কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দেশে আসা এক প্রবাসীকে মারধর ও আটকে রেখে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে বরুমছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম চৌধুরী ও আবদুল মালেক নামে একই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকেও। বাদীর আইনজীবী এম আসাদুল আলম সালেহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য দুজনই বলেছেন, টাকা পাওয়ার স্বীকারোক্তি হিসেবে ছয়টি খালি স্ট্যাম্পে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর দেন মামলার বাদী বিদেশফেরত ফোরকান।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ ফোরকান (৪০) উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন এলাকার মৃত আলী আকবরের পুত্র।
গত রোববার চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা মামলার অপর আসামিরা হলেন বরুমছড়া এলাকার মো. নাছির (৫০), মো. মিজান (৩০), মো. খোকন (৩৫) ও মো. রুবেল (৩৮)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার বরুমছড়া ইউনিয়নের সদর দীঘিপাড়ে বিদেশে ড্র সমিতির টাকার কথা বলে প্রবাসী মো. ফোরকানকে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে মারধার করেন মো. নাছিরসহ তাঁর লোকজন। এরপর জোরপূর্বক ১০০ টাকা মূল্যমানের ছয়টি খালি স্ট্যাম্প এবং চেয়ারম্যানের খালি প্যাডে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন।
প্রবাসী মো. ফোরকান অভিযোগ করে বলেন, ‘দুবাইতে থাকাকালীন অভিযুক্ত নাছিরসহ আমরা কয়েকজন মিলে একটি ড্র সমিতি করেছিলাম। নাছির ড্র পেয়ে কিস্তির ৮ লাখ টাকা পরিশোধ না করে দেশে চলে আসেন। আমি দেশে এসে পাওনা টাকার জন্য যোগাযোগ করলে গত শুক্রবার রাতে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বরুমছড়া এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ মিলে বরুমছড়ার সদর দীঘিপাড় এলাকায় আটকে মারধর করে উল্টো আমার কাছ থেকে টাকার পাওয়ার স্বীকারোক্তি নিয়ে ছয়টি খালি স্ট্যাম্প ও চেয়ারম্যানের প্যাডে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন। পরে সেখান থেকে রক্ষা পেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. নাছির বলেন, ‘দুবাইয়ে সবজি মার্কেটে বিদেশিসহ আমাদের একটি মাসিক ড্র সমিতির টাকা নিয়ে দেশে চলে আসেন ফোরকান। এই টাকার জন্য একাধিক বৈঠকও হয়েছে। সবশেষ বৈঠকে চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিততে সে নিজে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও স্বীকারোক্তি দেয়।’
বরুমছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের মধ্যে বিদেশে টাকা দেনা-পাওনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। এটা নিয়ে উভয়ই বৈঠকে আসে। বৈঠকে প্রবাসী ফোরকান নিজে টাকা পাওয়ার স্বীকারোক্তি দেন এবং জামিনদার হিসেবে ছয়টি খালি স্ট্যাম্পও দেন। কেউ তাঁকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্প ও স্বাক্ষর নেয়নি।
বাদীর আইনজীবী এম আসাদুল আলম সালেহ বলেন, গত রোববার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল নাহার মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। এই মামলা বরুমছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম চৌধুরী ও ইউপি সদস্য আবদুল মালেককে আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দেশে আসা এক প্রবাসীকে মারধর ও আটকে রেখে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে আদালতে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আসামি করা হয়েছে বরুমছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম চৌধুরী ও আবদুল মালেক নামে একই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকেও। বাদীর আইনজীবী এম আসাদুল আলম সালেহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য দুজনই বলেছেন, টাকা পাওয়ার স্বীকারোক্তি হিসেবে ছয়টি খালি স্ট্যাম্পে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর দেন মামলার বাদী বিদেশফেরত ফোরকান।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ ফোরকান (৪০) উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের কৈখাইন এলাকার মৃত আলী আকবরের পুত্র।
গত রোববার চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা মামলার অপর আসামিরা হলেন বরুমছড়া এলাকার মো. নাছির (৫০), মো. মিজান (৩০), মো. খোকন (৩৫) ও মো. রুবেল (৩৮)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে উপজেলার বরুমছড়া ইউনিয়নের সদর দীঘিপাড়ে বিদেশে ড্র সমিতির টাকার কথা বলে প্রবাসী মো. ফোরকানকে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে মারধার করেন মো. নাছিরসহ তাঁর লোকজন। এরপর জোরপূর্বক ১০০ টাকা মূল্যমানের ছয়টি খালি স্ট্যাম্প এবং চেয়ারম্যানের খালি প্যাডে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেন।
প্রবাসী মো. ফোরকান অভিযোগ করে বলেন, ‘দুবাইতে থাকাকালীন অভিযুক্ত নাছিরসহ আমরা কয়েকজন মিলে একটি ড্র সমিতি করেছিলাম। নাছির ড্র পেয়ে কিস্তির ৮ লাখ টাকা পরিশোধ না করে দেশে চলে আসেন। আমি দেশে এসে পাওনা টাকার জন্য যোগাযোগ করলে গত শুক্রবার রাতে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বরুমছড়া এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ মিলে বরুমছড়ার সদর দীঘিপাড় এলাকায় আটকে মারধর করে উল্টো আমার কাছ থেকে টাকার পাওয়ার স্বীকারোক্তি নিয়ে ছয়টি খালি স্ট্যাম্প ও চেয়ারম্যানের প্যাডে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেন। পরে সেখান থেকে রক্ষা পেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. নাছির বলেন, ‘দুবাইয়ে সবজি মার্কেটে বিদেশিসহ আমাদের একটি মাসিক ড্র সমিতির টাকা নিয়ে দেশে চলে আসেন ফোরকান। এই টাকার জন্য একাধিক বৈঠকও হয়েছে। সবশেষ বৈঠকে চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সমাজের মান্যগণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিততে সে নিজে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও স্বীকারোক্তি দেয়।’
বরুমছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের মধ্যে বিদেশে টাকা দেনা-পাওনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। এটা নিয়ে উভয়ই বৈঠকে আসে। বৈঠকে প্রবাসী ফোরকান নিজে টাকা পাওয়ার স্বীকারোক্তি দেন এবং জামিনদার হিসেবে ছয়টি খালি স্ট্যাম্পও দেন। কেউ তাঁকে জোরপূর্বক স্ট্যাম্প ও স্বাক্ষর নেয়নি।
বাদীর আইনজীবী এম আসাদুল আলম সালেহ বলেন, গত রোববার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল নাহার মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। এই মামলা বরুমছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল ইসলাম চৌধুরী ও ইউপি সদস্য আবদুল মালেককে আসামি করা হয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
৮ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
১১ মিনিট আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
২১ মিনিট আগেগণ-অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো আপসের পথে হাঁটছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আপস করা হয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্যান্য দলের সঙ্গে। দ্রুত নির্বাচনের আয়োজন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টাও চলছে বলে তাঁরা মন্তব্য করেন।
২৮ মিনিট আগে