Ajker Patrika

রামগতিতে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে হরিণ জবাই, পুলিশ নীরব 

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
রামগতিতে ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে হরিণ জবাই, পুলিশ নীরব 

লক্ষ্মীপুরের রামগতি মীর বাজারে এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে হরিণ জবাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে উপজেলার তেগাছিয়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে হরিণের মাংস জব্দ করলেও পরে রহস্যজনক কারণে সেগুলো রেখে যায়। আজ শুক্রবার দুপুরে চরগাজীর ইউনিয়নের মীর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চরগাজী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ফরিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে হরিণটি জবাই করা হয়েছে। পরে ওই ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় কয়েকজন হরিণের মাংস ভাগ করে নেন। 

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক মো. ফিরোজ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হরিণ জবাই করা অপরাধ। পুলিশ যেহেতু ঘটনাস্থলে গেছে, তারা চাইলে মাংসগুলো জব্দ করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারত। এ বিষয়ে আমি খোঁজ খরব নিচ্ছি।’ 

জানা যায়, হাতিয়ার একটি দুর্গম চর থেকে বৃহস্পতিবার রাতে রামগতির বয়ারচরে একটি হরিণ নিয়ে আসা হয়। সেটি ইউপি সদস্য ফরিদের বাড়িতে রাখা হলে সকালে হরিণটি ছুটে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। 

পরে বয়ারচরের মীর বাজার এলাকা থেকে হরিণটিকে আটক করা হয়। সকালে সেটিকে সিরাজ মাঝির বাড়িতে নিয়ে জবাই করা হয়। ইউপি সদস্য ফরিদ ও তার সহযোগী মুকিত মাঝি, আকবরসহ কয়েকজন মিলে হরিণটি জবাই করেন। 

খবর পেয়ে স্থানীয় তেগাছিয়া পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণের মাংসগুলো উদ্ধার করলেও পরে রহস্যজনক কারণে সেখানে রেখে চলে আসে। 

এ বিষয়ে তেগাছিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ নির্মল মোবাইল ফোনে হরিণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। পরবর্তীতে পুনরায় ফোন দিলে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, ‘আপনি যে সাংবাদিক, আমি কীভাবে বুঝব? ক্যাম্পে আসেন, তখন কথা হবে’ বলে লাইন কেটে দেন। 

অভিযুক্ত চরগাজী ইউপি সদস্য ফরিদ হরিণ জবাই করার বিষয়টি স্বীকার করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাতিয়ার ভূঁইয়ারহাট এলাকার আলাউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি কয়েকটি হরিণ লালন-পালন করেন। তার খামার থেকে একটি হরিণ পালিয়ে রামগতির বয়ারচর এলাকায় আসে। সেখানে হরিণটিকে কুকুরে কামড় দিলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় কয়েকজন মিলে হরিণটিকে জবাই করে দেয়।’ 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুকুরের কামড়ে হরিণের মৃত্যু হওয়ার ঝুঁকি কম, অসুস্থ হরিণটি আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসলে সঠিক চিকিৎসা পেত।’ তিনি কুকুরের কামড় দেওয়া হরিণের মাংস না খাওয়ার পরামর্শও দেন। 

এ বিষয়ে জানতে রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ্এনও) এস এম শান্তুনু চৌধুরীর মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত