Ajker Patrika

‘নারী নির্যাতন বন্ধে চাই সহমর্মিতা ও আইনের প্রয়োগ’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২২, ১৫: ৫১
‘নারী নির্যাতন বন্ধে চাই সহমর্মিতা ও আইনের প্রয়োগ’

নারী নির্যাতন বন্ধে সহমর্মিতা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্স সেন্টার-পিপিআরসির নির্বাহী পরিচালক ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁও হলি রোজারিও চার্চ ক্যাম্পাসের মাদার তেরেসা ভবনে ‘নারীর প্রতি সহিংসতা: সমাধানে ১৬ দিনের প্রচারাভিযান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ভুক্তভোগীরা। 

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ১৬ দিনের প্রচারাভিযানের বিষয়টি মূলত মানুষের দৃষ্টিগোচরে আনার জন্য। কিন্তু আমাদের সারা বছরই এই অভিযান চালাতে হবে। শুধু হতাশা নয়, শক্তি ও আশার জায়গাটাও তৈরি করতে হবে। নারী নির্যাতন বন্ধে আইন প্রয়োগের সমস্যার সমাধান দরকার। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পাশাপাশি সহমর্মিতার জায়গাটিও নিশ্চিত করতে হবে। আর এই সহমর্মিতার জায়গাটি নিশ্চিত করা গেলে অনেক কিছুরই সমাধান করা সম্ভব। 

দৌলতদিয়ার যৌনকর্মী কুমলি বলেন, ‘কেন আমরা যৌনকর্মী হলাম সেটা কেউ জানতে চায় না, খোঁজও নেয় না। পুরুষ যৌনকর্মী কি নেই? শুধু আমরা নারী বলে আমাদেরই অবজ্ঞা, নির্যাতন ও বৈষম্য করা হচ্ছে। আমাদের এক কর্মী লিলি বেগম দাওয়াত খেতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে, এখনো আমরা তার খোঁজ পাইনি সে বেঁচে আছে না মরে গেছে।’ 

আদিবাসী নারী কর্মী চন্দ্রা চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অলিখিত সামরিক শাসন চলছে। একজন আদিবাসী নারী ধর্ষিত হলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়, বিশেষ করে বিচার বিভাগের দীর্ঘসূত্রতার কারণে। আর পর্যটনের নামে আদিবাসীরা উচ্ছেদের শিকার যাতে না হয়, সে জন্য সরকারের কঠোর নীতিমালা থাকতে হবে। এসব উচ্ছেদের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় আদিবাসী নারীরা। 

শমসেরনগর চা-বাগানের সাবেক চা-শ্রমিক ও বর্তমান শিক্ষক মনি গোয়ালা বলেন, ‘২০১৫ সালে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছি। আত্মহত্যারও চেষ্টা করেছি। এরপর ভাবলাম প্রতিবাদ করব। তবে এখনো পর্যন্ত বিচার পাইনি। আমি এর বিচার চাই।’

চা-শ্রমিক মনি কর বলেন, ‘চা-বাগানের ম্যানেজার আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। আমি রাজি না হলে আমার শিট কেটে দেন। এরপর তাঁর বাংলোয় গেলে ধর্ষণ করেন। মামলা চালানো অনেক কষ্ট। এখনো বিচার পাইনি।’ 

বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী বলেন, ‘সব প্রতিষ্ঠানে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি করার কথা থাকলেও এখনো অনেক প্রতিষ্ঠানে সেটা করা হয়নি। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা দূর করতে না পারলে নারী নির্যাতন বন্ধ হবে না। এ জন্য আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’

বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু বলেন, ‘পদ্মা সেতুর মতো নারী নির্যাতন ও বৈষম্য দূর করার বিষয়টি সরকারকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। আমরা যেভােব নির্যাতিত হচ্ছি, পুরুষেরা সেভাবে নির্যাতিত হয় না। সে জন্য তারা নারী নির্যাতনের কষ্ট বুঝতে পারে না। এটা বোঝানোর জন্যও আমাদের কাজ করতে হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন ক্যালিফোর্নিয়ার পরিবহন বিশেষজ্ঞ

‘তল্লাশির’ জন্য উসকানি দিয়েছে গুলশানের ওই বাসার সাবেক কেয়ারটেকার: প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টার আরও দুই বিশেষ সহকারী নিয়োগ

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মাসুদ আহমেদের সব পদ স্থগিত

টিআইএন নেওয়ার পরে কিন্তু ঘুমাইতে পারবেন না: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত