ভোটের দিনও নিখোঁজ আসিফ, এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধার অভিযোগ স্ত্রীর

মারুফ কিবরিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে 
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২: ৩১
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২: ৪৭

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ঠিক পাঁচ দিন আগে নির্বাচনী এলাকা থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ। আজ বুধবার ভোটের দিনেও তাঁর সন্ধান নেই। ভোটের মাঠে নেই আসিফের কোনো কর্মী। এমনকি ভোটের কক্ষেও দেখা মেলেনি তাঁর কোনো পোলিং এজেন্টের। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণের পর সাতটি কেন্দ্র ঘুরে কোথাও তাঁর এজেন্টের উপস্থিতি দেখা যায়নি। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিও খুবই কম দেখা যায়। 

সরাইলের উচালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য নির্বাচন কর্মকর্তারা সরব থাকলেও একজন ভোটারও ছিলেন না তখন। এখানে ভোটার ৩ হাজার ৬৯৭ জন। ভোটার না থাকার পাশাপাশি ছিলেন না নিখোঁজ আসিফের এজেন্টও। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ওয়াহিদুর রহমান বলেন, মোটরগাড়ি প্রতীকের কোনো এজেন্ট এখনো আসেননি। হয়তো পরে আসবেন।

সরাইলের কুট্টাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রেও একই দৃশ্য। ভোটার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ চন্দ্র কুন্ড আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেড় ঘণ্টায় দেড় পারসেন্টেরও কম ভোট কাস্ট হয়েছে। কলার ছড়ি ও লাঙ্গলের এজেন্ট ছাড়া এখনো কাউকে দেখিনি। 

সরাইলের কালীগচ্চ পাটশালা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে দেড় ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৫৪টি। এখানেও দেখা মেলেনি নিখোঁজ আসিফের কোনো এজেন্টের। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ডা. শ্যামল কুমার চৌধুরী জানান, ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। সব প্রার্থীর এজেন্টও নেই। 

ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিও নেই বললেই চলেবিশুতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক মনে করছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাইম খান। তিনি জানান, ৩ হাজার ১২৯ ভোটারের মধ্যে ২ ঘণ্টায় ভোট দিয়েছেন শতাধিক ভোটার। প্রার্থীর এজেন্ট অনুপস্থিতির কারণ জানেন না জানিয়ে নাইম খান বলেন, ‘এটা তো আমার জানার কথা না। কেউ না এলে তো তাকে ধরে আনা যাবে না।’ 

এদিকে নিখোঁজ থাকা আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিসা অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্র থেকে আসিফের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘অনেক কেন্দ্রেই এজেন্ট দেওয়া যায়নি। আবার এজেন্ট গেলেও তাঁকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে।’ 

মেহেরুন্নিসা আরও অভিযোগ করে জানান, বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটারদের ফিঙ্গার মেলার পর তাঁদের বের করে দিয়ে অন্য লোকজন ভোট দিচ্ছেন। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত