Ajker Patrika

মাইকিং করেও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে দেড় শতাধিক পর্যটক ফেরানো যায়নি

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৮: ৫৯
মাইকিং করেও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে দেড় শতাধিক পর্যটক ফেরানো যায়নি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। গতকাল সোমবার ভোর থেকে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে বৈরী আবহাওয়া শুরু হলে জেলা প্রশাসন টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়। 

এ কারণে সেন্ট মার্টিন ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের সোমবার বিকেলের মধ্যে দ্বীপ ছাড়ার নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করা হয়। এতে সাড়া দিয়ে তিনটি জাহাজে দুই হাজারের মতো পর্যটক দ্বীপ ছাড়েন। কিন্তু দেড় শতাধিক পর্যটক নির্দেশনা না মেনে থেকে গেছেন। বৈরী আবহাওয়া না কাটা পর্যন্ত এসব পর্যটককে দ্বীপে অবস্থান করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। 

আজ মঙ্গলবার সেন্ট মার্টিনের একটি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক বলেন, পর্যটকদের তো আর জোর করা যায় না। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া তৈরি হলেই সতর্ক করা হয়। অনেকেই না মেনে থেকে যান। 

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা পেয়ে পর্যটকদের দ্বীপ ছাড়তে মাইকিং করা হয়েছে। এমনকি প্রতিটি হোটেল-রিসোর্টে খবর পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এরপরও কিছুসংখ্যক পর্যটক সেন্ট মার্টিনে থেকে গেছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কেটে গেলে জাহাজ চলাচল করতে পারবে। তারপর আটকে পড়া পর্যটকেরা দ্বীপ ছাড়তে পারবেন। 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার বার্তা দিয়ে মাইকিং করার পরও কিছুসংখ্যক পর্যটক দ্বীপ না ছাড়া দুঃখজনক। পর্যটন ব্যবসায়ীদের এ ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত। এখন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের দ্বীপে থাকতে হবে। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত