নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি মহিলা মাদ্রাসায় কাজ করতেন মারুফা আক্তার। সেখানে পড়তে আসা বাচ্চাদের দেখাশোনা করতেন তিনি। প্রায় ছয় মাস পর গত বৃহস্পতিবার দুই মেয়ে মার্জিয়া, মাহিদাসহ বরগুনার পাথরঘাটায় বাড়িতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হলো না মারুফা আক্তারের। তিনি এখন আইসিইউতে। আর মার্জিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেলে। মাহিদা মারা গেছেন।
মারুফা আক্তারের ভাই মো. রুমান বলেন, ‘ওই দিন বেলা ২টায় বাসা থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে সদরঘাট এসে লঞ্চে ওঠেন। রাত ৩টায় ছোট বোন শাহিনুরকে ফোন দিয়েছিলেন মারুফা। কিন্তু কোনো কথা বলতে পারেননি তখন। আশপাশে অনেক চিল্লাচিল্লি শোনা যাচ্ছিল। পরে অনেকবার চেষ্টা করা হলেও ফোন আর ঢোকেনি। শেষবার তাঁর ফোন বিজি পাই।’
মার্জিয়া জানিয়েছেন, রাত ৩টায় আগুন লাগার পর হুড়োহুড়ি শুরু হলে মা আর বড়বোনকে হারিয়ে ফেলেন। উপায়ন্তর না পেয়ে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মার্জিয়া।
মো. রুমান বলেন, ‘মার্জিয়া সাঁতার জানত। কিন্তু মাহিদা সাঁতার জানত না। বড় মেয়ে মাহিদাকে সঙ্গে রাখতেই মারুফা লঞ্চেই বসে ছিলেন।’
একপর্যায়ে আগুনের উত্তাপ সইতে না পেরে পানিতে লাফিয়ে পড়েন মা ও মেয়ে। মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে পাড়ের দিকে এগিয়ে যান মারুফা। এ সময় তীব্র স্রোতে হাবুডুবু খেতে থাকেন মাহিদা। স্রোতের বিপরীতে সাঁতরে মেয়েকে নিয়ে তীরে উঠে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে মাহিদা আর নেই।
মারুফার ভাই রুমান বলেন, ‘আপা শুধু পানি চাচ্ছিলেন। এ ছাড়া আর একটা কথাই বলেছেন, “আমার মেয়েটা আমার হাতেই মারা গেছে।’”
ঝালকাঠি থেকে মারুফা ও মার্জিয়াকে উদ্ধার করে বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মা এবং মেয়ের সেখানে দেখা হয়নি। সেখানে মার্জিয়ার চিকিৎসা চলছে। কিন্তু মারুফার অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাঁকে র্যাবের হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। মারুফা তাঁর ভাই রুমানকে বলেছিলেন, ‘টাকাপয়সা নাই। আমারে আইসিইউতে ভর্তি করিস না।’
মারুফা এখন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে। কিছুটা জ্ঞান ফিরলেই মাহিদাকে খুঁজছেন। মো. রুমান বলেন, ডাক্তার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না। তবে বলেছেন, অবস্থা ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে। কণ্ঠনালি থেকে বুক পর্যন্ত পুড়ে গেছে।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি মহিলা মাদ্রাসায় কাজ করতেন মারুফা আক্তার। সেখানে পড়তে আসা বাচ্চাদের দেখাশোনা করতেন তিনি। প্রায় ছয় মাস পর গত বৃহস্পতিবার দুই মেয়ে মার্জিয়া, মাহিদাসহ বরগুনার পাথরঘাটায় বাড়িতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হলো না মারুফা আক্তারের। তিনি এখন আইসিইউতে। আর মার্জিয়া চিকিৎসা নিচ্ছেন বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেলে। মাহিদা মারা গেছেন।
মারুফা আক্তারের ভাই মো. রুমান বলেন, ‘ওই দিন বেলা ২টায় বাসা থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে সদরঘাট এসে লঞ্চে ওঠেন। রাত ৩টায় ছোট বোন শাহিনুরকে ফোন দিয়েছিলেন মারুফা। কিন্তু কোনো কথা বলতে পারেননি তখন। আশপাশে অনেক চিল্লাচিল্লি শোনা যাচ্ছিল। পরে অনেকবার চেষ্টা করা হলেও ফোন আর ঢোকেনি। শেষবার তাঁর ফোন বিজি পাই।’
মার্জিয়া জানিয়েছেন, রাত ৩টায় আগুন লাগার পর হুড়োহুড়ি শুরু হলে মা আর বড়বোনকে হারিয়ে ফেলেন। উপায়ন্তর না পেয়ে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন মার্জিয়া।
মো. রুমান বলেন, ‘মার্জিয়া সাঁতার জানত। কিন্তু মাহিদা সাঁতার জানত না। বড় মেয়ে মাহিদাকে সঙ্গে রাখতেই মারুফা লঞ্চেই বসে ছিলেন।’
একপর্যায়ে আগুনের উত্তাপ সইতে না পেরে পানিতে লাফিয়ে পড়েন মা ও মেয়ে। মেয়ের হাত শক্ত করে ধরে পাড়ের দিকে এগিয়ে যান মারুফা। এ সময় তীব্র স্রোতে হাবুডুবু খেতে থাকেন মাহিদা। স্রোতের বিপরীতে সাঁতরে মেয়েকে নিয়ে তীরে উঠে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে মাহিদা আর নেই।
মারুফার ভাই রুমান বলেন, ‘আপা শুধু পানি চাচ্ছিলেন। এ ছাড়া আর একটা কথাই বলেছেন, “আমার মেয়েটা আমার হাতেই মারা গেছে।’”
ঝালকাঠি থেকে মারুফা ও মার্জিয়াকে উদ্ধার করে বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মা এবং মেয়ের সেখানে দেখা হয়নি। সেখানে মার্জিয়ার চিকিৎসা চলছে। কিন্তু মারুফার অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাঁকে র্যাবের হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। মারুফা তাঁর ভাই রুমানকে বলেছিলেন, ‘টাকাপয়সা নাই। আমারে আইসিইউতে ভর্তি করিস না।’
মারুফা এখন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে। কিছুটা জ্ঞান ফিরলেই মাহিদাকে খুঁজছেন। মো. রুমান বলেন, ডাক্তার কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না। তবে বলেছেন, অবস্থা ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে। কণ্ঠনালি থেকে বুক পর্যন্ত পুড়ে গেছে।
৯ লাখ টাকার জাল নোট নিয়ে আলু কিনতে রংপুরে যাওয়ার সময় নাটোরে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের নারায়ণপাড়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছে ৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
২৩ মিনিট আগেরাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে একটি বহুতলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ভবনটির বেসমেন্টে লাগা আগুন আট ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ আনে দমকল বাহিনীর সদস্যরা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভবনটিতে একটি সমবায় ব্যাংক ও কয়েকটি লাইব্রেরি রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর লাইব্রেরির জিনস পত্র সরিয়ে নেয় ব্যবসায়ীরা।
১ ঘণ্টা আগেবাসে বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইইউটি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম খান। দুর্ঘটনার পর আজ (শনিবার) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগেমাহিনের চাচা হাসান রহমান বলেন, ‘এখানে শতভাগ অবহেলা ছিল। একটা তার ঝুলে পড়বে গায়ের মধ্যে এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’ রংপুর বিভাগ, রংপুর জেলা, গাজীপুর, বাস, আগুন, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগে