রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিয়ে করতে মালয়েশিয়া যাচ্ছিল দুই তরুণী, ৩ দালাল আটক

কক্সবাজার প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০০: ৪২
Thumbnail image

সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১২ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষসহ ২০ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় মানবপাচারে জড়িত তিন দালালকে আটক করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী পাড়ার একটি বাড়িতে পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে।

আটক দালালরা হলেন— টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকার লোনা বেগম (৩৫), সাবরাং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার মো. আব্দুল্লাহ (৩০) ও শাহপরীরদ্বীপ মগপুরা এলাকার রিদুয়ান (২৮)।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে মানব পাচারের একটি চক্র টেকনাফ সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ লম্বরী এলাকায় রোহিঙ্গাদের মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করার খবর পায় পুলিশ। এ তথ্যের ভিত্তিতে মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন দক্ষিণ লম্বরী এলাকার একটি বাড়ি অভিযান চালিয়ে ৩ দালাল ও ২০ মালয়েশিয়াগামী যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ১২ জন রোহিঙ্গা ও আটজন বাংলাদেশি নাগরিক।

এর মধ্যে বিয়ে করতে দুই তরুণী যাচ্ছিলেন মালয়েশিয়া। তাঁরা হলেন—উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা নুর কায়াস। এই তরুণীর এক বোন মালয়েশিয়ায় থাকেন। নুর কায়াস বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় আমার বিয়ে ঠিক হয়েছে। বিয়ে করতেই মালয়েশিয়ায় যাচ্ছিলাম।’ 

একই ক্যাম্প থেকে মালয়েশিয়ায় বিয়ে করতে যাচ্ছিলেন হাফসা নামের আরও এক তর‍ুণী। এই তরুণীর বোন উম্মে হাবিবা বলেন, ‘দালালের সঙ্গে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা চুক্তিতে আমার ছোট বোনকে নিয়ে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ক্যাম্প ত্যাগ করি। এ জন্য দালালকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়েছি। বাকি টাকা মালেয়শিয়া পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। দালালরা টেকনাফের একটি বাড়িতে দুইদিন রাখার পর যাত্রার প্রস্তুতিকালে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছি। উম্মে হাবিবা বলেন, টেকনাফের কয়েকটি বাড়িতে এবং পাহাড়ে অনেক রোহিঙ্গা আটকা আছে দালালদের হাতে।’ 

রোহিঙ্গা-২উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের ভাষ্যমতে, উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এক দালালের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। 

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, আটককৃত দালালদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের স্ব-স্ব ক্যাম্প ও বাংলাদেশিদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত