Ajker Patrika

নিজের জায়গা খুঁজে পেল সাবমেরিন

জমির উদ্দিন, পেকুয়া (কক্সবাজার) থেকে
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৩, ১৩: ২৩
নিজের জায়গা খুঁজে পেল সাবমেরিন

বাংলাদেশের দুটি সাবমেরিন বনৌজা নবযাত্রা এবং বনৌজা জয়যাত্রা কর্ণফুলী চ্যানেলে ভিড়ত। জরুরি প্রয়োজনে চলাচল ও পারিপার্শ্বিক অবস্থানের দিক দিয়ে ঝুঁকির মধ্যে ছিল সাবমেরিন দুটি। অবশেষে প্রায় ৭ বছর পর কক্সবাজার কুতুবদিয়া চ্যানেলে নিরাপদে জায়গা হলো সাবমেরিন দুটির। সেখানে সাবমেরিনের জন্য স্থায়ী ঘাঁটি নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। 

আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বনৌজা শেখ হাসিনা’ নামের ঘাঁটির কমিশনিং করার কথা রয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল অধিনায়ক মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের হাতে ঘাঁটির কমিশনিং ফরমান তুলে দেবেন। তারপর নৌবাহিনীর রীতি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকভাবে নামফলক উন্মোচন করবেন। এর মধ্য দিয়ে ঘাঁটিটি নৌবাহিনীতে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করবে। 

বনৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটিতে সাবমেরিন নিরাপদে রাখতে বেসিন ও এন্ট্রি চ্যানেল, সাবমেরিন ফ্লিট হেডকোয়ার্টার্স, যুদ্ধজাহাজের বার্থিং ফ্যাসিলিটিজ এবং সাবমেরিন সংক্রান্ত সকল প্রকার বেস সাপোর্ট ফ্যাসিলিটিজ রয়েছে। 

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘বনৌজা শেখ হাসিনা’ নামের ঘাঁটির কমিশনিং করেনবাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তির পর থেকে এটির অবস্থান ছিল কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী বনৌজা ঈসা খায়। সাবমেরিনের অপারেশনাল কার্যক্রম, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপদ বার্থিংয়ের জন্য বিশেষায়িত ও স্বয়ংসম্পূর্ণ ঘাঁটি খুবই জরুরি ছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে সাবমেরিনের নিরাপদ বার্থিং সুবিধার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কক্সবাজার জেলার পেকুয়ায় নির্মাণ করা হয়েছে আধুনিক সুবিধাসংবলিত পূর্ণাঙ্গ সাবমেরিন ঘাঁটি বনৌজা শেখ হাসিনা। 

নৌবাহিনী জানায়, দেশের নৌবাহিনীকে একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে রূপান্তরে সাবমেরিন সংযোজন ছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। সংবেদনশীল ও কৌশলগত রণতরী হিসেবে সাবমেরিনের সর্বোত্তম ব্যবহার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে একটি বিশেষায়িত ও স্থায়ী ঘাঁটির গুরুত্ব বিবেচনায় ১২ মার্চ ‘বনৌজা শেখ হাসিনা’ নির্মাণে ঘাঁটির নামফলক উন্মোচিত হয়। 

দেড় শ কোটি মার্কিন ডলারের ব্যয়ে ৪২০ একর জমির ওপর এই ঘাঁটি নির্মাণ করা হয়। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত