চসিকে হামলা: ৩২ কাউন্সিলর অফিসের চার কোটি টাকার ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১০: ৫৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৩২টি কাউন্সিলর কার্যালয়ে হামলা করে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে আনুমানিক ৪ কোটি ৩১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে। চসিক প্রাথমিকভাবে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে।

চসিকের ৪১টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ১৪টি মহিলা সংরক্ষিত কাউন্সিলর কার্যালয় রয়েছে। ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন কার্যালয়গুলোতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে দুষ্কৃতকারীরা। এর মধ্যে ৪১টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ের মধ্যে ৩২টিতে হামলা চালানো হয়। ৯টি কাউন্সিলর কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটেনি।

চসিক কর্তৃপক্ষ হামলা ও ভাঙচুরের শিকার কার্যালয়গুলোর মধ্যে ২৭টির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করেছে। বাকি পাঁচটির তথ্য এখনো পায়নি। এ ছাড়া ১৪টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর কার্যালয়ের মধ্যে পাঁচটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পাওয়া গেছে। বাকি ৯টির তথ্য এখনো জামা পড়েনি।

ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাবে বলা হয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড ও ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কার্যালয়ে। কার্যালয় দুটির ক্ষতির পরিমাণ পর্যায়ক্রমে ১ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার ও ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এরপর হালিশহর রামপুরা ওয়ার্ড কার্যালয়ের ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ও চান্দগাঁও কার্যালয়ের ২৫ লাখ টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৪টি কার্যালয়ে হামলা হলেও ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা যায়নি বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন।

সম্প্রতি ছাত্র- জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় দূর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কার্যালয়।কোনো হামলার শিকার হয়নি এমন ওয়ার্ডগুলো হলো ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী, ১৪ নম্বর লালখান বাজার, ২০ নম্বর দেওয়ানবাজার, ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ, ২৮ নম্বর পাঠানটুলী, ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়ী, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজার ও ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর কার্যালয়।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, চসিকের সচিবালয় বিভাগ থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডের সচিবদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্ষয়ক্ষতির এ প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে। চসিকের নাগরিক সেবা দ্রুত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। এ ব্যাপারে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা তদারকি করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে নগরীর পরিচ্ছন্নতা ও রাজস্ব বিভাগের কার্যক্রম চালু হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ নাগরিকদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত