিশ্চিত হওয়া যাবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে।
গাইবান্ধা পৌরসভার উপসহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) শফিউল ইসলামের ঘুষ চাওয়ার একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুকে) ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওই প্রকৌশলীকে প্রকল্পের টাকা ছাড়ে এক ঠিকাদারের কাছে ৬ শতাংশ ঘুষ দাবি করতে শোনা যায়।
৪ ঘণ্টা আগেযশোরের মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্লার্ক শাহীন আলমকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলাম রিয়াদের বিরুদ্ধে।
৪ ঘণ্টা আগেজামালপুরের ইসলামপুরে শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ (বীর উত্তম) সেতুর জন্য অধিগ্রহণ করা জমি দখলের মহোৎসব চলছে। ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৫৬০ মিটার সেতুর দুই পাড়ের অধিকাংশ জমি এরই মধ্যে দখলে নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ঘর ও দোকান। সেসব ভাড়া দিয়ে টাকা নিচ্ছে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী।
৪ ঘণ্টা আগে‘তিন ঘণ্টা ঘোরাঘুরি কইরা একটা স্কার্ফ ছাড়া তো কিছুই কিনলা না। সকাল সকাল মার্কেটে আইসা কী লাভ হইলো?’ মা তাসলিমা আক্তারকে অনুযোগ করে বলছিল বছর দশেকের মেয়ে সানজিদা ইসলাম। জবাবে মা বললেন, ‘দোকানে আইসাই সাথে সাথে কিন্না ফেলন যায়? আগে তো দেখতে হইবো। দামদর বুঝতে হইবো।’
৫ ঘণ্টা আগে