Ajker Patrika

বছর পেরোলেও শেষ হয়নি সড়কের সংস্কারকাজ, দুর্ভোগে মানুষ

চাঁদপুর প্রতিনিধি
বছর পেরোলেও শেষ হয়নি সড়কের সংস্কারকাজ, দুর্ভোগে মানুষ

চাঁদপুর শহরের ট্রাক রোডের সংস্কারকাজ শুরুর এক বছর পেরোলেও এখনো শেষ হয়নি। সড়কে বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় স্থানীয় পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন চালকেরা পড়ছেন দুর্ভোগে। এই সড়ক দিয়ে হেঁটে চলাচলও দুষ্কর হয়ে পড়েছে মানুষের।

পৌর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে ট্রাক রোডের সংস্কারকাজ শুরু হয়। মেরামতের জন্য সড়কের দুই পাশ প্রশস্ত করা হয়েছে। এরপর শুরু হয় ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ। বর্তমানে এই কাজ বন্ধ রয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে জেলা শহরের মিশন রোড রেল ক্রসিং থেকে বিআইডব্লিউটিএর মোড় পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সড়কের অবস্থা বেশি নাজুক। বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে গর্ত। ভারী যানবাহন চলাচল করায় গর্ত আরও বড় আকার নিয়েছে। রিকশাচালকেরা শহরের অন্য স্থান থেকে এই সড়কে আসতে চান না। পণ্য পরিবহনের গাড়ি এই সড়ক দিয়ে বেশি চলাচল করছে।

ট্রাক রোডের বাসিন্দা আল-আমিন ও ফরিদ আহমেদ বলেন, বাসা থেকে বের হলে রিকশাও পাওয়া যায় না। সন্তানেরা পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় পরিবহনের চাকার পানি গায়ে ছিটকে পড়ে পোশাক নষ্ট হয়। খুবই খারাপ পরিস্থিতি এই সড়কে। এটি মেরামত করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আমরা পৌর কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ বলেন, ‘এই এলাকায় হাজার হাজার বসতি। সড়কের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য সমসময় খারাপ যায়। ক্রেতারাও আসতে চান না। পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডে চলাচল করতে হয় এই সড়ক দিয়ে।’

পণ্যবাহী পিকআপ চালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘এই সড়কে এলে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকতে হয়। বিশেষ করে বৃষ্টি হলে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে।’ পথচারী আবদুল বারেক বলেন, ‘সংস্কারের জন্য সামান্য কাজ করে সড়ক ফেলে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবনের সামগ্রী রাখা হচ্ছে সড়কে। এতে দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।’

ট্রাক রোড এলাকার কাউন্সিলর মো. ইউনুছ সোয়েব বলেন, ‘সড়কটি প্রথম সংস্কার হয় ২০১৮ সালের আগে। তখন সড়কটি উঁচু করা হয়। এরপর কয়েক দিন ভালো ছিল। আবারও ভেঙে যায় বিভিন্ন স্থানে। গত বছর সড়কের সংস্কারকাজ শুরু হয়েছে। পৌরসভার কয়েকটি সড়কের সংস্কার কাজ একসঙ্গে চলায় দেরি হচ্ছে। সড়কে কোনো গর্ত হলে আমি তা মেরামত করার চেষ্টা করি।’

পৌরসভার অধিকাংশ সড়কের উন্নয়নকাজ চলছে বলে জানান চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা। তিনি বলেন, ‘ট্রাক রোডের দুই পাশ প্রশস্ত করা হচ্ছে। আবার নতুন করে ড্রেনেজও তৈরি হচ্ছে। এসব কারণে সড়ক পাকাকরণ কাজ দেরি হচ্ছে। সড়কটির গুণগতমান ঠিক রাখতে দুই পাশে পানির লাইন বসানো হবে। এসব কাজ শেষ হলে সব ধরনের ভোগান্তি কমবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত