রামগড় সীমান্ত দিয়ে ভারতের সঙ্গে যাত্রী পারাপার শুরু ১৪ আগস্ট

রামগড় (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৪, ১১: ৩৬
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৪, ১১: ৪৬

অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে খাগড়াছড়ির রামগড়বাসীর। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রী পারাপার আগামী ১৪ আগস্ট থেকে শুরু হবে। গতকাল মঙ্গলবার ভার্চুয়াল এক সভায় ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

মঙ্গলবার রামগড় ইমিগ্রেশন ভবনে আয়োজিত ভার্চুয়াল সভাটিতে অন্যদের মধ্যে ঢাকা থেকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও রামগড় স্থলবন্দর প্রকল্প পরিচালক মো. সরওয়ার আলম, রামগড় ইমিগ্রেশন থেকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমত জাহান তুহিন, ৪৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক (এডি) রাজু আহমেদ, রামগড় থানার ওসি দেবপ্রিয় দাস, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ মনির হোসেন, রামগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামল রুদ্র প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ভিডিও বক্তব্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘ইমিগ্রেশন হয়ে যাত্রী পারাপারে ভারত থেকে পত্র পেয়েছি, যা আগামী ১৪ আগস্ট উদ্বোধনের পর দুই দেশের নাগরিকেরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাপেক্ষে মৈত্রী সেতু-১ হয়ে পারাপারের সুযোগ পাবেন। প্রথমে যাত্রী চলাচল শুরু হচ্ছে। পরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি হলে পণ্য পরিবহনের ব্যবস্থাও শুরু হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলছে।’

এদিকে বহুল প্রতীক্ষিত রামগড় স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশন চালু হতে যাচ্ছে জেনে আনন্দিত পাহাড়ের মানুষ। স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম স্থলবন্দর এটি। 

রামগড় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ কারবারী বলেন, পাহাড়ে বসবাসরত বহু ভাষাভাষী মানুষের অনেক স্বজন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দুই দেশে, আছে সাংস্কৃতিক ভাব বিনিময়ও। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হলে সে বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। পাশাপাশি পর্যটন খাতেরও বিকাশ ঘটবে।

সি অ্যান্ড এফ ব্যবসায়ী আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ইমিগ্রেশন চালুর পর দ্রুত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হলে উপকৃত হবে দুই দেশ। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে আর্থিক লেনদেন করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে মানি এক্সচেঞ্জ সুবিধা রাখার দাবি এই ব্যবসায়ী নেতার।

উল্লেখ্য, রামগড় স্থলবন্দর চালুর লক্ষ্যে সীমান্তের ফেনী নদীর ওপর ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু ১ চালু হয় ২০২১ সালের মার্চে। এই বন্দর চালু হলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে কম খরচে দ্রুত সময়ের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যাবে ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড ও অরুণাচলের সঙ্গে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত