Ajker Patrika

আ.লীগ এমপির ব্যানার নিয়ে প্রশ্ন, যুবদল কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫, ১৬: ২১
যুবদল কর্মী কমর উদ্দিন জিতু। ছবি: সংগৃহীত
যুবদল কর্মী কমর উদ্দিন জিতু। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যের (এমপি) ব্যানার টাঙানো থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় যুবদলের এক কর্মীকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের আমিরহাট বাজার ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কমর উদ্দিন জিতু (৩৬) ওই ইউনিয়নের উত্তর সর্ত্তা গ্রামের মুহাম্মদ আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাজার ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ে এখনো কেন সাবেক এমপি ফজলে করিমের ব্যানার টাঙানো, তা নিয়ে শনিবার রাতে প্রশ্ন তোলেন ইউনিয়ন যুবদলের নেতা জামাল উদ্দিন তালুকদার, মঈনুদ্দিন বিপুল ও জিতু। সেই সঙ্গে তাঁরা ব্যানারের ভিডিও করেন। তখন উপজেলা বিএনপির সদস্য মহিউদ্দিন জীবনের নেতৃত্বে একদল লোক এসে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। মারধর ও ছুরিকাঘাতে জিতু সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন। পরে ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তাঁর মৃত্যু হয়।

জামাল বলেন, ‘প্রথমে জিতুকে ছুরিকাঘাত ও পরে মাথায় আঘাত করায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।’ অন্যদিকে মঈনুদ্দিন বলেন, ‘মহিউদ্দিন, নুরু, নয়ন আমার বন্ধু জিতু হত্যার সঙ্গে জড়িত।’

জানতে চাইলে মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁকে (জিতু) স্থানীয় লোকজন গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আজ আমি রাউজান উপজেলা সদরে দলীয় ইফতার মাহফিলে ছিলাম।’

এদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ৩১ জানুয়ারি আমিরহাট বাজারে সংঘর্ষ হয়েছিল। তখন স্থানীয় আবদুল হাদীর ছেলে খোরসেদকে জিতু ছুরিকাঘাত করেছিলেন। সেই সঙ্গে একই এলাকার আবদুল কাদের নামের একজনকে মেরে আহত করা হয়। এ ঘটনার জেরে শনিবার রাতে জিতুর ওপর হামলা হয়েছিল কি না, তা তদন্ত করতে রাতেই তাঁদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। তবে তাঁরা আগেই পালিয়ে যান।

এ ছাড়া জিতু ফেসবুকে বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন ও নুরুকে নিয়ে নেতিবাচক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এর জেরেও ঘটনাটির সূত্রপাত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান কাজল বলেন, ‘আওয়ামী কিশোর গ্যাং সদস্যরা কিছু নামধারী বিএনপির ছত্রচ্ছায়ায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা প্রশাসনকে বলব, যারাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের মাধ্যমে শাস্তি দিক।’

এ বিষয়ে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ‘বাজারে ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে টাঙানো সাবেক সংসদ সদস্যের ছবি সংবলিত ব্যানার সরানো নিয়ে মহিউদ্দিন নামের স্থানীয় এক বিএনপি নেতার অনুসারীদের সঙ্গে দলের আরেকটি পক্ষের মারামারিতে একজন নিহত হয়েছেন। দুটি পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পলাতক। তাঁদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএসএমএমইউতে হেনস্তার ঘটনা নিয়ে যা বললেন প্রাণ গোপালের মেয়ে ডা. অনিন্দিতা

বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে আমার জামাইকে নিয়ে আসব: গ্রেপ্তার ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী

স্বাধীনতা দিবসে কুচকাওয়াজ কেন হচ্ছে না, ব্যাখ্যা দিলেন প্রেস সচিব

কত টাকা বেতন পান নাসার মহাকাশচারীরা

জামিনে বেরিয়েই ছদ্মনামে হাসপাতালে ভর্তি হন ‘ডিবি হেফাজতে’ মৃত এজাজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত