Ajker Patrika

আইনজীবীদের ঐক্যে ফাটল, স্থগিত করা হলো নির্বাচন

  • সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে এর আগে নির্বাচন স্থগিত হয়নি।
  • গঠন করা হবে অ্যাডহক কমিটি, পরে দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন।
সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম 
আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১: ০৬
আইনজীবীদের ঐক্যে ফাটল, স্থগিত করা হলো নির্বাচন

১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফ্যাসিস্ট ইস্যু, বহিরাগতদের হুমকি, নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা কারণে আইনজীবীদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এর মধ্য দিয়ে সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সম্পন্ন করার যে ঐক্য ছিল, তাতে সৃষ্ট ফাটল স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

সমিতি বলছে, ৪ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তাহীনতাসহ কিছু কারণ দেখিয়ে আচমকা নির্বাচন পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করে পদত্যাগ করেন নির্বাচন কমিশনের মুখ্য কর্মকর্তাসহ অন্য সদস্যরা। ফলে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়। সংগঠনটি বর্তমানে অ্যাডহক কমিটি গঠনের দিকে যাচ্ছে। এ কমিটি দুই মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে নতুন কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।

তবে সাধারণ আইনজীবীদের অনেকে মনে করেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় অ্যাডহক কমিটিও সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আইনজীবীদের ভাষ্য, আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে এ পর্যন্ত ৩২টি নির্বাচন হয়েছে। অতীতে বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াতসহ সব দলের আইনজীবীদের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। সর্বশেষ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সমিতির দুটি গুরুত্বপূর্ণ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ সর্বোচ্চ পদে বিজয়ী হন বিএনপি প্যানেলের আইনজীবীরা। কিন্তু এবার বিভিন্ন কারণে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় নির্বাচন পণ্ড হয়েছে, যা নজিরবিহীন ঘটনা।

এর আগে গত ২০ জানুয়ারি সমিতির নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে ২১টি পদে ৪০ জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল। প্রার্থীদের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ ছিল।

বিএনপিসমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও জামায়াতে ইসলামীসমর্থিত ল’ ইয়ার্স কাউন্সিল আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত সমন্বয় পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থী দিয়েছিল। প্রার্থীরা প্রচারণাও চালিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিরোধিতা করে আসছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। গত ২৬ জানুয়ারি আদালত এলাকায় বিক্ষোভও করেন তাঁরা। ওই কর্মসূচিতে চট্টগ্রামের অনেক সমন্বয়ক অংশ নিয়েছিলেন। আইনজীবীদের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে বহিরাগতদের এমন হস্তক্ষেপের ঘটনা এবারই প্রথম হয়েছে বলে জানান সাধারণ আইনজীবীরা।

আওয়ামী লীগপন্থী ‘রশিদ-জাবেদ-মাহতাব পরিষদ’ থেকে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন জাবেদ বলেন, ‘আমাদের প্রার্থীদের সরাসরি কাউকে এখনো পর্যন্ত হুমকি দেওয়া হয়নি। তবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাঁদের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য নিরাপত্তা চেয়ে শুধু ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী নামানোর আবেদন করি।’

এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন জাবেদ বলেন, ‘আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের অনেক নেতা আদালতে নিয়মিত আসছেন না। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না। তাই পরিষদ থেকে প্রার্থী না দিয়ে “রশিদ-জাবেদ-মাহতাব পরিষদ” নামে একটি প্যানেল করে প্রার্থী দিয়েছি। কিন্তু প্রতিপক্ষরা এই প্যানেলকে আওয়ামী লীগের দোসর বলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে।’

এদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদ প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী হওয়া আবদুস সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে কোনো ভয়ভীতি কিংবা হুমকি দেওয়া হয়নি। তাদের (আওয়ামীপন্থীদের) প্রচারণায় কোনো বাধা দিইনি। আমরা বাধা দিলে তো তারা নমিনেশনও দাখিল করতে পারত না।’

জানতে চাইলে আইনজীবী সমিতির বর্তমান সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের অভিভাবক সংগঠন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলকে পত্র দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। তাদের যদি এ বিষয়ে কোনো মতামত না থাকে তাহলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি সাধারণ সভায় এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হবে।’ আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে এবারই প্রথম অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এর আগে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়, প্রার্থীদের উভয় পক্ষের পারস্পরিক অবস্থান প্রতিকূলে থাকায় এবং নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে বিভিন্নভাবে হেনস্তা, ভয়ভীতি ও হুমকির সম্মুখীন হওয়ায় ১০ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্নের কোনো সুযোগ বা পরিবেশ নেই। বিধায় নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতভাবে ওই নির্বাচন পরিচালনা করতে অপারগতা প্রকাশ করে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত
সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিউমার্কেট থানা এলাকায় শিক্ষার্থী শামীমকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম গ্রেপ্তার দেখানোর এ নির্দেশ দেন।

আজ ফয়জুর রহমানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার এসআই মো. ওমর ফারুক। শুনানি শেষে আদালত বাদলকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তদন্তকালে এই মামলায় সাবেক এমপি ফয়জুর রহমান বাদলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণের জন্য তিনি এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্ররোচনা এবং অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন বলে প্রাথমিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এবং আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই করতে তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজ এলাকায় আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে আন্দোলনকারীদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। ওই ঘটনায় ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শামীম গুরুতর আহত হন। পরে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য, ‎গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া একাধিক মামলায় তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মনোনয়নপত্র কিনে ভুল করেছি, জমা দেব না: কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৬
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লার সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: আজকের পত্রিকা

কুমিল্লা-৬ (সদর, সদর দক্ষিণ, সিটি করপোরেশন ও সেনানিবাস) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর

নানুয়ার দীঘিসংলগ্ন নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

মনিরুল হক সাক্কু বলেন, তিনি শুরু থেকেই কুমিল্লা-৬ আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। মনোনয়ন কেনার বিষয়টি ছিল ভুল সিদ্ধান্ত। এ কারণে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেবেন না। তবে ভবিষ্যতে যদি এ আসনে দলীয় মনোনয়নে পরিবর্তন আসে, সে ক্ষেত্রে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিনের ব্যাপারে মনিরুল হক সাক্কু বলেন, অতীতের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইয়াছিন তাঁর শ্যালককে প্রার্থী করেছিলেন। এতে ভোট বিভাজনের কারণে তিনি অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। একই ব্যক্তি পরবর্তী উপনির্বাচনেও অংশগ্রহণ করেন। এসব ঘটনায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কাউকে দোষারোপ করেননি। এ বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা প্রকাশ্যে আনার আহ্বান জানান তিনি।

মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন, চূড়ান্ত মনোনয়নে দলের মনোনয়ন পরিবর্তন হয়ে যদি হাজি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন পান তাহলে তিনি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করবেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে সাক্কু অল্প ব্যবধানে পরাজিত হন। পরে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে উভয়কেই বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন মনিরুল হক সাক্কু। গতকাল রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় এনসিপি নেতাকে গুলির ঘটনায় যশোর সীমান্তে কড়া নজরদারি

­যশোর প্রতিনিধি
যশোর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোর সীমান্ত এলাকায় বিজিবির তল্লাশি কার্যক্রম। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনায় এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতা মোতালেব শিকদারের গুলিবিদ্ধের ঘটনার পর যশোর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি। এই হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা যেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যেই বেনাপোলসহ সীমান্ত এলাকাগুলোয় ব্যাপক নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

জানা গেছে, ৪৯ বিজিবির ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ মেইন পিলার ১৮/১ এস থেকে ৪৭/৩ এস পর্যন্ত প্রায় ৭০ দশমিক ২৭৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কড়া তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি। সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। যেসব সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই, সেসব সীমান্ত সিলগালা করা হয়েছে। বেনাপোল আইসিপি, আমড়াখালি, সাদীপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, শিকারপুর, শালকোনা, কাশিপুর, মাসিলা, আন্দুলিয়া ও পাঁচপিসতলা এলাকাসহ সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এনসিপি নেতার গুলিবিদ্ধের ঘটনা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এসব এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী আজ সোমবার দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘মোতালেব শিকদাদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত আসামিরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালাতে না পারে, সে জন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির প্রতিনিধি মো. মোতালেব শিকদারকে (৪০) দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। আজ দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বেসরকারি গাজী মেডিকেলের সামনে তাঁকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ মোতালেবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলি তাঁর মাথায় বিদ্ধ হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দেশীয় পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৫
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা বৈরাগী টিলা এলাকা থেকে একটি দেশীয় তৈরি পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব)-৯ সদস্যরা। রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে র‍্যাব-৯ সিলেট সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট উপজেলার ১০ নম্বর মিরাশি ইউনিয়নের বৈরাগী টিলা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় নীল রঙের পলিথিন দিয়ে মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি লোহার পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত আলামত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে র‍্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব-৯ জানায়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তাদের নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত