গহিন পাহাড়ে মিলল অস্ত্র ও গোলাবারুদ, আরসার ৩ সদস্য গ্রেপ্তার 

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ২১: ০৩
Thumbnail image

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের পাশে গহিন পাহাড়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সশস্ত্র ট্রেনিং সেন্টারের সন্ধান পেয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। পাহাড়ের এই আস্তানায় অভিযান চালিয়ে র‍্যাব আরসার কমান্ডারসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র, শতাধিক রাউন্ড গুলি, চারটি মাইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে নাশকতা ও সন্ত্রাসী হামলা চালায়। 

আজ বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২০ নম্বর ক্যাম্পের অদূরে লাল পাহাড় এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়। 

র‍্যাবের দাবি, গহিন পাহাড়ে আস্তানা গড়ে আরসার সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র ট্রেনিং নেয়। এরপর পার্শ্ববর্তী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে নাশকতা ও সন্ত্রাসী হামলা চালায়। ক্যাম্পে আবারও বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা থেকে আরসা এই ঘাঁটি গড়ে তুলেছিল। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আরসার গান কমান্ডার মো. ওসমান, ইমাম হোসেন ও নেছার হোসেন। তারা উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা। 

লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘উখিয়ার ২০ নম্বর বর্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অদূরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসার একটি আস্তানা গড়ে তোলার খবর পায় র‍্যাবের গোয়েন্দা টিম। সেখানে বসেই আরসার সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বড় ধরনের নাশকতা ও সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করে আসছে। এর সূত্র ধরেই র‍্যাবের একাধিক টিম গতকাল বুধবার গভীর রাত থেকে ওই আস্তানার খোঁজে পাহাড়ি এলাকায় অভিযান শুরু করে।’ 

সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার ভোরে র‍্যাবের একাধিক টিম লাল পাহাড়ের আরসার আস্তানা নিশ্চিত হয়ে ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এই আস্তানা থেকে ২২টি আগ্নেয়াস্ত্র, শতাধিক রাউন্ড গুলি, চারটি মাইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে। এ সময় মো. ওসমান নামে আরসার এক কমান্ডারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’ 

র‍্যাবের অধিনায়ক বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবের কাছে আরসার কমান্ডার ওসমান জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করেছে। পরে ২০১৭ সালে আরসায় যোগ দেন। বেশকিছু দিন ধরে লাল পাহাড়ে আস্তানা গড়ে তুলে। এখানেই তারা তাদের আর্মস গ্রুপের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো বলে জানিয়েছে। 

র‍্যাবের এই অধিনায়ক বলেন, আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনীর নির্দেশে ক্যাম্পে গড়ে তোলে ১২টি সশস্ত্র গ্রুপ। এই গ্রুপগুলো ক্যাম্পে খুনখারাবি ও নাশকতা চালিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় মামলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত