মিতু হত্যা: ৩ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

আদালত প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
Thumbnail image

সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার আসামি কামরুল শিকদার ওরফে মুছা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা ও মো. কালুর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমান এ আদেশ দেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা আজ সোমবার দুপুরে আদালতে ওই তিন আসামির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আদেশের অনুলিপি প্রেরণের কথাও আদেশে বলা হয়েছে।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী শাহাবুদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তিন আসামির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। আদেশের অনুলিপি স্থল ও বিমানবন্দরে পাঠানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, মিতু হত্যার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন অভিযুক্ত মুছা। অপরদিকে মুছার স্ত্রীর দাবি মুছাকে ডিবি পরিচয়ে কিছু লোক তুলে নিয়ে গেছে। এরপর থেকে তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। মামলার আরেক অভিযুক্ত কালু পলাতক ও ভোলা জামিনে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল সোয়া ৭টার দিকে নগরীর জিইসি মোড়ে মিতু খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। তিনি ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে জিইসির মোড়ে যাচ্ছিলেন। সে সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার নগরের পাঁচলাইশ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এ বছর ১২ মে আদালতে পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন লাখ টাকা দিয়ে স্ত্রীকে খুন করান বাবুল। সেই দিনই বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুল আক্তারসহ আটজনের বিরুদ্ধে মিতু হত্যার অভিযোগে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। পরে বাবুলকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ ৷ ১৭ মে তিনি আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি না হওয়ায় আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত