আবারও যাচাই-বাছাই শেষে ফিরে গেল মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল 

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৩, ২১: ৪৭
Thumbnail image

নিজ দেশে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই শেষে কক্সবাজারের টেকনাফে সর্বশেষ দফায় আসা মিয়ানমার প্রতিনিধিদল আজ বুধবার ফিরে গেছে। এর আগে আজ সকালে ২৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল টেকনাফ ট্রানজিট ঘাটে আসে। 

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা। তিনি বলেন, ‘আজ সকাল সাড়ে ৮টায় নাফ নদী পাড়ি দিয়ে চতুর্থ দফায় মিয়ানমারের ২৮ সদস্যের প্রতিনিধিদল টেকনাফ জেটিঘাটে পৌঁছায়। এ সময় তাদেরকে স্বাগত জানানো হয়। এরপর তাদের সরকারি রেস্ট হাউসে আনা হয়। সেখানে রোহিঙ্গাদের ৬০টি পরিবারের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চালানো হয়।’ 

সামছু-দ্দৌজা আরও বলেন, ‘এর আগে গতকাল মিয়ানমারের ৩৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল টেকনাফ আসে। প্রতিনিধিদলটি দুভাগে বিভক্ত হয়ে ১৮০ পরিবারের প্রধানের সঙ্গে মতবিনিময় ও সাক্ষাৎ করে। তারা ওই দিন সন্ধ্যায় কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়া মিয়ানমারে ফিরে যায়।’ 

যাচাই-বাছাইসংশ্লিষ্টরা জানান, গতকাল তৃতীয় দফায় টেকনাফ আসে মিয়ানমারের ৩৪ সদস্যের প্রতিনিধিদল। এতে মিয়ানমার প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেয় রাখাইন প্রাদেশিক সরকারের ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর স নাইং। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারবিষয়ক সেলের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির। ওই সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত আরআরআরসি মো. সামছু-দ্দৌজাসহ এপিবিএন পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। 

প্রত্যাবাসন চুক্তি মতে, ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ও ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট দিনক্ষণ ঠিক হলেও তা ভেস্তে যায়। এরপর চলতি বছর চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করা হয়। 

এর আগে চলতি বছর দুবার মিয়ানমার প্রতিনিধিদল আসে টেকনাফে। গত ১৫ মার্চ প্রথম দফায় এবং গত ২৫ মে দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে মিয়ানমার প্রতিনিধি এসেছিলেন। এরই মধ্যে গত ৫ মে বাংলাদেশের ৭ সদস্য ও রোহিঙ্গাদের ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদলও মিয়ানমারের মংডুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। 

 ২০১৮ সালে কয়েক দফায় ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারকে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মাত্র ১ লাখ ১ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা যাচাই-বাছাই করে প্রত্যাবাসনের সম্মতি দেয় মিয়ানমার সরকার। 

 ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত হয়ে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয়ে রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত