হোসাইন জিয়াদ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়সলেক, পারকি বিচ, ওয়ার সিমেট্রি এসব তো ঘুরে ফিরে দেখেছেন অনেকেই। কিন্তু খৈইয়াছড়া ঝরনা, নাপিত্তাছড়া ঝরনা, কমলদহ ঝরনা, সুপ্তধারা আর সহস্রধারা ঝরনায় গিয়েছেন কি? সাম্প্রতিক সময়ে এসব ঝরনা এবং সীতাকুণ্ড ও হালিশহরের সাগরপাড় ঘিরে তৈরি হয়েছে পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা। গত কয়েক বছরে সারা দেশের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে এসব ঝরনা ও সৈকত। এসব জায়গায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভ্রমণপিপাসু মানুষের সংখ্যা। তবে ঘুরতে আসা অনেকেই বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফেসবুকে ছবি কিংবা ইউটিউবে ভিডিও দেখেই তারা আসছেন। তাদের মতে, প্রচারণা না থাকায় এসব বিনোদনকেন্দ্রের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না সরকার।
মিরসরাই উপজেলার পাহাড়ে খৈইয়াছড়া, নাপিত্তাছড়া ও কমলদহ ঝরনাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে দোকানপাট, হোটেল, বিশ্রামস্থান, রেস্ট হাউসসহ বেশ কিছু স্থাপনাও।
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুরতে আসা ছাত্র নাইমুল ইসলাম বলেন, আমি এক বন্ধুর ফেসবুক পেইজে ছবি দেখে এসেছি। এখানকার তিনটি ঝরনা যেতে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে মাত্র এক–দেড় ঘণ্টার পাহাড়ি পথ পেরোতে হয়। কিন্তু এত সুন্দর জায়গার কথা অনেকেই জানেন না। ছোট ঝিরি, ঝরনার শীতল পানি মাড়িয়ে, পাহাড়ের খাঁজে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবন, গাছ, বুনো ফুল দেখতে দেখতে ও নাম না জানা পাখির ডাক শুনতে শুনতে কখন ঝরনায় চলে আসি বলতেই পারিনি।
তাঁর বন্ধু তাহমিলুর বলেন, ‘পাহাড় আমার অনেক প্রিয়। এখানকার ঝরনাগুলোর ট্রেইল যে কারও ভালো লাগবে। তবে এখানে গাইড, নিরাপত্তা, থাকার হোটেল ও যোগাযোগের বিষয়টি সরকারের দেখা উচিত।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ সম্প্রতি ছোটখাটো হোটেল, দোকান, কিংবা ফলমূল নিয়ে বনে পর্যটন ব্যবসায় নেমেছেন। কমলদহ ঝরনা পথের দোকানি আজিমুল ইসলাম বলেন, আগের চাইতে পর্যটকের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। এখন প্রতিদিন শত শত পর্যটক আসছে সারা দেশ থেকে। বন্ধু, বান্ধব, পরিবার–পরিজনসহ বেড়াতে আসছেন।
মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, এসব ঝরনাগুলো সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে পর্যটকদের নিরাপত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্ব পাবে। নতুন সাজে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে ঝরনাকেন্দ্রিক পর্যটন স্পটগুলো।
পতেঙ্গার মতো বেশ পরিচিত না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সৈকত, আর নগরীর হালিশহর আউটার রিং রোড ঘিরে ব্যাপক হারে আনাগোনা বেড়েছে পর্যটকের।
গুলিয়াখালী সৈকতটির একপাশে কেওড়ার বন ও সামনে বিশাল জলরাশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। বছর পাঁচেক আগেও নিরিবিলি থাকা এ দুটি স্থানে এখন হাজারো প্রাণের কোলাহলে মুখর। বিকেল হলেই হালিশহরের রিং রোড ঘিরে পতেঙ্গা পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। যদিও এ দুটি জায়গায় মানসম্মত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বসার স্থান এখনো তৈরি হয়নি।
চাঁদপুর থেকে গুলিয়াখালী আসা দর্শনার্থী সোহেল জানান জানান, এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ এবং সমুদ্রে নামার সতর্কতামূলক নির্দেশনা নেই। তা ছাড়া সন্ধ্যার পর এসব এলাকা একেবারেই অন্ধকার হয়ে যায়। এখানে অন্তত সড়ক বাতি দরকার।
সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন বলেন, গুলিয়াখালীকে সরকার এখনো সৈকত হিসেবে ঘোষণা দেয়নি। এ সৈকতকে কেন্দ্র করে আলাদাভাবে কিছু করার সুযোগ নেই উপজেলা পরিষদের।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালিশহর সাগরপাড়ের ছয় কিলোমিটার এলাকা ঘিরে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এখানে হোটেল, রেস্তোরাঁ, নানা রকম রাইড, ফাইভ স্টার হোটেল হবে। এ পরিকল্পনাটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান মনে করেন, পর্যটকদের ভিড় আর আনোগোনায় পাহাড়ের জীব–বৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া পর্যটকদের পলিথিন, বর্জ্য ফেলারও জায়গা নেই। পৃথিবীর সব দেশ প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে বিনোদন স্পট তৈরি করে। আমাদেরও তাই করতে হবে।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়সলেক, পারকি বিচ, ওয়ার সিমেট্রি এসব তো ঘুরে ফিরে দেখেছেন অনেকেই। কিন্তু খৈইয়াছড়া ঝরনা, নাপিত্তাছড়া ঝরনা, কমলদহ ঝরনা, সুপ্তধারা আর সহস্রধারা ঝরনায় গিয়েছেন কি? সাম্প্রতিক সময়ে এসব ঝরনা এবং সীতাকুণ্ড ও হালিশহরের সাগরপাড় ঘিরে তৈরি হয়েছে পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা। গত কয়েক বছরে সারা দেশের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে এসব ঝরনা ও সৈকত। এসব জায়গায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভ্রমণপিপাসু মানুষের সংখ্যা। তবে ঘুরতে আসা অনেকেই বলছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফেসবুকে ছবি কিংবা ইউটিউবে ভিডিও দেখেই তারা আসছেন। তাদের মতে, প্রচারণা না থাকায় এসব বিনোদনকেন্দ্রের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছে না সরকার।
মিরসরাই উপজেলার পাহাড়ে খৈইয়াছড়া, নাপিত্তাছড়া ও কমলদহ ঝরনাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে দোকানপাট, হোটেল, বিশ্রামস্থান, রেস্ট হাউসসহ বেশ কিছু স্থাপনাও।
ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুরতে আসা ছাত্র নাইমুল ইসলাম বলেন, আমি এক বন্ধুর ফেসবুক পেইজে ছবি দেখে এসেছি। এখানকার তিনটি ঝরনা যেতে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে মাত্র এক–দেড় ঘণ্টার পাহাড়ি পথ পেরোতে হয়। কিন্তু এত সুন্দর জায়গার কথা অনেকেই জানেন না। ছোট ঝিরি, ঝরনার শীতল পানি মাড়িয়ে, পাহাড়ের খাঁজে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় জীবন, গাছ, বুনো ফুল দেখতে দেখতে ও নাম না জানা পাখির ডাক শুনতে শুনতে কখন ঝরনায় চলে আসি বলতেই পারিনি।
তাঁর বন্ধু তাহমিলুর বলেন, ‘পাহাড় আমার অনেক প্রিয়। এখানকার ঝরনাগুলোর ট্রেইল যে কারও ভালো লাগবে। তবে এখানে গাইড, নিরাপত্তা, থাকার হোটেল ও যোগাযোগের বিষয়টি সরকারের দেখা উচিত।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ সম্প্রতি ছোটখাটো হোটেল, দোকান, কিংবা ফলমূল নিয়ে বনে পর্যটন ব্যবসায় নেমেছেন। কমলদহ ঝরনা পথের দোকানি আজিমুল ইসলাম বলেন, আগের চাইতে পর্যটকের সংখ্যা কয়েকগুণ বেড়েছে। এখন প্রতিদিন শত শত পর্যটক আসছে সারা দেশ থেকে। বন্ধু, বান্ধব, পরিবার–পরিজনসহ বেড়াতে আসছেন।
মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, এসব ঝরনাগুলো সরকারের পরিকল্পিত উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এতে পর্যটকদের নিরাপত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্ব পাবে। নতুন সাজে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে ঝরনাকেন্দ্রিক পর্যটন স্পটগুলো।
পতেঙ্গার মতো বেশ পরিচিত না হলেও সাম্প্রতিক সময়ে সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সৈকত, আর নগরীর হালিশহর আউটার রিং রোড ঘিরে ব্যাপক হারে আনাগোনা বেড়েছে পর্যটকের।
গুলিয়াখালী সৈকতটির একপাশে কেওড়ার বন ও সামনে বিশাল জলরাশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। বছর পাঁচেক আগেও নিরিবিলি থাকা এ দুটি স্থানে এখন হাজারো প্রাণের কোলাহলে মুখর। বিকেল হলেই হালিশহরের রিং রোড ঘিরে পতেঙ্গা পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। যদিও এ দুটি জায়গায় মানসম্মত হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বসার স্থান এখনো তৈরি হয়নি।
চাঁদপুর থেকে গুলিয়াখালী আসা দর্শনার্থী সোহেল জানান জানান, এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ এবং সমুদ্রে নামার সতর্কতামূলক নির্দেশনা নেই। তা ছাড়া সন্ধ্যার পর এসব এলাকা একেবারেই অন্ধকার হয়ে যায়। এখানে অন্তত সড়ক বাতি দরকার।
সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম আল মামুন বলেন, গুলিয়াখালীকে সরকার এখনো সৈকত হিসেবে ঘোষণা দেয়নি। এ সৈকতকে কেন্দ্র করে আলাদাভাবে কিছু করার সুযোগ নেই উপজেলা পরিষদের।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালিশহর সাগরপাড়ের ছয় কিলোমিটার এলাকা ঘিরে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র করার পরিকল্পনা নিয়েছি। এখানে হোটেল, রেস্তোরাঁ, নানা রকম রাইড, ফাইভ স্টার হোটেল হবে। এ পরিকল্পনাটি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি আশিক ইমরান মনে করেন, পর্যটকদের ভিড় আর আনোগোনায় পাহাড়ের জীব–বৈচিত্র্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া পর্যটকদের পলিথিন, বর্জ্য ফেলারও জায়গা নেই। পৃথিবীর সব দেশ প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে বিনোদন স্পট তৈরি করে। আমাদেরও তাই করতে হবে।
নিজেদের অবস্থান জানান দিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদসহ আশপাশের সড়কে বড় জমায়েত করে গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন তাবলিগ জামায়াতের সাদপন্থীরা। নামাজ শেষে যাওয়ার আগে আগামী ৭ ডিসেম্বর বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম হত্যায় আরও এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকালে রুকু আক্তার নামের ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গত বুধবার উদ্ধার হওয়া খণ্ডবিখণ্ড লাশটি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের (৬২)। তিনি ফতুল্লার চাঁদ ডাইং ফ্যাক্টরির মালিক। এ ঘটনায় হওয়া মামলায় রুমা আক্তার নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৪ ঘণ্টা আগেরাজশাহীতে মাসব্যাপী তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে নগর ভবনের গ্রিন প্লাজায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন।
৫ ঘণ্টা আগে