মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরে হামলার প্রতিবাদে যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার বেলা ৩টার সময় উপজেলার ১১ নম্বর মঘাদিয়া ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টা থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভা চলছিল। সে পথ দিয়ে গাড়িবহর নিয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট যাওয়ার সময় সংঘর্ষ বাধে।
নিয়াজ মোর্শেদ এলিট অভিযোগ করেন, সকাল থেকে তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আন্তর্জাতিক অর্জন ও দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রচারণা চালান। দলের প্রয়াত নেতাদের কবর জিয়ারত করেন এবং অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেন। বেলা ৩টার দিকে মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত ইদ্রিস মিয়ার কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে ১১ নম্বর মঘাদিয়া ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকায় এলে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক যুবক সড়কে বালুভর্তি ট্রাক রেখে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়িবহরে হামলা চালায়। বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় এলিটের গানম্যান ফাঁকা গুলি ছোড়েন। কর্মীরা এলিটকে ঘিরে ধরে মানবপ্রাচীর তৈরি করেন। এলিটের বহরের বেশ কয়েকটি গাড়ি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের, যুবলীগের চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
হামলায় আহত হন এলিটের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ও বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগ নেতা আছিফুর রহমান শাহীন, মিরসরাই উপজেলা যুবলীগের মো. আলী, রমজান আলী বাবলু, শওকত আজিম রিংকু, মো. শাহাবুদ্দিনসহ সাত-আটজন।
আহতদের মধ্যে শাহীন, মোহাম্মদ আলী ও বাবলুর অবস্থা গুরুতর। তাঁদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুতর আহত আছিফুর রহমান শাহীন, মোহাম্মদ আলী, মো. বাবলুকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বিকেল ৫টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফায়েল উল্যাহ চৌধুরী নাজমুল অভিযোগ করেন, কোনো কারণ ছাড়া এলিটের বহর থেকে সমাবেশে গুলি ছোড়া হয়। এরপর উভয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে এলিটের গাড়িবহর থেকে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় সাকিব, নিশান, রবিনসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটকে দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বিকেল ৫টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অস্ত্র ও গানম্যানের গুলি ছোড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট দাবি করেন, এটি তাঁর বৈধ অস্ত্র ও গানম্যান। সরকার তাঁর নিরাপত্তার জন্য বৈধ অস্ত্র ও গানম্যান দিয়েছে। গানম্যানের কারণেই তিনি আজ প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
গানম্যানের গুলি ছোড়ার বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘যদি এটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত অস্ত্র এবং গানম্যান হন তাহলে নিরাপত্তার কারণে করতে পারেন। এটি বৈধ অস্ত্র বা গানম্যান কি না আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব।’
মঘাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পরে হামলার প্রতিবাদে যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করে মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগ।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার বেলা ৩টার সময় উপজেলার ১১ নম্বর মঘাদিয়া ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। বেলা ১১টা থেকে স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভা চলছিল। সে পথ দিয়ে গাড়িবহর নিয়ে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট যাওয়ার সময় সংঘর্ষ বাধে।
নিয়াজ মোর্শেদ এলিট অভিযোগ করেন, সকাল থেকে তিনি বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আন্তর্জাতিক অর্জন ও দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রচারণা চালান। দলের প্রয়াত নেতাদের কবর জিয়ারত করেন এবং অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করেন। বেলা ৩টার দিকে মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রয়াত ইদ্রিস মিয়ার কবর জিয়ারত করে ফেরার পথে ১১ নম্বর মঘাদিয়া ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকায় এলে চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক যুবক সড়কে বালুভর্তি ট্রাক রেখে ব্যারিকেড দিয়ে গাড়িবহরে হামলা চালায়। বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় এলিটের গানম্যান ফাঁকা গুলি ছোড়েন। কর্মীরা এলিটকে ঘিরে ধরে মানবপ্রাচীর তৈরি করেন। এলিটের বহরের বেশ কয়েকটি গাড়ি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের, যুবলীগের চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
হামলায় আহত হন এলিটের রাজনৈতিক সমন্বয়ক ও বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগ নেতা আছিফুর রহমান শাহীন, মিরসরাই উপজেলা যুবলীগের মো. আলী, রমজান আলী বাবলু, শওকত আজিম রিংকু, মো. শাহাবুদ্দিনসহ সাত-আটজন।
আহতদের মধ্যে শাহীন, মোহাম্মদ আলী ও বাবলুর অবস্থা গুরুতর। তাঁদের চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গুরুতর আহত আছিফুর রহমান শাহীন, মোহাম্মদ আলী, মো. বাবলুকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ সভা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বিকেল ৫টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফায়েল উল্যাহ চৌধুরী নাজমুল অভিযোগ করেন, কোনো কারণ ছাড়া এলিটের বহর থেকে সমাবেশে গুলি ছোড়া হয়। এরপর উভয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। পরে এলিটের গাড়িবহর থেকে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ সময় সাকিব, নিশান, রবিনসহ বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটকে দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বিকেল ৫টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অস্ত্র ও গানম্যানের গুলি ছোড়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিট দাবি করেন, এটি তাঁর বৈধ অস্ত্র ও গানম্যান। সরকার তাঁর নিরাপত্তার জন্য বৈধ অস্ত্র ও গানম্যান দিয়েছে। গানম্যানের কারণেই তিনি আজ প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
গানম্যানের গুলি ছোড়ার বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘যদি এটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত অস্ত্র এবং গানম্যান হন তাহলে নিরাপত্তার কারণে করতে পারেন। এটি বৈধ অস্ত্র বা গানম্যান কি না আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব।’
মঘাদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সাজেদুল লস্কর (৩২) নামের এক ব্যক্তির লাঠির আঘাতে তার চাচাতো ভাই আপেল লস্করের (৫০) মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি লস্কর পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। সাজেদুল লস্করকে আটক করেছে পুলিশ। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আউয়াল কবির বিষয়টি নিশ
৭ মিনিট আগেময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সুখাইজুড়ি নদী একসময় প্রবহমান ছিল। এতে এলাকার মানুষ গোসল দিত, মাছ ধরত ও হাঁস পালন করত। সেই নদী দখল করে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে ছোট ছোট ঘের তৈরি করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
১১ মিনিট আগেকুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কর্মী তোফাজ্জল হোসেন। অর্থের অভাবে লেখাপড়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৩ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন রেস্তোরাঁয়।
১৫ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৯ ঘণ্টা আগে