সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরীর চৌধুরী নগর বহুমুখী সমবায় সমিতি থেকে ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করা হয় হাইকোর্টে দুটি মামলায় লড়ার জন্য। আর সমিতির দখলে থাকা জায়গার নামজারি খতিয়ান তৈরির জন্য খরচ করা হয় আরও ৭০ লাখ টাকা। কিন্তু এখনো জমির নামজারি হয়নি। আর হাইকোর্টের মামলায়ও হেরে গেছে সমিতি।
এই প্রেক্ষাপটে সমিতির বর্তমান ও সাবেক দুই সম্পাদক ওই ১ কোটি ১৯ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান সম্পাদক সাইফুদ্দিন চৌধুরী সাবু চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আর সাবেক সম্পাদক হারুনুর রশিদ নগরীর ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা। সমিতির সদস্যদের ওই টাকা ভাউচার দিয়ে নিয়েছিলেন এই দুজন।
গত ১৯ আগস্ট প্রয়াত এক সদস্যের সন্তান ইফতেখার উদ্দিন আহম্মেদ সমিতির নেতাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে জানতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন। চট্টগ্রাম সমবায় ও নিবন্ধন অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সমিতির ৪১২ পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্তে খরচের ওই হিসাব পাওয়া গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন চৌধুরী সাবু হোয়াটসঅ্যাপে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার কন্ট্রাক্টের জন্য ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। এ টাকা সমিতির পক্ষ থেকে খরচ করা হয়েছে, আমার একার কোনো বিষয় নয়।’
নামজারি খতিয়ান তৈরির জন্য ৭০ লাখ টাকা খরচ করার বিষয়ে জানতে সমিতির সাবেক সম্পাদক হারুনুর রশিদকে ফোন নম্বরে এবং ওয়াটসঅ্যাপে পাওয়া যায়নি।
তবে এ টাকা খরচের বিষয় নিশ্চিত করে সমিতির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, হারুনুর রশিদ সম্পাদক থাকাকালে ৭০ লাখ টাকা খরচ হলেও ভূমির নামজারি খতিয়ান তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
আর সমিতির সভাপতি শামসুল হুদার মোবাইল ফোনে কল গেলেও তিনি ধরেননি।
সমিতির সদস্য প্রয়াত জাহানারা বেগমের (২৮২ নম্বর সদস্য) ছেলে ইফতেখার উদ্দিন আহম্মেদের অভিযোগ তদন্ত করছেন থানা সমবায় কর্মকর্তা শফিউল আলম।
তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষে নভেম্বর মাসের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করব।’
সমবায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩০ বছরের পুরোনো ওই সমবায় সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ৪ শতাধিক। ২৫ একর ২০ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা এ সমবায় সমিতিতে প্লটের সংখ্যা ২৭১।
আওয়ামী লীগের দুই নেতার দাপটের কথা উল্লেখ করে ইফতেখার উদ্দিন আহম্মেদ জানান, সমিতির কাছে প্রতিকার চেয়ে তিনি এর আগে এক বছরে ১৪ বার লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর এসবের প্রতিকার চেয়ে সমবায় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেন তিনি।
ইফতেখার উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমার মায়ের মৃত্যুর পর নিয়ম অনুযায়ী প্রাপ্ত প্লটের জমি (৬ দশমিক ৩৩ কাঠা) সমিতি হস্তান্তর না করায় আমি ১৪ দফা লিখিত আবেদন করি। একই সঙ্গে সমবায় কর্তৃপক্ষের কাছে সমিতির অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে তথ্য অধিকার আইনে উল্লিখিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করি।’
চট্টগ্রাম নগরীর চৌধুরী নগর বহুমুখী সমবায় সমিতি থেকে ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করা হয় হাইকোর্টে দুটি মামলায় লড়ার জন্য। আর সমিতির দখলে থাকা জায়গার নামজারি খতিয়ান তৈরির জন্য খরচ করা হয় আরও ৭০ লাখ টাকা। কিন্তু এখনো জমির নামজারি হয়নি। আর হাইকোর্টের মামলায়ও হেরে গেছে সমিতি।
এই প্রেক্ষাপটে সমিতির বর্তমান ও সাবেক দুই সম্পাদক ওই ১ কোটি ১৯ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান সম্পাদক সাইফুদ্দিন চৌধুরী সাবু চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আর সাবেক সম্পাদক হারুনুর রশিদ নগরীর ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা। সমিতির সদস্যদের ওই টাকা ভাউচার দিয়ে নিয়েছিলেন এই দুজন।
গত ১৯ আগস্ট প্রয়াত এক সদস্যের সন্তান ইফতেখার উদ্দিন আহম্মেদ সমিতির নেতাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে জানতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করেছিলেন। চট্টগ্রাম সমবায় ও নিবন্ধন অধিদপ্তর থেকে দেওয়া সমিতির ৪১২ পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্তে খরচের ওই হিসাব পাওয়া গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন চৌধুরী সাবু হোয়াটসঅ্যাপে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার কন্ট্রাক্টের জন্য ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। এ টাকা সমিতির পক্ষ থেকে খরচ করা হয়েছে, আমার একার কোনো বিষয় নয়।’
নামজারি খতিয়ান তৈরির জন্য ৭০ লাখ টাকা খরচ করার বিষয়ে জানতে সমিতির সাবেক সম্পাদক হারুনুর রশিদকে ফোন নম্বরে এবং ওয়াটসঅ্যাপে পাওয়া যায়নি।
তবে এ টাকা খরচের বিষয় নিশ্চিত করে সমিতির অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল হান্নান বলেন, হারুনুর রশিদ সম্পাদক থাকাকালে ৭০ লাখ টাকা খরচ হলেও ভূমির নামজারি খতিয়ান তৈরি করা সম্ভব হয়নি।
আর সমিতির সভাপতি শামসুল হুদার মোবাইল ফোনে কল গেলেও তিনি ধরেননি।
সমিতির সদস্য প্রয়াত জাহানারা বেগমের (২৮২ নম্বর সদস্য) ছেলে ইফতেখার উদ্দিন আহম্মেদের অভিযোগ তদন্ত করছেন থানা সমবায় কর্মকর্তা শফিউল আলম।
তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষে নভেম্বর মাসের মধ্যেই প্রতিবেদন দাখিল করব।’
সমবায় থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, ৩০ বছরের পুরোনো ওই সমবায় সমিতিতে সদস্য সংখ্যা ৪ শতাধিক। ২৫ একর ২০ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা এ সমবায় সমিতিতে প্লটের সংখ্যা ২৭১।
আওয়ামী লীগের দুই নেতার দাপটের কথা উল্লেখ করে ইফতেখার উদ্দিন আহম্মেদ জানান, সমিতির কাছে প্রতিকার চেয়ে তিনি এর আগে এক বছরে ১৪ বার লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর এসবের প্রতিকার চেয়ে সমবায় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দেন তিনি।
ইফতেখার উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমার মায়ের মৃত্যুর পর নিয়ম অনুযায়ী প্রাপ্ত প্লটের জমি (৬ দশমিক ৩৩ কাঠা) সমিতি হস্তান্তর না করায় আমি ১৪ দফা লিখিত আবেদন করি। একই সঙ্গে সমবায় কর্তৃপক্ষের কাছে সমিতির অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে তথ্য অধিকার আইনে উল্লিখিত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করি।’
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
১ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি সংলাপে খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার...
১ ঘণ্টা আগেভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ শনিবার সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানা ও বোতলজাতকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামে অবৈধ বসতি উচ্ছেদ করে প্রায় এক একর পাহাড়ি জায়গা উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ শনিবার নগরীর আকবরশাহ উত্তর লেকসিটি, সুপারিবাগান ও ইসলামাবাদ হাউজিং সোসাইটি এলাকা থেকে এসব বসতি উচ্ছেদ করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে