পুলিশ কনস্টেবল মনিরুল হত্যা: কনস্টেবল কাওছার ৭ দিনের রিমান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৪, ১৭: ১৩
আপডেট : ০৯ জুন ২০২৪, ১৭: ৫৩

রাজধানীর বারিধারায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে দায়িত্বরত কনস্টেবল মনিরুল হককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আরেক কনস্টেবল কাওছার আলীকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহমেদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিকেলে গুলশান থানা-পুলিশ কনস্টেবল কাওছারকে আদালতে হাজির করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৭ দিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে নিহত কনস্টেবলের বড় ভাই কনস্টেবল মাহাবুবুল হক বাদী হয়ে আজ গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দায়ের করা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কনস্টেবল কাওছারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

গতকাল শনিবার দিনগত রাত পৌনে ১২টা থেকে ১২টা ৫ মিনিটের মধ্যে রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম। তাঁর গুলিতে আহত হন জাপানি দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন।

পুলিশ কনস্টেবল কাওছার আলী গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের দাড়েরপাড় গ্রামে। বাবার নাম হায়াত আলী। নিহত মনিরুলের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বিষ্ণুপুরে। বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধা মৃত শামসুল হক। দুজন কূটনীতিক এলাকায় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। কথা–কাটাকাটির জের ধরে কনস্টেবল কাওছার অপর কনস্টেবল মনিরুলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এলোপাতাড়ি তিনি আরও গুলি করতে থাকেন। এ সময় পথচারী সাজ্জাদ হোসেন আহত হন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, কনস্টেবল কাওছার রাতে কর্তব্য পালনকালে কেন অপর সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছেন এবং এলোপাতাড়ি গুলি করেছেন তার রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত