Ajker Patrika

রামগতির মেঘনায় ইলিশের আকাল, হতাশায় জেলেরা

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ মে ২০২৩, ২০: ২৬
রামগতির মেঘনায় ইলিশের আকাল, হতাশায় জেলেরা

লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনায় জেলেদের জালে ইলিশ মিলছে না। ফলে শূন্য হাতে অনেক জেলে ডাঙায় ফিরে আসছেন। প্রতিবছর এমন সময়ে জেলেরা মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত থাকলেও এবার এর উল্টো চিত্র দেখে গেছে। 

মেঘনা নদীতে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ার ফলে বাজারে তেমন একটা দেখা মিলছে না ইলিশের। অল্প কিছু ইলিশ বাজারে উঠলেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। রামগতি উপজেলার রামগতির ঘাট, টাংকীর ঘাট ও আলেকজান্ডার সেন্টার ঘাট ঘুরে পাওয়া গেছে এ রকম চিত্র। মেঘনায় জেলেদের জালে শুধু ইলিশই নয়, অন্য মাছও আশানুরূপ ধরা না পড়ায় জেলেদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। 

জেলে, আড়তদার, মৎস্য ব্যবসায়ী ও মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, এ মুহূর্তে নদীতে ইলিশের উপস্থিতি একেবারে কম। প্রাকৃতিক কারণে এবং শুষ্ক মৌসুমে নদীতে গভীরতা কম থাকায় ইলিশের দেখা মিলছে না। তবে ভরা বর্ষায় মেঘনায় ইলিশ ধরা পড়বে বলে আশা করছেন তাঁরা।  

এদিকে ইলিশ শিকারে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে যেসব জেলে নদীতে যাচ্ছেন, তাঁদের ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে বা অল্প পরিমাণ ইলিশ নিয়ে। কিছু ইলিশ ধরা পড়লেও সেগুলো আকারে ছোট। 

রামগতি মাছ ঘাটের শ্রমিক ওসমান গণি জানান, আড়তে ইলিশ না আসলে কত দিন এ পেশা ধরে রাখতে পারব জানি না। পরিবার-পরিজনদের মুখে দুমুঠো অন্ন জোগাতে বাধ্য হয়ে নতুন পেশা খুঁজছি। 

কয়েকটি মাছ ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, মাছের আমদানি না থাকায় জেলেপল্লিগুলোতে শূন্যতা বিরাজ করছে। কোনো কোনো জেলেদের জালে দুই-একটা ইলিশ মিললেও তার দাম সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার অনেক বাইরে। 

রামগতি মাছ ঘাটের আবদুল ওহাব মাঝি জানান, বিগত বছরগুলোতে এ সময় জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়েছিল। অথচ এবার সময় অতিবাহিত হলেও জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না। 

ব্রিজ ঘাটের মুরাদ মাঝি বলেন, ‘গাংগে এবার মাছ নাই, আমরা শুধু তেল জ্বালাই আর খাদ্য খাই—এ ছাড়া আর কোনো কাম-কাজ নাই।’ 

রামগতির সেন্টার ঘাটের ব্যবসায়ী বাবুল উদ্দিন জানান, নদীতে চর পড়ে গেছে, তাই জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়ছে না। তবে জেলেরা কিছু মাছ নদীর গভীর অংশ থেকে ধরে আনছেন।  

আলেকজান্ডার সেন্টার ঘাটের মাছ ক্রেতা মো. রাজু বলেন, ‘বাজারে কয়েক দিন ধরে অনেক ঘোরাঘুরি করেও এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ মাছ কিনতে পারিনি।’ 

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সাধারণত মার্চ-এপ্রিলে জাটকা ইলিশের অভিযান শেষ হলেও নদীতে মাছের কম দেখা মেলে। এ সময়টাতে নদীতে পানি কম এবং গরম থাকে। ইলিশ গভীর জলের মাছ, শুষ্ক মৌসুমে ইলিশ গভীর সাগরে অবস্থান নেয়। এ ছাড়া এ অঞ্চলে নদীতে ডুবোচর এবং বিভিন্ন অংশে টংজাল থাকায় সাগর থেকে নদীতে ইলিশ প্রবেশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বাড়লে মাছ আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

রাজধানীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে ইরানের দুই নাগরিককে মারধর

এক ছাতায় সব নাগরিক সেবা

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

তানভীর ইমামের বাড়ি ভেবে গুলশানের একটি বাসায় মধ্যরাতে শতাধিক ব্যক্তির অনুপ্রবেশ, তছনছ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত