নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় অবস্থিত শহীদ জিয়া হলের ওপরে স্থাপিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় ম্যুরালটি ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জিয়া হলের কেয়ারটেকার আরিফের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি চাউর হয়। দুপুরে খবর পেয়ে জিয়া হলে ভাঙা ম্যুরাল পরিদর্শনে আসেন মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ সময় ভাঙা ম্যুরাল দেখে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ ও আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘এই জিয়া হল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অধীনে। এই জিয়া হল ভাঙার জন্য সরকারি দলের এমপি শামীম ওসমান সংসদে বক্তব্য রেখেছেন। এখানে তিনি ভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করছেন। এই ম্যুরাল ভেঙে ফেলায় এটাই প্রমাণিত হয় এমপির নীলনকশার অংশ হিসেবে এবং জিয়াউর রহমানকে জনগণের অন্তর থেকে মুছে ফেলার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘ম্যুরালটি হ্যাকসো ব্লেড দিয়ে পরিকল্পিতভাবে কেটে ফেলা হয়েছে। আমরা মনে করি, শামীম ওসমানের নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে। আমরা ডিসির সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন এই ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। যারা এই অপকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই এবং জিয়ার ম্যুরাল পুনরায় স্থাপন করা হোক। জিয়ার ম্যুরাল ভেঙে তারা প্রতিহিংসার জন্ম দিয়েছে।’
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘জিয়া হলের ম্যুরাল রাতের অন্ধকারে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। আজকে নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান প্রমাণ করেছেন তিনি আসলেই গডফাদার। তিনি শান্তিপূর্ণ কাজ করতে পারেন না। তিনি রাতের অন্ধকারে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ম্যুরাল কেটে ফেলে দিয়েছেন। তিনি শান্তিপূর্ণ নারায়ণগঞ্জে অস্থিরতা তৈরি করতে চান।’
ইউসুফ খান টিপু আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে কখনো হাত দেয়নি। এ ছাড়া শামীম ওসমানের বাবা-দাদার নামে স্টেডিয়াম থাকলেও সেখানে হাত দেওয়া হয়নি। কিন্তু তারা জিয়ার ম্যুরাল ভেঙে প্রতিহিংসার পথ তৈরি করেছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ম্যুরাল প্রতিস্থাপিত না করা হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মনে রাখবেন, এই সরকার শেষ সরকার নয়। ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তন হলে অনেকের ম্যুরাল না-ও থাকতে পারে।’
এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, ‘এই বিষয়টি আমার জানা নেই। জেলা প্রশাসন থেকে হলটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভবনটি ভাঙার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু ম্যুরাল ভাঙার কোনো উদ্যোগ জেলা প্রশাসন নেয়নি। কোনো দুর্বৃত্তরা এই কাজ করে থাকতে পারে। বিষয়টি আমি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা তদন্ত করে দেখবে।’
একই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তী সময় তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন ও খুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি জবাব দেননি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শামীম ওসমান জিয়া হল ভেঙে সেখানে ছয় দফা মঞ্চ করার প্রস্তাবনা রাখেন জাতীয় সংসদে। পরে নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও এই হল ভেঙে নতুন করে ছয় দফা মঞ্চ, গ্যালারি, উন্মুক্ত স্থান নির্মাণ করার ঘোষণা দেন।
নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় অবস্থিত শহীদ জিয়া হলের ওপরে স্থাপিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় ম্যুরালটি ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের এমপি শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জিয়া হলের কেয়ারটেকার আরিফের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ে। পরে আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি চাউর হয়। দুপুরে খবর পেয়ে জিয়া হলে ভাঙা ম্যুরাল পরিদর্শনে আসেন মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ সময় ভাঙা ম্যুরাল দেখে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ ও আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘এই জিয়া হল নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের অধীনে। এই জিয়া হল ভাঙার জন্য সরকারি দলের এমপি শামীম ওসমান সংসদে বক্তব্য রেখেছেন। এখানে তিনি ভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করছেন। এই ম্যুরাল ভেঙে ফেলায় এটাই প্রমাণিত হয় এমপির নীলনকশার অংশ হিসেবে এবং জিয়াউর রহমানকে জনগণের অন্তর থেকে মুছে ফেলার জন্য এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, ‘ম্যুরালটি হ্যাকসো ব্লেড দিয়ে পরিকল্পিতভাবে কেটে ফেলা হয়েছে। আমরা মনে করি, শামীম ওসমানের নির্দেশেই এই কাজ করা হয়েছে। আমরা ডিসির সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি বলেছেন এই ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। যারা এই অপকর্ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই এবং জিয়ার ম্যুরাল পুনরায় স্থাপন করা হোক। জিয়ার ম্যুরাল ভেঙে তারা প্রতিহিংসার জন্ম দিয়েছে।’
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘জিয়া হলের ম্যুরাল রাতের অন্ধকারে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আমরা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। আজকে নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান প্রমাণ করেছেন তিনি আসলেই গডফাদার। তিনি শান্তিপূর্ণ কাজ করতে পারেন না। তিনি রাতের অন্ধকারে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ম্যুরাল কেটে ফেলে দিয়েছেন। তিনি শান্তিপূর্ণ নারায়ণগঞ্জে অস্থিরতা তৈরি করতে চান।’
ইউসুফ খান টিপু আরও বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়কসহ শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে কখনো হাত দেয়নি। এ ছাড়া শামীম ওসমানের বাবা-দাদার নামে স্টেডিয়াম থাকলেও সেখানে হাত দেওয়া হয়নি। কিন্তু তারা জিয়ার ম্যুরাল ভেঙে প্রতিহিংসার পথ তৈরি করেছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই ম্যুরাল প্রতিস্থাপিত না করা হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। মনে রাখবেন, এই সরকার শেষ সরকার নয়। ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তন হলে অনেকের ম্যুরাল না-ও থাকতে পারে।’
এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, ‘এই বিষয়টি আমার জানা নেই। জেলা প্রশাসন থেকে হলটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভবনটি ভাঙার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু ম্যুরাল ভাঙার কোনো উদ্যোগ জেলা প্রশাসন নেয়নি। কোনো দুর্বৃত্তরা এই কাজ করে থাকতে পারে। বিষয়টি আমি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা তদন্ত করে দেখবে।’
একই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তী সময় তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন ও খুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি জবাব দেননি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি শামীম ওসমান জিয়া হল ভেঙে সেখানে ছয় দফা মঞ্চ করার প্রস্তাবনা রাখেন জাতীয় সংসদে। পরে নারায়ণগঞ্জের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানেও এই হল ভেঙে নতুন করে ছয় দফা মঞ্চ, গ্যালারি, উন্মুক্ত স্থান নির্মাণ করার ঘোষণা দেন।
পানির ৫৭টি পরীক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ পানি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পানি পরীক্ষাগার। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবলের অভাবে উদ্বোধনের চার বছর পরও জেলার একমাত্র পানি পরীক্ষাগারটি চালু করা যায়নি।
৭ মিনিট আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসুর নামে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) যুবাইর বিন নেছারী নামের এক শিক্ষার্থী এ জিডি করেন।
১৬ মিনিট আগেনুর নবী সরকার কালাইয়ের কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের সদস্য। এ অপরাধে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ একাধিক মামলা চলমান।
৪১ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
২ ঘণ্টা আগে