বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে মাগুরায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

আদালত প্রতিবেদক
Thumbnail image

চট্টগ্রাম: মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দুই সন্তানকে চট্টগ্রামে নয়, মাগুরা সদরে গিয়েই তদন্তকারী কর্মকর্তার জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। এ ব্যাপারে শিশু আইন মতে সুরক্ষার বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে। 

আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক ফেরদৌস আরা এ আদেশ দেন। 

আদেশে বলা হয়, মাগুরা জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে দুই শিশুকে সুবিধাজনক সময়ে হাজির করতে হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে সমাজসেবা কার্যালয় বন্ধ থাকলে মাগুরা সদর থানায় হাজির করতে হবে। দুই শিশুকে জিজ্ঞাসাবাদের তিন দিন আগে তদন্তকারী কর্মকর্তা শিশুর হেফাজতকারী দাদা আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া ও চাচা অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান লাবুকে নোটিশ দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে। ওই তারিখে শিশু দুটিকে সংশ্লিষ্ট স্থানে হাজির না করলে শিশুর হেফাজতকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে আদালতের এসব আদেশের বিষয় নিশ্চিত করেন। 
 
আদালতের আদেশে আরও বলা হয়, এ মামলায় অভিযুক্ত শিশু নয়। ২০১৩ সালের শিশু আইনের ১৬ (১) ধারায় অভিযুক্ত শিশু হলেও তা শিশু আদালতের এখতিয়ারভুক্ত। তবে, এ মামলায় ৭ ও ৩ বছরের দুই সাক্ষী শিশু। তাই শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এই আদালত আদেশ দিতে পারেন। 

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তাঁর দুই সন্তানকে তদন্ত কর্মকর্তার সামনে হাজির না করার জন্য ২৩ জুন শিশু দুটির চাচা হবিবুর রহমান আবেদন দাখিল করেন। এর আগে তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই চট্টগ্রামের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা আদালতে এক আবেদনে বলেন, মিতু তাঁর বড় ছেলের সামনে খুন হন। এ ছাড়া খুন হওয়ার আগের আনুষঙ্গিক ঘটনা দুই সন্তানের জানা থাকতে পারে। তাই দুই শিশুকে সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির করার আদেশ চাওয়া হয়। 

শুনানি শেষে ১৩ জুন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান এক আদেশে ১৫ দিনের মধ্যে দুই সন্তানকে তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে হাজির করার নির্দেশ দেন। 

অপরদিকে, বাবুল আক্তারের ভাই আইনজীবী হবিবুর রহমান লাবু দুই সন্তানকে চট্টগ্রামে তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনে হাজির করার আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। তিনি মাগুরা আইনজীবী সমিতির সভাপতির কক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করেন। একই সঙ্গে সেখানে সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তার সামনে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হয়। এ ছাড়া দরখাস্তটি শুনানির জন্য শিশু আদালতে স্থানান্তর করার নির্দেশও চাওয়া হয়। ওই দিন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ ব্যাপারে শুনানির জন্য নথিটি নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে পাঠান। 

গত সোমবার ও আজ দুই দফা শুনানি শেষে শিশু আদালত দুই শিশুকে চট্টগ্রামে তদন্তকারী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে আসার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আদেশ বাতিল করলেন। 

জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালতের আদেশ এখনো হাতে পাইনি। আদালত আদেশে যেভাবে আদেশ দেওয়া হবে সেভাবেই জিজ্ঞাসাবাদ করব। 

 ২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল সোয়া ৭টায় নগরীর জিইসি মোড়ে মিতু খুন হন। তিনি ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে জিইসির মোড় যাচ্ছিলেন। সে সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত