নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে ছয় বছর বয়সী কন্যাসন্তান নিয়ে বিষ পান করেছেন এক গৃহবধূ। বিষপানের ঘটনায় সাজেদা আক্তার (২৭) ও মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া দুজনই মারা গেছে। 

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জান্নাতুল মাওয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য সাজেদা আক্তারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান। 

নিহত জান্নাতুল মাওয়া ২ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব নরসিংহপুর গ্রামের গোলাম কুদ্দুসের মেয়ে এবং সাজেদা আক্তার গোলাম কুদ্দুসের স্ত্রী। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১২ বছর আগে কুদ্দুসের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সাজেদা আক্তারের। নূর হোসেন জিহাদ (১০) ও জান্নাতুল মাওয়ার (৬) বাবা কুদ্দুস ১০ দিন আগে ওমান থেকে দেশে আসেন। বুধবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে জিহাদকে মারধর করেন বাবা কুদ্দুস। এ নিয়ে সাজেদার সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয় কুদ্দুসের। এ ঘটনার জের ধরে রাতে তাদের মধ্যে একাধিকবার ঝগড়া হয়। 

গোলাম কুদ্দুসের ভাই গোলাম সারোয়ার বলেন, রাতে ঝগড়া-বিবাদের জেরে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে পরিবারের লোকজনের অজান্তে নিজে ও মেয়ে মাওয়াকে কীটনাশক খাওয়ায় সাজেদা। পরে বাড়িতে থাকা লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাওয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে মারা যান সাজেদা আক্তার। 

গোলাম সারোয়ার আরও জানান, সাজেদা তার মেয়ে মাওয়াকে বিষ খাওয়ানোর সময় ছেলে জিহাদকেও খাওয়ানোর চেষ্টা করে, কিন্তু জিহাদ খায়নি। 

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঘটনাস্থল থেকে কীটনাশকের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।’